এক সময় হিমুলের উদ্যোগে পানীয় জল বোতলবন্দি করে বাজারজাত করা হত। পিপিপি প্রকল্পে তা চালু করা হয়েছিল বাম জমানাতেই। তবে ওই কারখানা ঠিক মতো চালাতে পারেনি বরাত পাওয়া সংস্থা। তারা উৎপাদন বন্ধ করে দেন। সোমবার শিলিগুড়ির এমএপিএইচ হোল্থ কেয়ার প্রাইভেট লিমিটেড নামে নতুন মালিকপক্ষের সঙ্গে ওই কাজ ফের শুরুর চুক্তি হয় হিমুলের। এ দিন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের উপস্থিতিতে তাঁর দফতরে ওই সংস্থার সঙ্গে হিমুলের চুক্তি পাকা হয়। সেই মতো আগের সংস্থার কাছে হিমুলের যে ১০ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে তা তারা মিটিয়ে দিতে রাজি হয়েছেন। উপস্থিত ছিলেন হিমুলের চেয়ারম্যান শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক বৈভব শ্রীবাস্তব। জানুয়ারির শেষ থেকে ফের বোতলবন্দি হিমুলের জল বাজারে সরবরাহের চেষ্টা করছেন বলে জানান। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “ক্রমেই হিমুল ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এই সংস্থাকে চাঙা করতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর তৎপর। শেষ ৩৪ বছরে হিমুলের মুখ থুবড়ে পড়েছে। সেই অবস্থা থেকে ধুরে দাঁড়াতে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার প্রায় ৫ কোটি কাটা দিয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর আর্থিক সহায়তা করছে।”
দুধ প্যাকেটজাত করে বাজারে সরবরাহ করার পাশাপাশি গরুমহিষের খাবার প্রস্তুত করার প্রকল্প রয়েছে হিমুলের। পাশাপাশি দুধ জাত বিভিন্ন জিনিস তৈরিও হত এক সময়। পিপিপি মডেলে গড়ে জল বোতলবন্দি করে বাজারজাত করার কারখানাও। কিন্তু কর্মীদের একাংশের অসযোগিতায় ক্রমেই ওই প্রকল্প বন্ধ করে দিতে হয় বলে মালিকপক্ষ অভিযোগ তোলেন। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে তাঁরা ওই কারখানা তৈরি করেছিলেন। নতুন মালিকপক্ষ তাদের পাওনাও মিটিয়ে দিতে সম্মত হন।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী জানান, হিমুলকে ঘুরে দাঁড় করাতে সরকার সাহায্য করছে। কর্মীদের সঠিক ভাবে কাজ করতে হবে। তা কেউ না করলে বরদাস্ত করা হবে না। হিমুলের চেয়ারম্যান জানান, চুক্তি মতো প্রতি লিটার জল সর্বাধিক ১৫ টাকা দরে বিক্রি করবে ওই সংস্থা। এক বছর মাসে ৪৫ হাজার টাকা করে হিমূলকে দেবে নতুন সংস্থাটি। দ্বিতীয় বছর থেকে মাসে ৬০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। পরে ‘আউট সোর্সিং’-এর মতো আরও কিছু পরিকল্পনা সংস্থার তরফে নেওয়া হবে। হিমুলের আয় বাড়বে। প্যাকেটজাত দুধ উৎপাদনের যে প্রকল্প রয়েছে সেটি লাভজনক স্তরে পৌঁছেছে বলে জানান কর্তৃপক্ষ। |