চালককে আটক করায় অবরোধ বাসের কর্মীদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
বাসকর্মীদের সঙ্গে আরপিএফের ঝামেলায় সোমবার সকালে গণ্ডগোল হল আসানসোল স্টেশনে। তার জেরে বেশ কিছুক্ষণ বাস চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে আরপিএফ কমান্ড্যান্টের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ আসানসোল স্টেশনমুখী একটি বড় বাসের চালক অরূপ সিংহকে আরপিএফ কর্মীরা পাকড়াও করে নিজেদের আউটপোস্টে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তাতে ওই স্টেশন চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা বাস চালকেরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মাঝরাস্তায় আড়াআড়ি ভাবে বাস দাঁড় করিয়ে দেন তাঁরা। ফলে গোটা এলাকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সমস্যায় পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। |
|
বিপাকে যাত্রীরা। সোমবার ছবিটি তুলেছেন শৈলেন সরকার। |
আরপিএফের দাবি, স্টেশনে ঢোকার রাস্তার মাঝে বাস দাঁড় করিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে যাত্রীদের ওঠা-নামা করছিল একটি বড় বাস। তার জেরে স্টেশনে ঢুকতে গিয়ে বাধা পাচ্ছিলেন রেলযাত্রীরা। আরপিএফের দাবি, চালককে ওই জায়গা থেকে বাস সরাতে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কথা শোনেননি। তাই তাঁকে আরপিএফ আউটপোস্টে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবশ্য ছেড়েও দেওয়া হয়। তবে অরূপবাবুর বক্তব্য, তিনি এমন কোনও আচরণ করেননি। তাঁর বক্তব্য, “রাস্তার পাশেই বাস দাঁড় করানো হয়েছিল। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আরপিএফ আমাকে ধরেছে।” এ দিন ওই বাসচালককে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পৌঁছতেই ঘটনাস্থলে চলে আসেন তৃণমূল অনুমোদিত বাসকর্মী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজু অহলুওয়ালিয়া। তিনি আরপিএফের কাছে ওই বাস চালককে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান। তাতে কাজ না হওয়ায় রাজুবাবুর নেতৃত্বে স্টেশনমুখী বড় বাস ও মিনিবাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। আচমকা বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রীতিমতো সমস্যায় পড়েন সাধারণ লোকজন। বিশেষ করে মকরসংক্রান্তি উপলক্ষে এ দিন বহু পুণ্যার্থীই আসানসোলের দিকে যাচ্ছিলেন বা সেখান থেকে ফিরছিলেন। তাঁদের দীর্ঘক্ষণ স্টেশন চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। প্রায় ৪৫ মিনিট পর আরপিএফ কমান্ড্যান্ট অমরেশ কুমারের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। |
|