দিনদুপুরে বাবার সামনে এক যুবতীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার ঘটনায় বাকি অভিযুক্তদের এখনও গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ। মঙ্গলবার ওই ঘটনায় একমাত্র ধৃত ইন্দ্র হাজরার জামিনের আবেদন খারিজ করে সিউড়ি আদালতের সিজেএম রাজেশ চক্রবর্তী অভিযুক্তকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। বীরভূমের পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা বলেন, “অভিযুক্তেরা ধরা পড়লে সংবাদমাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।” মঙ্গলবারই আইসি পার্থ মুখোপাধ্যায়কে সিউড়ি থানা থেকে দুবরাজপুর থানায় বদলি করা হয়েছে। পুলিশের একটি মহলের দাবি, সিউড়ির ঘটনার নিরিখেই তা করা হয়েছে। যদিও সেই তত্ত্বকে উড়িয়ে দিয়েছেন খোদ পুলিশ সুপারই। তিনি বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে পার্থবাবুর বদলির কোনও যোগই নেই। সোমবার সকালেই সিউড়ি থানায় তাঁর বদলির নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছিল।”
এক যুবতীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগকে ঘিরে সোমবারই তেতে উঠছিল জেলা সদর সিউড়ি। অভিযুক্তদের এক জনকে এলাকাবাসী ধরে ফেললেও, অন্য অভিযুক্তেরা ধৃতকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য হামলা করে বলে অভিযোগ। তবে লোকজন জড়ো হয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত রণে ভঙ্গ দেয় হামলাকারীরা। ঘটনায় ক্ষুব্ধ সিউড়িবাসী শ্লীলতাহানিতে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করার দাবিতে থানায় বিক্ষোভ দেখান। দীর্ঘ ক্ষণ সিউড়ি মেন রাস্তা অবরোধও করা হয়।
এ দিকে সিউড়িতে পরপর মহিলা নিগ্রহের ঘটনায় দেরিতে হলেও টনক নড়ল পুলিশের। পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রের খবর, সোমবারের ঘটনায় বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে রাতেই সিউড়ি শহর ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে ব্যাপক তল্লাশি চালায় পুলিশ। ওই তল্লাশিতে পুলিশ বিভিন্ন ঘটনায় অভিযুক্ত ও মাতাল-সহ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে। এ ছাড়াও মহিলাদের নিগ্রহ হওয়া রুখতে পুলিশের ছ’টি দল শহরের বিভিন্ন স্থানে নজরদারি শুরু করেছে। জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে। সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।” |