নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়ূরেশ্বর |
কেউ দিয়েছিলেন জমি, কেউ বা স্বেচ্ছাশ্রম। বছর সাতেক আগে নিজেদের চলাচলের রাস্তা নিজেরাই গড়েছিলেন ময়ূরেশ্বর থানার নতুন গ্রামের মানুষজন। কিন্তু সংস্কারের অভাবে সেই রাস্তাই এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এর ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই গ্রামের বাসিন্দাদের।
প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একসময় নতুন গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াতের কোনও রাস্তাই ছিল না। পঞ্চায়েত, স্কুল-কলেজ, বাজার-হাট এমনকী জীবন-জীবিকার প্রতিটি প্রয়োজনে গ্রামবাসীর ভরসা ছিল একমাত্র আলপথ। বর্ষার জল-কাদায় সেই আলপথ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ত। অন্য সময়ও তা ঢেকে যেত ফসলে। বারবার দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও প্রশাসন রাস্তা নির্মাণের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ২০০৫ সালে তাই গ্রামবাসীরাই জমি ও স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে বাজিতপুর থেকে নতুন গ্রাম পর্যন্ত ২ কিমি মাটির রাস্তা তৈরি করেন। স্থানীয় বাসিন্দা শঙ্কু মণ্ডল, অরুণ দাস-রা বলেন, “ওই সময় প্রশাসন আমাদের গড়া রাস্তাটিকে পাকা রাস্তায় রূপান্তরিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি।”
গ্রামবাসীদের দাবি, নান্দোরা বটতলা থেকে নতুন গ্রাম পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় পাকা রাস্তা নির্মিত হলে শুধু নতুন গ্রামই নয়, ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর এবং ২ নম্বর ব্লক-সহ লাগোয়া সাঁইথিয়া, মহম্মদবাজার থানা এলাকার যোগসূত্র তৈরি হবে। উপকৃত হবেন প্রায় শতাধিক গ্রামের মানুষজন। সংশ্লিষ্ট বাজিতপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কংগ্রেসের সৈয়দ কাসাফদ্দোজা বলেন, “পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ওই রাস্তায় বার দুয়েক মোরাম দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় রাস্তাটি পাকা করার জন্য জেলা পরিষদেও একাধিকবার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি।”
জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্নপূর্ণা মুখোপাধ্যায় জানান, “বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি ওই রাস্তা পাকা করার প্রস্তাব কোন পর্যায়ে আছে। তারপর খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি।” |