টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে নিজের এলাকাতেই প্রার্থী দিতে পারলেন না এসএফআইয়ের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক ধর্মেন্দ্র চক্রবর্তী। সোনামুখী কলেজে টিএমসিপি সন্ত্রাস সৃষ্টি করে এসএফআই-এর সদস্যদের মনোনয়ন পত্র তুলতে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে ধর্মেন্দ্ররা ওই কলেজে ছাত্র সংসদ বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মঙ্গলবার এ কথা ঘোষণা করা হয় সংগঠনের তরফে। খাতড়া কলেজেও টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছে ডিএসও। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টিএমসিপি নেতৃত্ব।
এসএফআইয়ের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদকের বাড়ি সোনামুখীতে। তাঁর অভিযোগ, “ইতিপূর্বে শালতোড়া ও সোনামুখী কলেজে ভোটার তালিকা তুলতে গিয়ে আমাদের সদস্যেরা টিএমসিপির সদস্যদের হাতে মার খায়। তারপর এ দিন ওই কলেজে টিএমসিপি আশ্রিত বহিরাগত দুষ্কৃতীরা দাপিয়ে বেড়ায়। ওদের বাধায় আমাদের সদস্যেরা মনোনয়নপত্র তুলতে না পেরে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়। তাই আমরা সোনামুখী কলেজের নির্বাচন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তাঁর দাবি, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে ভোট হলে জেলার সব কলেজেই আমরা জিতব। ডিএসও-র জেলা সভাপতি অচিন্ত্য মণ্ডলের অভিযোগ, “এ দিন খাতড়া কলেজে আমাদের সদস্যেরা মনোনয়নপত্র তুলতে গেলে কলেজের গেট আটকে বাধা দেয় টিএমসিপি-র সদস্যেরা। ভোটের নামে প্রহসন হচ্ছে।’’ টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, “কলেজগুলিতে এখন এসএফআই এবং ডিএসও-র পতাকা তোলার কেউ নেই। ছাত্র-ছাত্রীদের সমর্থনও ওদের সঙ্গে নেই বুঝেই আমাদের বিরুদ্ধে ওরা লাগাতার সন্ত্রাসের মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।”
বাঁকুড়া জেলায় ১৯টি কলেজের মধ্যে বাঁকুড়া সারদামণি মহিলা কলেজে নির্বাচন হয় না। বাকি ১৮টি কলেজের মধ্যে গত বছর ছাতনা চণ্ডীদাস কলেজের ছাত্র সংসদ শুধুমাত্র এসএফআইয়ের দখলে ছিল। বাকি ১৭টি কলেজে ক্ষমতাসীন টিএমসিপি। ছাতনা কলেজে বর্তমানে প্রশাসক নিয়োগ করেছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বার তাই জেলায় বাকি ১৭টি কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হচ্ছে। আগামী ১৭ জানুয়ারি বাঁকুড়া সদর মহকুমা, ১৮ জানুয়ারি বিষ্ণুপুর মহকুমা ও ১৯ জানুয়ারি খাতড়া মহকুমার বিভিন্ন কলেজে নির্বাচন হবে। |