টুকরো খবর
চিতাবাঘের হানা, জখম ছয়
চিতাবাঘের হামলায় ছ’জন জখম হয়েছে। রবিবার রাত থেকে ঘটনাটি ঘটে ডুয়ার্সের নাগরাকাটা থানা এলাকার বামনডাঙা চা বাগানের টন্ডু ডিভিশনে। জখম দু’জনকে শুল্কাপাড়া এবং একজনকে মালবাজার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের লাঠির আঘাতে ও হাসুয়ার কোপে চিতাবাঘটিও গুরুতর জখম হয়েছে। বাগানের স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, রবিবার রাত থেকে চিতাটি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। ওই দিন দু’জনকে জখম করে। সোমবার টন্ডু ডিভিশনের নীচ লাইন লাগোয়া ধানের ক্ষেতের ফাঁকা জায়গায় চিতাটি দেখা যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগে বুনোটি ঝাপিয়ে পড়ে বল্কু মাঝি ও সঞ্জীব ওঁরাও নামে দু’জনকে জখম করে ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে পড়ে। দুপুর নাগাদ ফের বাগান লাগোয়া এলাকায় চিতাটিকে দেখা যায়। আতঙ্কে বাগানের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় হামলা চালিয়ে শক্তি ওঁরাও একজনকে জখম করে। শক্তিকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন সোমা ওঁরাও। এর পরেই শ্রমিকরা রুখে দাঁড়ায়। পাল্টা হামলা চালালে চিতাটি জখম হয়। বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে চিতাটিকে কাবু করে চিকিৎসার জন্য খুনিয়া রেঞ্জ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। জলপাইগুড়ির বন্যপ্রানী বিভাগের বনপাল বিপিনকুমার সুদ বলেন, “জখমদের চিকিৎসার ব্যবস্থা বন দফতর করবে।”

চন্দ্রকোনায় হাতির তাণ্ডব
টানা দু’দিন ধরে দলমা থেকে আসা ৬০-৭০টি হাতির একটি দল দাপাল চন্দ্রকোনা ও চন্দ্রকোনা রোডের একাধিক গ্রামে। লোকালয়ে ঢুকে আলু, ধানের গাদার পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে হামলা চালায় চালিয়ে তারা ঢুকে পড়ছে একটি স্থানীয় জঙ্গলে। বন দফতর সূত্রে খবর, এখন পর্যন্ত প্রায় দু’শো একর ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে পারে। খড়্গপুরের ডিএফও অঞ্জন গুহ এবং রূপনারায়ণ বিভাগের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “এখন রসকুণ্ডুর জঙ্গলে পালটিকে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে আর জঙ্গল থেকে ওরা বেরোতে না পারে, তার জন্য জঙ্গলটিকে ঘিরে রাখা হয়েছে। স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে নিয়ে হুলা এবং ফটকা নিয়ে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবং পালটিকে গড়বেতার গভীর জঙ্গলে ঢুকিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা চলছে।”স্থানীয় ও বন দফতর সূত্রের খবর, শনিবার ভোরে হাতির পালটি শালবনি হয়ে ঢুকে পড়ে চন্দ্রকোনা রোডের বওড়াশোল, যাদবনগর, কামারখালি গ্রামে। পরে যায় চন্দ্রকোনায়। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, পালটি রবি ও সোম-এই দু’দিনে দু’টি ব্লকের প্রায় ২০-২৫ টি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। সোমবার সকাল থেকে পালটি দাপিয়ে বেড়ায় চন্দ্রকোনার কেশেডাল, ঘোষকিরা, চৈতন্যপুর, ভৈরবপুর, ক্ষিরাটি, পাটাইশোল, ধানকুড়া-সহ কয়েকটি গ্রামে। দলমার পালটি তিন-চারটি ভাগে ভাগ হয়ে জমিতে নেমে আলু, নানা রকমের সবজির খেতে তাণ্ডব চালায়। নষ্ট করে ধানের গোলাও। এই ক্ষতির ফলে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। যদিও ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, “ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে সরকারি নিয়মানুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”

বিল সংস্কারের দাবি ময়ূরেশ্বরে
প্রয়োজনের সময়ে সেচের জন্য মিলত পর্যাপ্ত জল। শুধু তাই নয়, শীতে ভিড় জমাত পরিযায়ী পাখিরা। সংস্কারের অভাবে ময়ূরেশ্বরের সেই ঝিকোড্ডার বিলই এখন মজে পরিণত হয়েছে ডোবায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও বিল সংস্কারের কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অথচ ওই বিল সংস্কার হলে এলাকার কয়েক হাজার বিঘা জমিতে সেচের জন্য জল মিলত। দেখা যেত পরিযায়ী পাখিদেরও। সংশ্লিষ্ট ময়ূরেশ্বর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের কাজল সাহা বলেন, “একশো দিন কাজের প্রকল্পে ওই বিল সংস্কারের চিন্তা ভাবনা রয়েছে।”

মানসে গন্ডার হত
মানসেও পড়ল শিকারিদের থাবা। আজ সকালে মানস জাতীয় উদ্যানের বাঁশবাড়ি রেঞ্জে একটি গন্ডারের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ মেলে। তার খড়্গটিও কেটে নিয়ে গিয়েছে শিকারিরা। ‘রাইনো-ভিশন ২০২০’ প্রকল্পের অধীনে মানসে মোট ২৪টি গন্ডার আনা হয়েছিল। এর পরেই, ‘বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র’-এর সম্মান ফিরে পায় মানস।

উদ্ধার কাঠ
কালচিনির গারোপাড়া এলাকা থেকে কয়েক লক্ষ টাকার কাঠ উদ্ধার করল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বন কর্মীরা। সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ভাতখাওয়া চা বাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই কাঠ উদ্ধার করা হয়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের নিমতির রেঞ্জার বিষ্ণু রায় জানান, এ দিন প্রায় ৫ ঘন মিটার চেরাই সেগুন কাঠ এবং ৮ ঘন মিটার শাল ও সেগুনের লগ উদ্ধার করা হয়। ওই কাঠের আনুমানিক দাম প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। কাঠগুলি ওই এলাকার বিভিন্ন বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.