বিনোদন ও-পার বাংলার দরজা খুলতে ঢাকায় টলিউড
কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেল। আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তার পরেই বদলে যেতে পারে বাংলা ছবির মানচিত্রটা।
বহুদিন ধরে চেষ্টা চলছে সিনেমার মাধ্যমে দুই বাংলাকে এক করার। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে ঢাকায় যাচ্ছেন টলিউডের প্রতিনিধিরা। আজ, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু-র আমন্ত্রণে ঢাকা যাচ্ছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, জিৎ, গৌতম ঘোষ, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী, মহেন্দ্র সোনি, শ্রীকান্ত মোহতা আর বিজয় খেমকা। ওখানকার আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা যদি ফলপ্রসূ হয়, তা হলে পয়লা বৈশাখ থেকেই টলিউডের ছবি বাংলাদেশে আর বাংলাদেশের ছবি এখানে মুক্তি পাবে। “যদি সত্যি ব্যাপারটা ঘটে যায়, একটা নতুন দিগন্ত খুলে যাবে টলিউডের,” স্পষ্ট বলছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
গত মাসে কলকাতায় ফিকি-র অনুষ্ঠানে এই নিয়ে প্রথম আলোচনা হয়। বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে এখানকার প্রতিনিধিদলের ওখানে যাওয়াটা সেই প্রক্রিয়ারই পরের ধাপ। “ভাবতে পারছেন? বাংলাদেশে যদি আমাদের ছবি মুক্তি পায় এবং ওদের ছবি এখানে মুক্তি পায়, তা হলে আমরা সারা বিশ্বের ২৫ কোটি দর্শকের কাছে পৌঁছে যেতে পারব,” উত্তেজিত প্রসেনজিৎ।
প্রসেনজিৎ একা নন। টলিউডের অনেকেই মনে করছেন, ইন্ডাস্ট্রির জন্য এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি। কারণ বাজারে একটা ‘স্যাচুরেশন’ এসে গিয়েছে। ভেঙ্কটেশ ফিল্মস-এর কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতা বলছিলেন, “আমাদের এখানে হল কমে আসছে। ডিভিডি রাইটস, স্যাটেলাইট রাইটস,
বক্স অফিস কালেকশন পুরোটাই একটা স্যাচুরেশনে পৌঁছে গিয়েছে। দীর্ঘমেয়াদে ভাবতে হলে বাজারটা বাড়াতেই হবে। আর সেটা বাড়ানোর সবচেয়ে ভাল জায়গা হল, বাংলাদেশ।”
ফিকি-র পূর্ব ভারতের এক উপদেষ্টা অবশ্য আরও বড় সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছেন। তাঁর মতে, দুই বাংলার সিনেমা এক হয়ে গেলে আঞ্চলিক ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সব থেকে বড় হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলা ছবির ইন্ডাস্ট্রির। “বাংলাদেশের বাজার খুলে গেলে আমরা তামিল, তেলুগুর মত বড় বাজার হয়ে যাব। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশিদের কাছেও অনায়াসে পৌঁছে যাওয়া যাবে,” জানাচ্ছে টলিউড।
বৃহস্পতিবার সারাদিন এই নিয়ে বাংলাদেশের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রসেনজিৎ-রা। তা ছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর ছেয়ে যাচ্ছে টলিউডের বাংলা সিনেমার পাইরেটেড ডিভিডিতে। যা থেকে ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি হচ্ছে বিপুল। তাই নিয়েও আলোচনা হবে।
“এই মুহূর্তে টলিউড ১০০ কোটির ইন্ডাস্ট্রি। বাংলাদেশে যদি আমাদের ছবি মুক্তি পায়, কম করেও ২০০-২৫০ কোটি টাকার ইন্ডাস্ট্রি হতে পারব আমরা। তা হলে ২০১৩-র টলিউডে সবচেয়ে বড় হিট হবে এটাই” স্বপ্নটার খুব কাছাকাছি চলে এসেছেন প্রসেনজিৎ-রা।

বচ্চন পরিবারের বধূ
মুম্বইয়ে এএফপির ছবি।
রুপোলি পর্দায় তাঁর দেখা মেলেনি দু’বছর হতে চলল। স্বামী-সন্তান নিয়ে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন এখন ঘোরতর সংসারী। মণিরত্নম বা কর্ণ জোহরের হাত ধরে তাড়াতাড়িই নাকি দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার পরিকল্পনা করছিলেন তিনি, কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল এমনটাই। তবে বুধবার ঐশ্বর্যা শুধু বললেন, “নতুন ছবি সই করলেই আপনাদের জানাব।” এ দিন একটি চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন ঐশ্বর্যা। সেখানে বললেন, “এই প্রথম এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলাম না।” তবে মন খারাপের কোনও জায়গা নেই। সাংবাদিক বৈঠকের জন্য আনা ট্রফিটাই সঙ্গে করে বাড়ি নিয়ে যাবেন, হাসতে হাসতে উত্তর দিলেন বচ্চন পরিবারের বধূ।

চাঁদের হাট
নতুন ছবির প্রচারে ইমরান এবং অনুষ্কা। ছবি: পিটিআই



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.