বাগবাজার স্ট্রিট হল গঙ্গার ঘাটে যাওয়ার একটা প্রাচীন পথ। ঘাটের কাছাকাছি শাঁখারির দোকান ছিল। এখন বোধ হয় একটি মাত্র অবশিষ্ট আছে। এয়োরা গঙ্গায় স্নান করে হাতে শাঁখা পরত, পাশেই কালীমন্দির। নতুন শাঁখা হাতে পুজো দিত। একটি শাঁখার দোকানের অবলুপ্তির ইতিহাস আমি জানি। আমাদের ছাত্রাবস্থায় একটা শাঁখার দোকানে আড্ডা মারতে যেতাম। বউদিরা সব শাঁখা পরতে আসত। বন্ধুর নাম নরনাথ। আর কী মজা, নরনাথের দোকানের উল্টো দিকেই ছিল হরনাথ বালিকা বিদ্যালয়।
নরনাথের পিতৃবিয়োগ হয়েছিল কম বয়েসে। ওকেই শাঁখার দোকানটা সামলাতে হত। ওর ক্লাসের পরীক্ষাটা আমরাই সামলে দিতাম। কিন্তু হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষাটা সামলাতে পারলাম না। নরনাথের কোয়ালিফিকেশন হাঃ সেঃ ফেল হয়েই থাকল।
বউদিদের শাঁখা পরিয়ে দিত নরনাথ। ইচ্ছে করে প্রথমে ছোট সাইজের শাঁখা পরাতে চেষ্টা করত। ছোট থেকে বড়র দিকে যেত, যাতে হাতটা নিয়ে বেশি ক্ষণ খেলা করা যায়। হাত
ছবি: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য
সঁপে দেওয়া বউদিদের সঙ্গে কত গল্প করত! ওই বয়সেই নরনাথ জানত শুক্তুনিতে কাঁচা দুধ দিলে স্বাদ হয়, চালের গুঁড়ো মেখে কুমড়োফুল ভাজলে মুচমুচে হয়, আর শাঁখা-ধোয়া জল মঙ্গলবারে স্বামীকে খালি পেটে খাইয়ে দিলে সে স্বামী আনবাড়ি যায় না। মামেগো, ভাসুরে, কুমড়ো-কাটা এ সব কথার গূঢ়ার্থ নরনাথ জানত। কত বউদির মনের কথা এবং মনের ব্যথা জেনেছে, এবং ও-সব জানতে গিয়ে প্রচুর শাঁখা ভেঙেছে। শাঁখা বেশ দামি জিনিস। ভাঙলে ওরই ক্ষতি। গল্প করতে গেলে শাঁখা ভাঙতেই হত। শাঁখা ভাঙলেই তো বেশি সময়। তার উপর নরনাথ দামও কমাত। কষ্ট হাসিতে যতটা কমাত, মিষ্টি হাসিতে আরও কমাত, দুষ্টু হাসিতে অনেক কমাত।
নরনাথ এক দিন বলল, শাঁখার দোকানটা চালাতে পারলাম না ভাই। প্রচুর লস হচ্ছে। একটা স্টেশনারি দোকান করব, ওখানে নারীরাই আসবে এমন কথা নেই।
নরনাথের শাঁখার দোকান উঠে গেল। বেশ কিছু বয়াম এল। বয়ামে বিস্কুট, লজেন্স, কেক ইত্যাদি। পাঁউরুটি, চিঁড়ে, নকুলদানা, এ-সবও রাখত। স্বামী বিবেকানন্দ যা-ই বলুন না কেন, খালি পেটেই ধর্ম হয়। গঙ্গা-স্নানার্থীরা খালি পেটে স্নান করার পর জলযোগ করত। আশেপাশে কচুরি-সিঙাড়া-তেলেভাজারও কয়েকটা দোকান ছিল। বাঙালি অম্বলপ্রবণ জাতি বলে অনেকেই নরনাথের দোকান থেকে মুড়ি-বাতাসা কিনে খেত। চিঁড়ে ভিজিয়ে নকুলদানা দিয়েও খেত। নরনাথ কিছু শুকনো লাড্ডুও রাখতে লাগল বয়ামে। সেই লাড্ডুও খুব বিকোতে লাগল। আমরা তখন কলেজের পার্ট টু দিয়ে দিয়েছি। সত্তরের দশকে পরীক্ষাটা যদিও কোনও ক্রমে হত, রেজাল্ট বেরোতে চার-পাঁচ মাস সময় লেগে যেত। তখন অনন্ত আড্ডা। নরনাথের দোকানের সামনেও। নরনাথের দোকানে চানাচুর, ঝুরিভাজাও ছিল, সেফটিপিন-ফিতে-স্নো-পাউডার-সিঁদুর-ক্লিপও ছিল। নারীর হাত থেকে বাঁচার জন্য শাঁখার বদলে স্টেশনারি দোকান করল নরনাথ, কিন্তু নারী এড়াতে পারল না।
আমাদের বাংলা ভাষায় আদরার্থে ‘উ’ যোগ হয়। নরনাথও অচিরেই নরুদা হয়ে গেল। হরনাথ বালিকা বিদ্যালয়ের কিশোরীকুল ‘ও নরুদা দুটো মাছলজেন্স’, ‘ও নরুদা, চার আনার চানাচুর’... এর পরই ওরা বলত, ‘এ বার ফাউ দাও, ফাউ?’

