সর্বশিক্ষা অভিযানের টাকায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে স্কুলের শ্রেণিকক্ষ গড়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন অভিভাবকদের একাংশ। কাটোয়া ১ ব্লকের আলমপুর পঞ্চায়েতের দেবগ্রাম ও বরমপুর গ্রামের ঘটনা। সোমবার দুপুরে তাঁরা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে বিক্ষোভও দেখান। প্রধান শিক্ষক নুরুল হুদা সিদ্দিকি অবশ্য অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, “নিয়ম মেনেই ওই শ্রেণিকক্ষ তৈরি করা হয়েছে।” গত ২৬ ডিসেম্বর গ্রামবাসীরা জেলাশাসককের কাছে এক চিঠিতে অভিযোগ জানিয়েছেন, টেন্ডার না ডেকে প্রধান শিক্ষক ও পরিচালন সমিতির সম্পাদক ওই শ্রেণিকক্ষ তৈরি করেছেন। গত বছর অগস্ট মাসে কাজ শেষ হয়েছে। এলাকার বাসিন্দা শান্তিরাম সাহা, অসীম মণ্ডল, হৃদয় মাঝিদের অভিযোগ, শ্রেণিকক্ষটি নির্মাণে নিম্নমানের ভেজাল সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। তাঁরা জানান, এর আগে গ্রামেরই কয়েকজন ব্যক্তি কম দামে ওই সিমেন্ট ব্যবহার করে ঘর তৈরি করেছিল। পরে তা ভাঙতেও হয়। এ নিয়ে গ্রামে গোলমালও হয়।” ওই একই কোম্পানির সিমেন্ট দিয়েই স্কুলের শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করা হয়েছে বলে গ্রামবাসীরা ওই চিঠিতে জানান। তাঁদের অনুমান, স্কুল ঘরেরও একই দশা হবে। গ্রামের তৃণমূল নেতা মহিমা মণ্ডলের আশঙ্কা, “গ্রামের আরও দুটি বাড়ির মতো স্কুলঘরটিও ধসে পড়বে। বিপাকে পড়বে পড়ুয়ারা।” |
তৃণমূলের অভিযোগ, কংগ্রেস পরিচালিত স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক ও প্রধান শিক্ষক যোগসাজস করে সরকারি অর্থ নয়ছয় করেছেন। এ নিয়ে তারা জেলাশাসকের কাছে অভিযোগও করেছেন। অভিযোগের প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক), কাটোয়ার এসডিও, কাটোয়া ১ এর বিডিও এবং শিক্ষামন্ত্রীর কাছেও। তবে পরিচালন সমিতির সম্পাদক তপন মণ্ডলের দাবি, কাটোয়া ১ ব্লকের সর্বশিক্ষা অভিযানের ইঞ্জিনিয়র অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করতে এসেছিলেন। তাঁর মৌখিক নির্দেশ পাওয়ার পরেই শ্রেণিকক্ষের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, “তৃণমূল ও সিপিএম এক হয়ে মিথ্যে অভিযোগ করেছে।” সিপিএমের অবশ্য বক্তব্য, গ্রামবাসীরা তাঁদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে চিঠি দিয়েছেন।
বর্ধমানের সর্বশিক্ষা অভিযান দফতরের এক আধিকারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরে জেলাশাসকের নির্দেশে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়। এখনও কোনও রিপোর্ট আসেনি।” |