বাড়িতে ঢুকে স্ত্রীকে বেঁধে রেখে এক ব্যাক্তিকে গলায় নাইলনের দড়ির ফাঁস দিয়ে পেঁচিয়ে খুন করে টাকা ও গয়না লুঠের ঘটনা ঘটল কোচবিহারের একটি গ্রামে। সোমবার রাতে তুফানগঞ্জের কৃষ্ণপুর এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম জাকির হোসেন (৫২)। পেশায় রেশন ডিলার ওই ব্যক্তি এলাকায় প্রতিপত্তিশালী বলে পরিচিত ছিলেন। কোচবিহারের পুলিশসুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। দুষ্কৃতীরা লুঠও করেছে। কারা ওই ঘটনায় জড়িত তা খতিয়ে দেখতে তুফানগঞ্জের ওসি কে বলা হয়েছে।”
পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে অন্য দিনের মতো খাওয়া সেরে শুয়ে পড়েছিলেন জাকির। পাশের ঘরে টিভি দেখছিলেন তাঁর স্ত্রী আলেয়া বিবি। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বারান্দার গ্রিলের সামনে জাকিরের নাম ধরে ডাকাডাকি করতে থাকেন কয়েকজন। ওই ডাক শুনে জাকির বাইরে বার হন। নিজে হাতে গ্রিলও খোলেন। এর পরেই দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকে হামলা করে। শব্দ শুনে বারান্দায় বার হন জাকিরের স্ত্রী। তাঁকে একজন পাশের ঘরে নিয়ে মুখ, হাত বেঁধে দেয়। অন্য জন জাকির হোসেনের ওপর চড়াও হয়। পরে জাকিরকে খাটে শুইয়ে দিয়ে গলায় নাইলনের দড়ি পেঁচিয়ে খাটের দুই দিকের রেলিংয়ে বেঁধে খুন করে আলমারি খুলে নগদ টাকা, সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পরে স্ত্রী আলেয়া বিবি কোনও ক্রমে হাত, মুখের বাঁধন খুলে চিৎকার করলে ঘটনা জানাজানি হয়। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে আনে। মঙ্গলবার মৃতের ভাই জাহাঙ্গির হোসেন পুলিশে অভিযোগ জানান। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, অন্তত ৫ জন দুষ্কৃতী হানা দেয়। দুজন ঘরে ঢুকলেও বাইরে কয়েকজন পাহারায় ছিল। হতের ছেলে আরিফ হোসেন বলেন, “প্রেম করে বিয়ে করায় বাবা মেনে নিতে পারছিলেন না। সেই জন্য দু’মাস ধরে কাকার বাড়িতে থাকছিলাম। রাতে মায়ের ফোন পেয়ে বাড়ি গিয়ে এমন ঘটনা দেখে শিউরে উঠেছি। কারা কেন বাবাকে এমন ভাবে খুন করেছে কিছুই মাথায় ঢুকছে না। বাবা কিছুদিন আগে আলমারিতে ৪ লক্ষ টাকা রেখেছিলেন বলে মা’র কাছ থেকেই শুনেছি। ওই টাকা পুরোটাই লুঠ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।” |