|
|
|
|
অভিযুক্ত টিএমসিপি |
মনোনয়ন তুলতে বাধা নানা কলেজে, ক্ষুব্ধ এসএফআই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল ও রানিগঞ্জ |
মনোনয়ন তোলাকে কেন্দ্র করে অশান্তি হল শিল্পাঞ্চলের বেশ কয়েকটি কলেজে। সব ক্ষেত্রেই এসএফআই প্রার্থীদের মনোনয়ন তুলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে। আসানসোলের বিসি কলেজে টিএমসিপি কর্মীদের মারে তাদের দু’জন জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ এসএফআইয়ের। রানিগঞ্জ টিডিবি কলেজে মনোনয় তুলতে বাধার অভিযোগে পথ অবরোধ করে এসএফআই। মনোনয়ন তোলা নিয়ে অশান্তি হয়েছে কুলটি কলেজ, রানিগঞ্জ গার্লস কলেজ, চিত্তরঞ্জন কলেজেও।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আসানসোলের সাতটি কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিন ঠিক হয়েছে ১৮ জানুয়ারি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ১১ জানুয়ারি। এসএফআইয়ের অভিযোগ, এ দিন বিসি কলেজে তাদের সদস্য-সমর্থকেরা মনোনয়ন পত্র তোলার লাইনে দাঁড়ালে টিএমসিপি-র ছেলেরা চড়াও হয়। তাঁদের মারধর করে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়। দু’জন জখম হন বলে এসএফআইয়ের দাবি। এর পরেই এসএফআই সদস্য-সমথর্কেরা মিছিল করে হিরাপুর থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশকে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে বলে এসএফআই নেতারা জানিয়েছেন। |
|
বিসি কলেজে গোলমাল। |
কুলটি কলেজেও মনোনয়ন তুলতে গেলে তাদের সদস্য-সমর্থকদের টিএমসিপি বের করে দেয় বলে অভিযোগ এসএফআইয়ের। রানিগঞ্জ টিডিবি কলেজে এসএফআই নেতৃত্বের অভিযোগ, ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও টিএমসিপি এবং তৃণমূলের মোট শ’পাঁচেক কর্মী কলেজ চত্বরে জড়ো হন। এসএফআই প্রার্থীরা মনোনয়ন তুলতে গেলে ধাক্কা মেরে বের করে দেওয়া হয়। প্রতিবাদে দুপুরে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের নেতাজি মোড়ে পথ অবরোধ করে এসএফআই। কিছু ক্ষণ পরে পুলিশ পৌঁছয়। এসএফআই নেতাদের দাবি, মনোনয়ন তুলতে যাওয়ার জন্য নিরাপত্তার দাবি জানালেও পুলিশ রাজি হয়নি। বদলে জোর করে অবরোধ তুলে দেওয়া হয়।
রানিগঞ্জ গালর্স কলেজে মনোনয়ন দাখিলের প্রথম দিন এসএফআইয়ের এক কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। কলেজের এসএফআই নেত্রী প্রীতি মাহাতো অভিযোগ করেন, ২৮টি আসনের মধ্যে তাঁরা ১৯টিতে জিতে সংসদে রয়েছেন। এ বার তাঁদের কেউ যাতে মনোনয়ন দাখিল করতে না পারে সে জন্য এ দিন তৃণমূল কাউন্সিলর হেনা খাতুন ও তৃণমূল নেতা কাঞ্চন তিওয়ারির নেতৃত্বে একদল মহিলা কলেজে তাণ্ডব চালায়। পঁচিশ জন মনোনয়ন তোলার পরে তাঁদের ঘণ্টা দুয়েক আটকে রাখা হয়। তাঁদের প্রার্থী দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা সিংহ ও তাঁর বাবা-মাকে তৃণমূলের লোকজন হেনস্থা করে বলেও অভিযোগ। প্রীতি মাহাতোর দাবি, পুলিশের সামনেই সব কিছু ঘটেছে। তাই তাঁরা থানায় অভিযোগ করতে যাননি। হেনা খাতুন ও কাঞ্চন তিওয়ারি অবশ্য তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। পুলিশের দাবি, শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। |
|
রানিগঞ্জে অবরোধ। |
এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর দে-র অভিযোগ, ‘‘আমাদের সদস্যেরা শিল্পাঞ্চলের যে কলেজেই মনোনয়ন তুলতে যাচ্ছেন, সেখানেই আক্রমণ করছে টিএমসিপি। নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি।” ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি সঞ্জয় শুকুলের দাবি, “চিত্তরঞ্জনের দেশবন্ধু কলেজেও মঙ্গলবার আমাদের সদস্যদের মেরে তাড়িয়ে দিয়েছে টিএমসিপি।”
টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি অশোক রুদ্র অবশ্য পাল্টা অভিযোগ করেন, আসানসোলের বিসি কলেজে তাঁদের সংগঠনের পতাকা ছিঁড়ে দিয়েছে এসএফআই। কুলটি কলেজে সময় মতো পৌঁছতে না পারায় এসএফআই মনোনয়ন তুলতে পারেনি বলে তাঁর দাবি। অশোকবাবুর বক্তব্য, “আমরা কাউকে মনোনয়ন পত্র তুলতে বাধা দিইনি। এসএফআই প্রার্থী খুঁজে না পেয়ে আমাদের নামে কুৎসা করছে।” |
—নিজস্ব চিত্র। |
|
|
|
|
|