নরনাথ প্রচুর ফাউ দিত। ফাউ দিতে ওর জুড়ি মেলা ভার। ফাউ চাইলেই হাতটা ধরে একটা লজেন্স গুঁজে দিত। দু’গজ চুলের লাল ফিতে কিনে উচ্ছল কিশোরী বলত, ও নরুদা, ফাউ? নরনাথ উজ্জ্বল মুখে হাতটা টেনে নিয়ে সেই হাতে গুঁজে দিত একটা ক্লিপ, কিংবা হাফ-মুঠো মৌরি লজেন্স। দোকানের বয়ামগুলো ক্রমশ ফাঁকা হতে লাগল। কিছু দিন পর দেখা গেল লাড্ডুর বয়ামের ভিতরে দুটো বিভ্রান্ত আরশোলা মাত্র, চানাচুরের বয়ামে বাদামের কয়েকটা রিক্ত লাল খোসা, ফিতে নেই, শুধু ফিতে জড়ানো কাঠের ন্যাংটো রিলটা পড়ে আছে।
নরনাথ বলল, এটাও চালাতে পারলাম না রে, সেই হাত। হাতেই চলে গেল। আমার হাতে ব্যাপারটা নেই আর। আর নারী নয়। স্টেশনারিও নয়। এ বার ওষুধের দোকান করব।
ফাউসূত্রে ওর একটা প্রেম হয়েছিল। ফাউ-প্রেমিকাকেই বিয়ে করে ফেলল। শ্বশুরবাড়ির টাকায় ওষুধের দোকান করল। কিন্তু হাত থেকে নিষ্কৃতি পেল না। ব্লাড প্রেশার মাপাটা শিখে নিয়েছিল নরনাথ। অনেকেই ওর কাছে প্রেশার মাপত, বিশেষত মহিলারা। এক নারী স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া-মারামারি করেই নরনাথের দোকানে এসে প্রেশার মাপিয়ে যেত। প্রেশার বেশি হলে প্রেশার কমানোর ওষুধ ফাউ নিয়ে যেত। ওই নারীর সঙ্গে একটা প্রেশারঘটিত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল নরনাথের।
এক দিন শুনলাম নরনাথকে পুলিশে ধরেছে। কয়েক দিন জেল হাজতে থেকে জামিন পেয়েছে। কারণটা জানলাম। ওই মহিলা শুধু প্রেশার নয়, ঘুমের ওষুধও চাইত। নরনাথ হাতটা টেনে নিয়ে দু’একটা ঘুমের বড়ি গুঁজে দিত।
ভদ্রমহিলা অনেকগুলো বড়ি জমিয়ে একসঙ্গে খেয়ে নিয়েছিল। এ বার এই দোকানটাও উঠিয়ে দিতে হবে রে... নরনাথ বলেছিল। কিছুই তো আমার হাতে নেই...


