|
|
|
|
লোকায়ুক্ত নিয়ে দু’রকম ব্যাখ্যা কেন, প্রশ্ন জেটলির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
বিষয় এক। কিন্তু রায় ভিন্ন।
লোকায়ুক্ত নিয়োগের শেষ কথা কে? এই প্রশ্নে গুজরাতের বেলায় সুপ্রিম কোর্ট বলল, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। তার ন’দিনের মাথায় শীর্ষ আদালতেরই অন্য বেঞ্চ কর্নাটকের ক্ষেত্রে বলল, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। একই সংবিধান ও আইনের ভিত্তিতে কেন দু’রকম ফল, এই প্রশ্ন তুলে বিলে আরও সংশোধনের দাবি তুললেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা অরুণ জেটলি। তাঁর মতে, লোকপাল বিলে যাতে ভিন্ন-ভিন্ন ব্যাখ্যার অবকাশ না থাকে, তা নিশ্চিত করা দরকার।
বিলে একটি কলেজিয়ামের হাতে লোকপালের চেয়ারপার্সন ও সদস্যদের নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই কলেজিয়ামে থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার স্পিকার ও বিরোধী দলনেতা, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং এক বিশিষ্ট আইনজীবীর। কিন্তু লোকপাল নিয়োগের পুরো অধিকার যাতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির হাতে চলে না যায়, সেটা সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন জেটলি।
জানুয়ারির গোড়ায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি এস চৌহান এবং এফ এম ইব্রাহিম কালিফুল্লার বেঞ্চ রায় দেয়, লোকায়ুক্ত পদে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আর এ মেটার নিয়োগ বৈধ। কারণ, নরেন্দ্র মোদী সরকারের আপত্তি থাকলেও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করেই রাজ্যপাল নিয়োগ করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের মত ছিল, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নিয়োগের বিষয়ে স্বাধীন মত দিতে পারেন। এই রায়ের কড়া সমালোচনা করেন জেটলি। কিন্তু ক’দিন পরই বিচারপতি কে এস রাধাকৃষ্ণন এবং মদন বি লকুরের বেঞ্চ কর্নাটকের উপলোকায়ুক্ত নিয়োগের বিষয়ে জানায়, মুখ্যমন্ত্রীই শেষ কথা। তাঁরই প্রাধান্য বজায় থাকা উচিত। এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন জেটলি। এবং এই সূত্রেই বিজেপি-র এই শীর্ষ নেতার বক্তব্য, “বারবার এই দু’টি রায় আমি পড়েছি। গুজরাতে লোকায়ুক্ত নিয়োগ নিয়ে শীর্ষ আদালতের রায় অনেক সন্দেহের জন্ম দেয়। গুজরাত হোক বা কর্নাটক, দেশের সব রাজ্যের ক্ষেত্রেই নিয়মটা এক হওয়া উচিত।” |
|
|
|
|
|