স্টুডেন্টস হেলথ হোম আয়োজিত প্রতিযোগিতায় আবৃত্তিতে রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করল মেদিনীপুর শহরের অরবিন্দ নগর এলাকার বাসিন্দা কর্ষিকা চট্টোপাধ্যায়। কর্ষিকা মেদিনীপুর মিশন বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। পড়াশোনাতেও সে ক্লাসের প্রথম। তারই সঙ্গে তাল মিলিয়ে আবৃত্তি, গদ্যাংশ পাঠও চালিয়ে যায়। একটানা সাফল্যও মিলেছে এতে। টানা ৫ বছর ধরে বিভিন্ন সংস্থা আয়োজিত প্রতিযোগিতায় রাজ্যস্তরেও পুরষ্কার পেয়েছে। জেলাস্তরে নানা পুরষ্কার তো রয়েছেই। ভূগোল মেধা পরীক্ষা, গদ্যাংশ পাঠ, আবৃত্তি - বারবার রাজ্যস্তরে পুরষ্কার মেলায় খুশী কর্ষিকা বলেন, “পড়ার ফাঁকে এই ধরনের কাজ করতে ভীষণ লাগে। বিশেষত, আবৃত্তি তো আমার খুবই প্রিয়।” রবিবার রাজ্য স্তরের এই প্রতিযোগিতাটি হয়েছিল কৃষ্ণনগরে। কর্ষিকার বাবা শালবনি থানা এলাকার নান্দাড়িয়া শাস্ত্রী স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক শুদ্ধদেব চট্টোপাধ্যায় পদার্থবিদ্যার শিক্ষক হলেও সাহিত্যের প্রতিও তাঁর বিশেষ অনুরাগ। তিনি নিজেই মেয়েকে আবৃত্তি শেখান। কখনও কখনও গুনী শিল্পীদের কাছেও নিয়ে যান। তাঁর কথায়, “পড়াশোনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকলে মনের বিকাশ দ্রুত হয়। সেই লক্ষ্যেই এই বিষয়টির উপরেও আমরা নজর দিই।” শুধু কর্ষিকা কেন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছোট মেয়ে ঈশিকাও ভাল ছবি আঁকে। ইতিমধ্যেই দুই মেয়ের পুরষ্কার ভরে ফেলেছে আলমারি। এতে খুশী মা দোলা চট্টোপাধ্যায়ও। তাঁর কথায়, “মেয়েরা সংস্কৃতি চর্চায় আরও সুনাম অর্জন করুক এটাই আমরা চাই।” |
নির্বাচন কেন্দ্রের সীমানা পুনর্বিন্যাসে এ বার রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটে ৭৮৯২টি আসন বেড়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক কর্তা জানান, গত বার গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্বাচন কেন্দ্র ছিল ৪১ হাজার ৩৩৫টি। এ বার সেই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৪৮ হাজার ৭০৯। পঞ্চায়েত সমিতির আসন ৮৮০০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯২৪০টি। আর জেলা পরিষদের আসন বেড়ে হয়েছে ৮২৫টি। গত বার ছিল ৭৪৭টি। কমিশন সূত্রের খবর, গত পাঁচ বছরে রাজ্যে ভোটার-সংখ্যা বাড়ায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে এই আসন বৃদ্ধি। এ বারেই প্রথম ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে মোট আসনের ৫০% সংরক্ষিত হচ্ছে মহিলাদের জন্য। এত দিন মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ ছিল ৩৩% আসন। একই ভাবে তফসিলি জাতি উপজাতির সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি)-র জন্যও আসন সংরক্ষিত হচ্ছে। কমিশনের এক কর্তা জানান, নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। তবে রাজ্য চাইলে এপ্রিলের শেষে নির্বাচনের জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে কমিশন। |
রাজ্য স্কুলশিক্ষা দফতরের পেনশন বিভাগেই এক জনের পেনশন অন্যকে পাইয়ে দেওয়ার চক্র সক্রিয়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত মঙ্গলবার ডিআইজি (সিআইডি)-কে এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। তুলেশচন্দ্র মণ্ডল নামে এক প্রাথমিক শিক্ষকের মৃত্যুর পরে তাঁর স্ত্রী তরুবালা স্কুলশিক্ষা দফতরে পারিবারিক পেনশনের জন্য আবেদন করেন। দেখা যায়, পেনশন ফর্মে তরুবালাদেবী ও তাঁর মৃত স্বামীর নাম-ঠিকানাও থাকলেও তরুবালাদেবীর ছবির জায়গায় রয়েছে অন্য এক জনের ছবি। সেই ছবির মালিকই পেনশন পাচ্ছেন। তরুবালাদেবী মামলা করেন। বিচারপতি মনে করেন, এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তাই ডিআইজি-কে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। |