পরমাণু-সম্পর্ক বাড়াতে ফ্রান্সে যাচ্ছেন খুরশিদ |
মহারাষ্ট্রের জাইতাপুর পরমাণু প্রকল্প নিয়ে ভারত-ফ্রান্স চুক্তি সই হয় দু’বছর আগে। এখনও পর্যন্ত সেই প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। হাল না ছেড়ে ফ্রান্সের সঙ্গে পরমাণু সম্পর্ককে চাঙ্গা করতে ১০ জানুয়ারি সে দেশে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ। দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যে পরমাণু চুক্তি রূপায়ণও লক্ষ্য থাকবে দিল্লির। পরমাণু কেন্দ্রে দুর্ঘটনায় দায় সংক্রান্ত চুক্তিটি সংসদে পাশ হয়েছে। ফলে, দুঘর্র্টনা ঘটলে ক্ষতিপূরণের দায় বর্তাবে সরবরাহকারী সংস্থার উপর। খুরশিদের ফ্রান্স যাত্রার প্রাক্কালে বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তার বক্তব্য, “পরমাণু দায়বদ্ধতা বিলটি সম্পর্কে আমরা সহযোগী দেশগুলির সঙ্গে ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করছি। ওই আইন মানলে বিনিয়োগের খরচ বাড়লেও তাকে হিসেবের মধ্যে নিয়েই এগোতে হবে।” গত মাসে প্রেসিডেন্ট পুতিনের ভারত সফরের আগে সে দেশের দূতাবাস থেকে বলা হয়, দায়বদ্ধতা আইনের কারণে প্রকল্পের আর্থিক ব্যয়ভার বাড়বে। ফলে কুড়ানকুলামে পরমাণু প্রকল্প থেকে পিছোচ্ছে মস্কো।
|
সীমান্ত হত্যা নিয়ে ক্ষোভ ঢাকার |
সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে সম্প্রতি ৪ জন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় দিল্লিকে ক্ষোভ জানাল ঢাকা। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী দীপু মণির লেখা একটি চিঠি রবিবার দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার বিষয়ে ভারত সরকারের তরফে বার বার আশ্বাস দেওয়ার পরেও বিএসএফের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে। ঢাকা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এমন ঘটনা একেবারে বন্ধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, রাতে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় কার্ফু জারি থাকে। তা অমান্য হলে সীমান্ত রক্ষীদের আইনগত ব্যবস্থা নিতে হয়। সোমবার দীপু মণি বলেন, রাতে কার্ফুর সুযোগে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা যাতে না-হয়, বাংলাদেশ প্রশাসনকেও তা নিশ্চিত করতে হবে। |