কোচিতে ধোনির তুরুপের
তাস হতে পারে অশ্বিন
কোচিতে জিততেই হবে। ধোনিদের সামনে অন্য কিছু ভাবার অবকাশ নেই। যদি উল্টোটা হয়? ইংল্যান্ড ২-০ করে ফেলে? জবাবটা সোজাসাপ্টা। আমাদের পক্ষে সিরিজে ফিরে আসা কঠিন। ২-০ পিছিয়ে বাকি ম্যাচ জিতে ৩-২ করা চাট্টিখানি কথা নয়। সেটা করতে স্কিলের মতোই দরকার মানসিক শক্তি। তাই বলছি, কোচিতেই ১-১ করে ফেলা চাই। এবং ধোনিদের সে ক্ষমতা আছে। হাতের কাছেই রয়েছে তাজা নমুনা, রাজকোট ম্যাচ। যেখানে ৩২৫ তাড়া করে, তীরের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছিলাম আমরা। বলা হতে পারে, ওই পিচটা তো আপাদমস্তক পাটা। ব্যাটসম্যানরা যে কোনও সময় মারাকাটারি খেলে দেবে। কিন্তু মনে রাখবেন, ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ অন্য কথা বলে। ওয়ান ডে-তে তিনশোর উপর রান তাড়া করতে বুকের খাঁচাটা বড় হতে হয়। এটা ঘটনা ম্যাচটা আমরা জিতিনি। জিতিনি তার কারণ একটাই। ভাল শুরু করেও আমাদের ব্যাটসম্যানরা নিজেরে ইনিংসটা টানতে পারেনি।
কোচির ছেলে শ্রীসন্থ দেখছিলাম বলেছে, রাজকোটের মতো ওর হোমগ্রাউন্ডেও ব্যাটসম্যানরা চাইলে ভূড়িভোজ করতে পারবে। তাই কি? আমি ঠিক নিশ্চিত নই। কেন নিশ্চিত নই সেটাও বলা দরকার। মোদ্দা কথা হল, ওখানে নিয়মিত খেলা হয় না। তার উপর কোচির গরমও ফ্যাক্টর। পিচ একটা সময় ভাঙবেই। খেলার বয়স যত বাড়বে, স্পিনাররাও ফয়দা তোলার মওকা পাবে। তাই বৃহস্পতিবার টসটা একটা ব্যাপার। আমি নিশ্চিত কুক, ধোনি দু’জনই সেটা জানে। জানে বলেই যেই জিতুক টস, ব্যাটটা আগে করতে চাইবে।
এ বার আসি প্রথম এগারো প্রসঙ্গে। ঘটনা হচ্ছে, দু’দলের কারও কাছে রাজকোটের টিমটায় বিশেষ এদিক ওদিক করার সুযোগ নেই। হয়তো পূজারাকে আরও কিছু দিন ডাগআউটে থাকতে হবে। এবং এই ব্যাপারটাই অন্য ব্যাটারদের ভাবনায় রাখবে..যার মানে কোনও ভাবে ঢিলে দেওয়া চলবে না, ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে পূজারা নামের একজন...। আমি অবশ্য অন্য একজনের কথা ভাবছি। রবিচন্দ্রন অশ্বিন। মনে হচ্ছে স্পিনাররা ম্যাচটায় একটা ছাপ রেখে যাবে। ধোনির দরকার এই ম্যাচটায় অশ্বিনের কাছ থেকে খুব ভাল একটা পারফরম্যান্স। তবে শুধু অশ্বিন বা টিম-ধোনি নয়। এ বার আরও এক প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে লড়তে হবে। কোচির গরম। কুককে তাই টস জিততেই হবে। না হলে, এই গরমে প্রথমে ফিল্ডিং করতে হলে কিন্তু ভারতের ম্যাচ জেতার কাজ অর্ধেক হয়ে যাবে। টেস্ট সিরিজে ইংল্যান্ড আমাদের নানা দিক থেকে চমকে দিয়েছে। এখন দেখার কোচির গরমে কুকরা পরীক্ষাটা কেমন দেয়। এমনিতে রবি বোপারাকে ওরা ওয়ান ডে সিরিজের জন্য এনেছে। তবে মনে হয় না দলে কোনও বদল হবে বলে। জো রুট ওদের দু’নম্বর স্পিনার। এই ছেলেটা আবার কুকের ভাল একটা তাস। বিশেষ করে কোচিতে। যেখানে পিচ ক্রমশ মন্থর হয়। কখনও বা বল থেমে ব্যাটে আসে। ইংল্যান্ডের উচিত ডানর্ম্যাচকেও ঠিকঠাক ব্যবহার করা। আগের ম্যাচে দেখলাম নতুন বল নিয়ন্ত্রণে বেশ ঝামেলায় পড়ছিল। যদি এমনই হয়, শেষ দিকে ও বেশি কার্যকর তা হলে নতুন বলে ফিন আর ব্রেসনান জুটিতেই ভরসা রাখতে পারে ইংল্যান্ড। বা অন্য কিছু।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.