বিরোধীরা নেই বলে ‘খুশি’ মন্ত্রী
নিজস্ব সংবাদদাতা |
বিধাননগর মেলার সূচনা। সোমবার। —নিজস্ব চিত্র |
সম্প্রতি খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সিপিএমকে সামাজিক বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন। বিরোধী দল সিপিএম সেই ‘অশালীন’ মন্তব্যের প্রতিবাদে বিধাননগর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করে। সোমবার সেই মেলার মঞ্চে দাঁড়িয়েই আর এক মন্ত্রী মেলা থেকে বিরোধীদের বাদ দেওয়ার দাবি তুললেন। পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “বিরোধীরা যোগ দিলে মেলার মতো সুন্দর ব্যবস্থা নষ্ট হবে। তাই পরের বার থেকে বিরোধীদের বাদ দিয়েই মেলা হোক।” জবাবে সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, এমন নিম্ন রুচির কথার জবাব দেওয়া অবান্তর। পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী ইলা নন্দী বলেন, “মেলা নয়, শুধু উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করেছি। মন্ত্রীদের কথাতেই আমাদের অভিযোগের সত্যতা মিলল। মন্ত্রীদের কথামতো পুরসভা যদি বিরোধীদের বাদ দিয়ে কাজ করে, করুক। সেটা তাঁদের সিদ্ধান্ত।” এ দিনের অনুষ্ঠানে পুরমন্ত্রী ববি হাকিমও বলেন, “প্রতিষ্ঠানের গায়ে রাজনীতির রঙ লাগাচ্ছে বিরোধীরা। আগে বেসরকারি ভাবে মেলা হত। মেলা বাবদ অর্থ দিয়ে কী হয়েছে জানি না। এখন পুরসভা মেলা করছে। এটাই স্বচ্ছতার প্রমাণ।” তবে যার জন্য সিপিএমের বয়কট, সেই খাদ্যমন্ত্রী গরহাজির ছিলেন। |
বিরোধিতা হয়নি, অভিযুক্ত দুই সরকারি কর্মীর জামিন |
কলকাতার এক আদালতে সোমবার আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের রেজিস্ট্রার অমিতাভ মাইতি এবং অর্থ দফতরের উপসচিব অরুণ পাল। তবে এ দিনও ওই দুই অভিযুক্তের জামিনের বিরোধিতা করেননি সরকারি কৌঁসুলি। শুক্রবার একই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পান মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের কর্মী, তৃণমূল প্রভাবিত সরকারি কর্মী সংগঠনের নেতা সঞ্জীব পাল। তাঁরও জামিনের বিরোধিতা করেনি সরকার। সহকর্মীদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই তিন জনের বিরুদ্ধে অগস্টে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত। কিন্তু তাঁরা মহাকরণে এলেও তাঁদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এমন গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সরকারি আইনজীবী কেন তাঁদের জামিনের বিরোধিতা করলেন না, সেই প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনিক মহলে। মহাকরণ সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে কাজ করার সুবাদে এবং শাসক দলে প্রভাব থাকার কারণেই তাঁদের জামিনের বিরোধিতা করেননি সরকারি কৌঁসুলি। তবে মহাকরণের এক কর্তার দাবি, “এটা ফাঁসি বা যাবজ্জীবনের মতো অপরাধ নয়। মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। তাই রীতি অনুযায়ী জামিনের বিরোধিতা করা হয়নি।” অভিযুক্তদের আইনজীবী অনিন্দ্য রাউত বলেন, “আমার মক্কেলরা কারও অর্থ আত্মসাৎ করেননি। এঁদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছে।” |
১০ টাকা ধার নেন খাদিম-কর্তা |
সল্টলেকের বাড়িতে খাদিম-কর্তাকে তিনিই পৌঁছে দিয়েছিলেন বলে ট্যাক্সিচালক বিশ্বনাথ মণ্ডল সোমবার আদালতে জানান। খাদিম-কর্তা অপহরণ মামলার দ্বিতীয় পর্যায়ের বিচারে বিশ্বনাথবাবু তৃতীয় সাক্ষী। এ দিন আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের বিশেষ আদালতে শাহবাজ ওরফে নুর মহম্মদ, মুজাম্মেল শেখ-সহ ছয় অভিযুক্তই হাজির ছিল। বিচারক কাজী সফিউর রহমানের এজলাসে বিশ্বনাথবাবু তাঁর সাক্ষ্যে জানান, ২০০১ সালের ২ অগস্ট বেলা ২টো নাগাদ তিনি ট্যাক্সি নিয়ে নাগেরবাজারে দাঁড়িয়ে ছিলেন। একটি লোক রিকশা থেকে নেমে জানতে চান, তিনি সল্টলেক যাবেন কি না। লোকটির কাছে রিকশার ভাড়াও ছিল না। তাই ট্যাক্সিচালকের কাছ থেকে ১০ টাকা চেয়ে নিয়ে তিনি রিকশার ভাড়া মেটান। বিশ্বনাথবাবু বলেন, “সল্টলেকের বাড়িতে পৌঁছে দেখি, ভিড় জমে গিয়েছে। জানতে পারি, যাঁকে নিয়ে এসেছি, তিনি খাদিম শু কোম্পানির মালিক পার্থ রায়বর্মন।” |
মহাশ্বেতার কাছে এ বার প্রদীপ |
মুখ্যমন্ত্রীর পর, এ বার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। মহাশ্বেতা দেবীর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে সোমবার তাঁর বাড়িতে যান প্রদীপবাবু। সঙ্গে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা মায়া ঘোষ। এ দিনই মহাশ্বেতার ৮৮ তম জন্মদিন। প্রদীপবাবু তাঁকে দিলেন ঘিয়ে রঙের, সবুজ রঙের নকশা পাড়ের মুর্শিদাবাদ সিল্কের শাড়ি, গোলাপ ফুল আর মিষ্টি। সাক্ষাৎ সেরে প্রদীপবাবু বলেন, “মহাশ্বেতাদিকে বললাম আপনি পরিবর্তনের পুরোধা। আজকে যে পরিস্থিতি হয়েছে তা নিয়ে আপনাকে মুখ খুলতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আপনাকে এগিয়ে আসতে হবে।” কী বলেছেন মহাশ্বেতা দেবী? প্রদীপবাবুর জবাব, “উনি ভেবে দেখবেন জানিয়েছেন।” তবে মহাশ্বেতা দেবীর পক্ষ থেকে এ দিনও জানানো হয়েছে, এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। |
চক্ররেলের ধাক্কায় মৃত্যু |
চক্র রেলের ধাক্কায় মৃত্যু হল গঙ্গাসাগর-যাত্রী ভিন্ রাজ্যের এক বৃদ্ধার (৬০)। সোমবার, ইডেনের কাছে। রেল ও পুলিশ জানায়, লাইন পেরোতে গিয়ে ওই দুর্ঘটনা। হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। রেল সূত্রে খবর, নিষেধ করা সত্ত্বেও পুণ্যার্থীরা লাইনের উপর দিয়ে যাতায়াত করেন। এ দিনের দুর্ঘটনাও তার জেরেই বলে রেলকর্তাদের একাংশের মত। |