সিপিএম নেতা প্রহৃত ধনেখালিতে
বাড়িতে ঢুকে সিপিএমের ধনেখালি মহামায়া শাখা কমিটির সম্পাদক নিরাপদ চককে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নিরাপদবাবুর ডান পা ভেঙেছে। মুখে, কোমরে ও পিঠে গুরুতর চোট রয়েছে। বুধবার জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, ওই ঘটনায় এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত হবে।
ছবি: তাপস ঘোষ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ জনা ২০ যুবক বাঁশ-রড নিয়ে ধনেখালির মির্জানগরের বাসিন্দা নিরাপদবাবু বাড়িতে চড়াও হয়। নিরাপদবাবু তখন খাচ্ছিলেন। ওই যুবকেরা ঢুকেই তাঁকে বেধড়ক মারতে থাকে। তাঁকে বাঁচাতে এসে প্রহৃত হন তাঁর বড় ছেলে সৌমেনও। তাঁকে মারতে মারতে বাড়ির বাইরে এনে দোকানঘরে আটকে রাখা হয়। এরপর নিরাপদবাবুকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে হামলাকারীরা চলে যায়। বাড়ির লোককে খুনের হুমকি দিয়ে ওই রাতে নিরাপদবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও ওই যুবকেরা বারণ করে বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের চেষ্টায় গভীর রাতে নিরাপদবাবুকে ধনেখালি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করানো হয় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। নিরাপদবাবু বলেন, “জনা দশেক তৃণমূলের ছেলে মারতে থাকে। শেষে স্ত্রীর কাকুতি-মিনতিতে ছেড়ে দেয়। বিদ্যুতের জ্যামার নামিয়ে এলাকা অন্ধকার করে ওরা হামলা চালায়।” সিপিএমের ধনেখালির জোনাল সম্পাদক দিলীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “পার্থবাবু সোমবার ধনেখালিতে এসেছিলেন। মঙ্গলবারই ওরা হামলা চালাল। ধনেখালিতে তাণ্ডব চালাচ্ছে। শাখা সম্পাদককে প্রাণে মারার চেষ্টা হয়েছিল। থানায় অভিযোগ জানালে হয়তো প্রাণেই মেরে দেবে।” ধনেখালির বিধায়ক তৃণমূলের অসীমা পাত্র বলেন, “দলের কেউ ওই হামলায় যুক্ত নেই। ওরা এত দিন ধনেখালিতে সন্ত্রাসের রাজনীতি করেছে। এখন ওদের লোকজনই বিক্ষুব্ধ হয়ে চড়াও হচ্ছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.