এক দিকে ইনফোসিসের মতো সংস্থার লগ্নি নিয়ে অনিশ্চয়তা। অন্য দিকে বিশেষ আর্থিক অঞ্চল বা সেজ নিয়ে শাসক দলের অবস্থান। এই জট কাটাতে মাঝামাঝি রাস্তার হদিস দিয়েছে কয়েকটি বণিকসভা। সেই সুপারিশ আজ বুধবার খসড়া প্রস্তাবের আকারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জমা দেবেন শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৌগত রায়।
মঙ্গলবার বণিকসভা মার্চেন্টস চেম্বার অফ কমার্সের অনুষ্ঠান শেষে সৌগতবাবু জানান, সেজ নিয়ে তাঁর দলের বিরোধিতার মূল কারণ সেজ-এ শ্রম আইন মানা হয় না। নয়া শিল্পনীতিতে সেই বাধা কী ভাবে এড়ানো যেতে পারে, তার হদিস দিতে পারে ওই সুপারিশ। তবে সেজ-এর সমতুল্য আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে কি না, এ প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি তিনি।
কখনও জমি পাওয়া নিয়ে সমস্যা। কখনও জমির দাম নিয়ে দর কষাকষি। এ রাজ্যে ইনফোসিসের লগ্নির পথে পর পর বাধা এসেছে। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতায় এসে নারায়ণমূর্তি জানিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করতে চান তিনি। রাজ্যে ৫০০ কোটি টাকা লগ্নি ও ৫০০০ জনের কর্মসংস্থানের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। ২০০৬ সালে প্রকল্পের জন্য ১০০ একর জমি সরকারের কাছে চায় তারা। কিন্তু দাম নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত ২০১০ সালের শেষে ৫০ একর জমি দেওয়া হয় সংস্থাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে, গত বছর নভেম্বর মাসে সেই জমি তারা হাতে পেলেও তাদের প্রকল্প নিয়ে নতুন করে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। ইনফোসিসের প্রকল্পকে বিশেষ আর্থিক অঞ্চলের তকমা দিতে নারাজ তৃণমূলের সরকার। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ও শিল্পমন্ত্রী, দু’জনেই জানিয়ে দিয়েছেন নীতিগত ভাবে সেজ বা বিশেষ আর্থিক অঞ্চলের বিরোধী তাঁদের দল। অন্য দিকে ব্যবসায়িক লাভ-ক্ষতির হিসেব মেনে ওই তকমা ছাড়া প্রকল্প গড়তে রাজি নয় ইনফোসিস।
বন্ধ কারখানার জমি নিয়েও নিজেদের প্রস্তাব খসড়ায় জানিয়েছে বণিকসভাগুলি। সৌগতবাবু জানান, বন্ধ কারখানার জমিতে কোনও ভাবেই আবাসন তৈরির অনুমতি দেওয়া হবে না। এ প্রসঙ্গে তিনি পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীকে নির্দেশিকা দিয়ে বিষয়টি কার্যকর করতে অনুরোধ করবেন। |