চলতি অর্থবর্ষে ফের যাত্রী-গাড়ি বিক্রির পূর্বাভাস কমাল নির্মাতা সংস্থাগুলির সংগঠন সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (সিয়াম)। এই নিয়ে চার বার।
মূলত অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে গাড়ি বিক্রির পরিসংখ্যানের জেরেই এ বছর বৃদ্ধির হার মাত্র শূন্য থেকে ১ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে বুধবার জানিয়েছে তারা। যা হবে গত ন’বছরে সর্বনিম্ন। ফলে এটা স্পষ্ট যে, অন্যান্য বারের মতো এ বছর উৎসবের মরসুমে গাড়ি বিক্রির পালে হাওয়া লাগেনি। এমনকী বাজারে একগুচ্ছ নতুন গাড়ি এনেও সংস্থাগুলি মন পায়নি ক্রেতার। সিয়ামের পরিসংখ্যান মাফিক, ডিসেম্বরেও বিক্রি ১২.৫% কমে হয়েছে ১,৪১,০৮৩। এপ্রিল-ডিসেম্বরে রফতানি কমেছে ৩%।
অর্থবর্ষের শুরুতে গত এপ্রিলেও বিক্রি বৃদ্ধি ১০-১২% হবে বলে আশা করেছিল সিয়াম। জুলাইয়ে তা কমিয়ে ৯-১১% এবং অক্টোবরে ১-৩% হবে বলে পূর্বাভাস দেয় তারা। এ দিনের এই আশঙ্কার জেরেই তারা জানিয়েছে, কেন্দ্রের উন্নয়ন পরিকল্পনা অনুসারে ২০১৬-র মধ্যে ১৪,৫০০ কোটি ডলার আয় করা এই শিল্পের পক্ষে সম্ভব হবে না। সেই সময়সীমা বাড়িয়ে ২০২৬-এ নিয়ে যেতেও কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছে সংগঠন।
সমস্যা সামাল দিতে গাড়ির উৎপাদন শুল্ক (বিশেষত বাণিজ্যিক গাড়ি) কমানোর সুপারিশ করেছে সিয়াম। সংগঠনের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সৌগত সেন জানান, অর্থবর্ষের পুরোটা জুড়েই বিভিন্ন ঘটনার জেরে মার খেয়েছে গাড়ি বিক্রি। কখনও জ্বালানির দাম ও চড়া সুদ। কখনও আবার মূল্যবৃদ্ধি এবং দেশের আর্থিক বৃদ্ধি কমে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে এই শিল্পে। এর জেরেই অর্থবর্ষের প্রথম ন’মাসে চার বার পূর্বাভাস কমাতে বাধ্য হয়েছে সিয়াম। তবে সামগ্রিক ভাবে যাত্রী ও বাণিজ্যিক গাড়ি এবং দ্বিচক্রযান মিলিয়ে বিক্রি বৃদ্ধি ৩-৫ শতাংশে দাঁড়াবে বলে মনে করছে তারা।
|
মনমোহনের দাওয়াই সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
দ্রুত বৈদ্যুতিন গাড়ি তৈরির পথে পা রাখার আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। এর ফলে আমদানি করা মহার্ঘ তেলের উপর গাড়ি শিল্পের নির্ভরতা কমবে বলে মনে করেন তিনি। তেল ও বিদ্যুৎ দু’ধরনের জ্বালানি ব্যবহার করা যায়, এমন গাড়ি তৈরিতেও জোর দিতে বলেন তিনি। জাতীয় বৈদ্যুতিন গাড়ি প্রকল্প, ২০২০ প্রকাশ করে তিনি এ প্রস্তাব দেন। |