|
|
|
|
সম্মেলনে হামলা |
পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ডিওয়াইএফ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
সংগঠনের সম্মেলন মঞ্চে হামলার ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাল ডিওয়াইএফ। সোমবার বিকেলে আসানসোল উত্তর থানায় ঘণ্টাখানেক অবস্থান বিক্ষোভ করে তারা। দেওয়া হয় স্মারকলিপিও। পরে অবশ্য পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করে অভিযুক্তদের শাস্তির আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ থামে।
রবিবার সকালে আসানসোলের নুনি এলাকায় ডিওয়াইএফের বারাবনি ১ লোকাল কমিটির সম্মেলন ছিল। অভিযোগ, সকাল ১০টা নাগাদ এক দল দুষ্কৃতী সম্মেলন মঞ্চে হানা দিয়ে ভাঙচুর চালায়। পরে গ্রামবাসীদের প্রতিরোধে পালিয়ে যায় তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতিতে তড়িঘড়ি সম্মেলন শেষ করেন সংগঠনের নেতারা।
রবিবার বারাবনির যে এলাকায় ডিওয়াইএফআইয়ের সভামঞ্চে ভাঙচুর ও হামলা হয়েছে তা তৃণমূলের খাসতালুক হিসেবে পরিচিত। ডিওয়াইএফ নেতাদের অভিযোগ, হামলায় জড়িত দুষ্কৃতীরা সকলেই তৃণমূল আশ্রিত। আসানসোল উত্তর থানায় ১৩ জনের নামে অভিযোগও দায়ের করা হয়। কিন্তু পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ ডিওয়াইএফ নেতারা। দলের জেলা কমিটির সদস্য ওয়াসিমুল হক অভিযোগ করেন, দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের বদলে পুলিশ তাঁদের কর্মীদের বাড়িতেই হানা দিচ্ছে। এর প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে কয়েকশো ডিওয়াইএফ সদস্য-সমর্থক থানায় বিক্ষোভ অবস্থান করেন। যদিও পুলিশ অভিযোগ মানতে চায়নি। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এডিসিপি (সেন্ট্রাল) সুরেশকুমার চাডিয়া জানান, দু’তরফের অভিযোগই জমা পড়েছে। পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত শুরু করেছে। সে দিনের ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তাঁর আশ্বাস।
রবিবারের ঘটনার প্রতিবাদে ১৬ জানুয়ারি দোমহানি হাটতলায় একটি সমাবেশের ডাক দিয়েছে ডিওয়াইএফ। বারাবনি ১ লোকাল কমিটির সম্পাদক কপিল ঘোষের দাবি, প্রতিবাদসভায় বেশি সংখ্যায় যুবকর্মীদের হাজির করানোর উদ্দেশেই এখন বুথ পর্যায়ে প্রচার অভিযান চলছে। প্রতিবাদসভার আগে সমস্ত রকম প্ররোচনা এড়াতে তাঁরা আর কোনও সাংগঠনিক কর্মসূচিও নিচ্ছেন না। সংগঠন সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বারাবনি জোনাল কমিটির অন্তর্গত প্রায় ২৫ হাজার সদস্য রয়েছেন। ১৬ জানুয়ারির প্রতিবাদসভায় কমপক্ষে ৭০ শতাংশ সদস্যকে হাজির করানোই তাঁদের লক্ষ্য। |
|
|
|
|
|