• গাড়ি চড়ে শান্তিনিকেতন যাবেন। হোটেল বুক করা আছে। প্রতিবেশীর কাছে গর্ব কমপ্লিট,
ভোরে উঠে লাগেজ-টাগেজ বাঁধাছাঁদা শেষ। এই সময় ড্রাইভার চাকরি ছেড়ে দিল।
• বাড়িতে একা। জাঙিয়া পরে ব্যায়াম করছিলেন।
খবরকাগজওলা বেল দিয়ে গেল। বেরিয়ে সট করে
কাগজটা তুলে ঢুকে আসবেন, ঠিক তক্ষুনি দড়াম!
হাওয়ার ঝাপটায় দরজা পড়ে গেল।
• বহু কষ্টে এক ইয়াং মেয়েকে ইমপ্রেস করেছেন। পরকীয়া
শুরুর জন্য সুনসান দুপুরে তার বাড়ি গেছেন। বীভৎস
আওয়াজ পেয়ে আঁতকে উঠে জানলেন, তার বুড়ি ঠাম্মা
পাশের ঘরে সারা ক্ষণ এই ভাবে হাঁপ টানবেন।

রাষ্ট্রপতির কাছে আসা অগুন্তি অভাবঅনুযোগভারাক্রান্ত চিঠির মধ্যে ‘অন্য রকম’ একটি চিঠি দিনের আলোয় এল, প্রেরক ১৬৫ জন প্রতিবন্ধী বৃদ্ধবৃদ্ধা। মহারাষ্ট্রের যবতামল জেলার মহাগাঁও তহসিলভুক্ত ৫৪টিরও বেশি গ্রামের এই বাসিন্দারা চিঠিতে ‘আত্মহত্যার অধিকার’-এর আবেদন জানিয়েছেন। সরকারের তরফ থেকে নানা কল্যাণমূলক প্রকল্পের অধীনে এঁদের পেনশন দেওয়া হত। কিন্তু গত দু’বছর ধরে তা অজানা কারণে আটকে। তদবির-ছুটোছুটি-চিঠিচাপাটি, লাভ হয়নি কিছুতেই। ফলে পেটের ভাত-পরনের কাপড়-ওষুধপথ্যের সংস্থান শিকেয়, আর নিজেরা যে গতর খেটে রোজগার করবেন, তাতেও জলজিয়ন্ত কাঁটা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা। পেনশন বন্ধ হওয়ায় কাছের মানুষও মুখের ওপর দোর দিয়েছে, পথে বেরোলে অঝোরে কানাখোঁড়াহাবাপাগলা বিদ্রুপবর্ষণ। পরিবার ও সমাজের গলগ্রহ হয়ে বেঁচে থাকা নিতান্ত অর্থহীন, তাই স্থানীয় তহসিলদার মারফত দেশের ফার্স্ট সিটিজেনের কাছে জমা দেওয়া চিঠিতে তাঁদের দাবি: ২৬ জানুয়ারির মধ্যে তাঁদের হকের টাকা দেওয়া হোক, নয়তো ওই দিনই তাঁরা গণ-আত্মহত্যা করবেন। রাষ্ট্রপতি কী উত্তর দিয়েছেন বা দেবেন তা পরের কথা, কিন্তু নতুন বছরেও এ প্রজাতন্ত্র উপেক্ষা-অবমাননা-উদাসীনতার গড্ডলিকাস্রোতে ভাসমান।

