সেলিমকে ধরার দাবিতে পথে নামছেন আমিনুলের পড়শিরা
ড়েয়ায় ধর্ষণে অভিযুক্ত শাহজাদা বক্সের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো আমিনুল ইসলামের অপমৃত্যুর পরে মোমবাতির মিছিল হয়েছিল। এ বার শাহজাদা-সঙ্গী সেলিমের গ্রেফতারের দাবিতে পথে নামতে চলেছে আমিনুলের পাড়া।
আমিনুল ৩১ অক্টোবর কড়েয়া থানায় ধর্ষণের যে-অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, তাতে ধর্ষণ-কাণ্ডে শাহাজাদার সঙ্গী হিসেবে নাম ছিল সেলিমের। শুধু আমিনুল নয়, ৬ নভেম্বর কড়েয়া থানায় সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ধর্ষিতা কিশোরীর মা-ও। সেই অভিযোগও ধর্ষণের। আমিনুল গায়ে আগুন দেওয়ার পরের দিন, ৪ ডিসেম্বর পুলিশ শাহজাদাকে গ্রেফতার করে। তার পরে এক মাস কেটে গিয়েছে। ইতিমধ্যে মারা গিয়েছেন আমিনুল। কিন্তু সেলিম ফেরার। আমিনুলের মৃত্যুর পরে বিচার চেয়ে প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে। শাহজাদার সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াও শুরু হয়েছে। কিন্তু সেলিমকে ধরার জন্য কোনও অভিযানই হয়নি বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ।
সেলিমকে ধরার জন্য কোনও রকম উদ্যোগই নেই কেন?
লালবাজার সূত্রে বলা হয়, সেলিম যে-কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে বলে দু’টি অভিযোগে জানানো হয়েছে, পুলিশ তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু সেই পরিবার কোনও অভিযোগ করেনি। তাই পুলিশ সেলিমের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। শাহজাদাকে জেরা করে সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করবে বলে লালবাজারের কর্তারা জানান। যে-কিশোরীকে সেলিম ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ, সে এবং তার পরিবার আমিনুলের মৃত্যুর পরে অন্যত্র চলে যায়। এখন তারা বাড়িতে ফিরে এসেছে। কিন্তু কিশোরীর বাবা জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর ঝামেলায় থাকতে চান না।
এলাকার বাসিন্দারা অবশ্য চান, পুলিশ সেলিমকেও গ্রেফতার করুক। ওই কিশোরীর এক প্রতিবেশীর বক্তব্য, সেলিমকে গ্রেফতার করে জেরা করলে শাহজাদার অনেক কুকর্মই ফাঁস হয়ে যাবে। কোন কোন পুলিশ অফিসারের সঙ্গে শাহজাদার ওঠাবসা ছিল, স্পষ্ট হয়ে যাবে সেটাও। সেলিম যদি নির্দোষই হবে, আমিনুল গায়ে আগুন দেওয়ার পর থেকে সে বাড়ি ফেরেনি কেন, প্রশ্ন তুলেছেন প্রতিবেশীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে কড়েয়া থানার পাম অ্যাভিনিউয়ে ২৫এ/এইচ/২৫ নম্বর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেলিমের মা ছাড়া আর কেউ সেখানে নেই। সেলিমের মা বলেন, “আমার ছেলে এমন কাজ করতেই পারে না। আমিনুল আর তার লোকজন ওকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিয়েছে।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শাহজাদা যে-কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ, তার সঙ্গেও কথা বলুক পুলিশ। তা হলেই সত্য জানা যাবে। এ দিনও লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার অফিসারেরা আমিনুলের বাড়িতে যান। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কথা বলেন ওই পরিবারের লোকেদের সঙ্গে। কথা বলেন আমিনুলের বন্ধুদের সঙ্গেও। কিন্তু কোনও অফিসার শাহজাদা কিংবা সেলিমের বাড়িতে যাননি।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.