জকপুরে ইকো ট্যুরিজম পার্ক তৈরির পরিকল্পনা করেছে জেলা প্রশাসন। এ নিয়ে পদক্ষেপও শুরু হয়েছে। জকপুর ও তার আশপাশ এলাকায় ছোট- বড় মিলিয়ে প্রায় দেড়শোটি নার্সারি রয়েছে। যেখানে ফুলের চাষ হয়। এই নার্সারিগুলোকেও ওই পার্কের মধ্যে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। তার আগে নার্সারি মালিকদের নিয়ে বৈঠক করল তৃণমূল।
প্রশাসনের ঠিক কী পরিকল্পনা, এরফলে এলাকার উন্নয়নে কী কী হবে, এ ক্ষেত্রে মালিকদের কোনও প্রস্তাব বা মতামত রয়েছে কি না, তা জানতেই এই বৈঠক বলে দলীয় নেতৃত্ব জানিয়েছেন। বৈঠকে ছিলেন জেলা তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি। তাঁর কথায়, “এই এলাকায় ইকো ট্যুরিজম পার্ক তৈরির পরিকল্পনা করেছে প্রশাসন। এ ক্ষেত্রে আমরা সব রকম ভাবে সহযোগিতা করব। ট্যুরিজম পার্ক হলে এলাকারই উন্নয়ন হবে। এখানে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় দেড়শোটি নার্সারি রয়েছে।
নার্সারি মালিকদের প্রস্তাব এবং মতামত জানতেই বৈঠক হয়েছে।”
এমন বৈঠক তো প্রশাসন করবে, শাসক দল কেন? স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, প্রশাসন তাদের মতো পদক্ষেপ করছে। পরিকল্পনা রুপায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এই পরিকল্পনার কথা জানতে পেরে নার্সারি মালিকরাই বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই মতো রবিবার বিকেলে জকপুর প্রাথমিক স্কুল চত্বরে বৈঠক হয়। অজিতবাবু বলেন, “নার্সারি মালিকেরাও জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে তাঁরা প্রশাসনকে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করবে। তাঁদের কিছু প্রস্তাব রয়েছে। আমরা ওই প্রস্তাব এবং মতামত জেলাশাসক ও বিডিওকে জানাব।” খড়্গপুর ২ নম্বর ব্লকের জকপুরে বহু প্রাচীণ মনসা মন্দির রয়েছে। প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল ও শনিবার প্রচুর ভক্ত আসেন। জেলার বাইরে থেকেও বহু মানুষ পুজো দিতে আসেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এলাকায় ইকো ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়। এলাকায় ছোট- বড় মিলিয়ে প্রায় দেড়শোটি নার্সারি রয়েছে। এই নার্সারিগুলোকেও ওই পার্কের মধ্যে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এলাকার সকলেই চাইছেন, পরিকল্পনা মতো দ্রুত কাজ শুরু হোক। অজিতবাবুর কথায়, “নার্সারি মালিকদের পাশাপাশি স্থানীয় গ্রামাবাসীরাও বৈঠকে ছিলেন। সকলেই চাইছেন, ট্যুরিজম পার্কের কাজ দ্রুত শুরু হোক। গ্রামবাসীরা বুঝতে পেরেছেন, পার্ক গড়ে উঠলে এলাকারই উন্নয়ন হবে।” |