চাঁদে প্রথম পা ফেলে যাঁর ভূখ্যাত উক্তি That’s one small step for a man, one giant leap for mankind, সেই নিল আর্মস্ট্রং-এর মৃত্যুর পর তাঁর ভাই জানালেন, এই অমর শব্দচয় নিল আদৌ তক্ষুনি ভেবে বলেননি, রীতিমত মকশো করে রেখেছিলেন ক’হপ্তা আগেই। জানাজানি হতেই শুরু আন্তর্জাল-কানাকানি: এ ঘোর চিটিংবাজি, যে শব্দগুলো কালজয়ী হল ওই মুহূর্তসঞ্জাত হিসেবে, তারা বাসি? রাগের কিচ্ছু নেই, যতেক কাণ্ড আমরা ধরে নিই চকিত আইডিয়া-বিদ্যুৎ হিসেবে, আদতে তা অংশত বা গোটাটাই আগে ভেবে রাখা, জ্ঞানত বা অবচেতনে। ফরাসি পরিচালক গোদার বলেছিলেন, ইম্প্রোভাইজেশন মানে পূর্ব-ভাবনা পরে মোক্ষম ক্ষণে লাগিয়ে দেওয়া। আর, এই দৈব হঠাৎ-গিরির আলখাল্লা সরিয়ে নিলে উক্তি/ধারণা/ক্রিয়ার মহিমা কম হবে কেন? অস্কার ওয়াইল্ড-এর তুখড় সুবচনগুলিও লেখা রীতিমত সময়-ঘাম ব্যয়ে, পরে পরিস্থিতি বুঝে লাগাতেন। ধারাভাষ্যকার নভজ্যোৎ সিংহ সিধুর তাৎক্ষণিক ‘হট্কে’ মন্তব্য-উপমাও সযত্ন কোটেশন বই-লালিত। শ্রম সৃষ্টিকে নিচু করে: এ উদ্ভট অপসংস্কার। অনুশীলন ও চিন্তনের ভারে সময়োচিত সুপ্রয়োগের ধার কমে না।

৫০০০০
অ্যাবটাবাদের বাড়ি তৈরির জন্য এক রাজস্ব আধিকারিককে যত পাকিস্তানি মুদ্রা ঘুষ দিয়েছিলেন ওসামা বিন লাদেন
২,৬৯,০০,০০০
মেয়েরাই রোজগার করে সংসার চালাচ্ছেন,
ভারতে এ রকম মোট যত সংখ্যক পরিবার
আছে বলে জনগণনায় প্রকাশ
৬.৫

রাজ্য পুলিশের জন্য সদ্য কেনা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটগুলোর এক একটার ওজন যত কেজি


ফোর্বস পত্রিকার সমীক্ষায় পর
পর যত বছর ‘ভারতের সবচেয়ে ধনী
ব্যক্তি’র শিরোপা পেলেন মুকেশ আম্বানি

৬২
চৌরঙ্গি রোডে কলকাতা
শহরের নির্মীয়মাণ প্রথম
স্কাইস্ক্রেপার ‘দ্য ফর্টি টু’
যত তলা হবে

২২৩০০০০০০
মার্কিন প্রেসিডেন্ট
বারাক ওবামার ‘বিশেষ’
উড়োজাহাজ ‘ডুম্স ডে’র
দাম যত ডলার

১৫
ঠান্ডায় শরীর ভাল রাখতে
যত গ্রাম করে চ্যবনপ্রাশ
খেতে দেওয়া হচ্ছে পটনা
চিড়িয়াখানার শিম্পাঞ্জিদের



২০১২ সাল জুড়ে দিল্লিতে দায়ের হওয়া মোট ৬৩৫টি ধর্ষণ মামলার মধ্যে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে যত জন। অর্ধেক ক্ষেত্রে মামলা চলছে, বাকিদের ক্ষেত্রে তদন্ত এখনও শেষ হয়নি

 

সী

চৌ
ধু
রী
মেয়েদের নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি... দারুণ চিল্লাচিল্লি
নিয়মমতই সে’সব দেখিয়ে মিডিয়া করছে খিল্লি
মিছিমিছি তোরা রাজপথে গিয়ে মোমবাতি হাতে মিললি
কলকাতা ঠিকই হবে লন্ডন... বারাসত হবে দিল্লি।

থার্মোমিটারে পারা নেমে গেছে, শীতে প্রায় জবুথবু
এই বাংলাকে কিছুতে ঠান্ডা হতে দিচ্ছি না তবু
গরম রাখতে জ্বলে গাড়ি, বাড়ি, পার্টি অফিস, ভিটে...
ক্ষমতা পেয়েছি, পরোয়া করি না: কী উঠছে মার্কশিটে
শ্মশানশান্তি যদি চাও, তাও পারব পাঁচ মিনিটে!

লেটারিং বেটারিং
এ আমার এ তোমার পাপ








First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.