মনীষা, ঈশ্বর পরীক্ষা নিচ্ছেন
অসুস্থ অবস্থাতেও মিডিয়ার স্পটলাইট ওপর থেকে সরে না বলে হাই প্রোফাইল রুগির পক্ষে ক্যানসার থেকে সেরে ওঠা কি আরও কঠিন?
হাই প্রোফাইল রুগিকে মনে রাখতে হবে জীবনে যেমন নানা প্রতিবন্ধকতা জয় করে সে যেমন অ্যাদ্দিন দৃষ্টান্ত হিসাবে দাঁড়িয়ে ছিল। এখনও সেই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। মিডিয়া হোক কী গোটা বিশ্ব, কুছ পরোয়া নেই। সবার সামনে লড়তে হবে যুদ্ধটা। আর নিজের সম্পর্কে অসীম গর্ববোধ যেন হয় যে মারণ অসুখের সামনে দাঁড়িয়েও আমি চোখ বুজে পালিয়ে যাইনি।
যন্ত্রণাকাতর অবস্থাতে একজন হাই প্রোফাইল ক্যানসার পেশেন্ট কী করে তার সম্পর্কে মিডিয়া এবং পৃথিবীর অপর্যাপ্ত কৌতুহলের মোকাবিলা করবে?
ভাল আর খারাপ সময়, দু’টোকেই সমান সাহস দেখিয়ে গ্রহণ করতে হবে। বিপর্যয়েও ধরে রাখতে হবে হাসি মুখ। ভেঙে পড়ে কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। আমার মনে হয় হাসি মুখ আর কঠিন, শীতল সাহস-ই ট্রিটমেন্ট বাদ দিয়ে ক্যানসার যুদ্ধের সেরা অস্ত্র। হাই প্রোফাইল রুগিকে সবসময় মনে রাখতে হবে, সে হয়তো কঠিন রোগে আক্রান্ত। কিন্তু অগনিত মানুষের শুভেচ্ছাও তো তার পিছনে রয়েছে। বিশ্বাস রাখতে হবে এত ভালবাসা বেকার যায় না।

সে কি অতীতের গৌরবজনক নানান মুহূর্ত আর তার সাফল্যের কথা মনে করে এই গভীর দুঃসময়ে সাহস নেবে?
সেটা নিশ্চয়ই সে মনে রাখবে। আর মনে রাখবে সে ঈশ্বরের অ্যাদ্দিনকার ফেভারিট প্রতিনিধি। আজ সে জন্যই এত শক্ত পরীক্ষাটা ঈশ্বর তার ওপর চাপিয়েছেন।

সদ্য ফিরে আসার পর যুবরাজ। ক্রিকেটে ফেরেন নতুন চুল সহ মাস চারেক বাদে

বড় অ্যাচিভার সবসময় মনে করে ঈশ্বরের সঙ্গে তার বিশেষ সেতুবন্ধন রয়েছে। ক্যানসার হয়েছে জানলে সে বিস্ফারিত হয়ে ঈশ্বরকে বলে, আমায় কেন? সেই হতাশা থেকে বার হওয়ার উপায় কী?
অ্যাচিভার যখন অ্যাচিভ করছে, তখন তাকে বুঝতে হবে ঈশ্বরের অসীম আশীর্বাদ তার ওপর রয়েছে। এত লক্ষ লক্ষ লোক সফল হতে চেষ্টা করে। তাদের ছাড়িয়ে ও সামনে এল কী করে? নিশ্চয়ই ঈশ্বর তাকে বেছেছিলেন বলে। সেই সময় সে যদি প্রশ্ন না করে থাকে, আর সবাই না হয়ে ‘আমি কেন?’ তাহলে এখনও ভাবার অধিকার নেই, আর সবাই না হয়ে ‘আমি কেন?’ মোদ্দা কথা, সব সময় ঈশ্বরের ওপর ভরসা রেখে যেতে হবে।

আবার স্পটলাইটের সামনে ফিরে আসার সাহস কী করে মনের মধ্যে আনতে হয়? কী করে ফিরে আসবে পুরনো কনফিডেন্স?
খেয়াল রাখতে হবে প্রতিদিনই টুকরো টুকরো করে তুমি উন্নতি করছ কি না? উন্নতি অতি সামান্য হলেও খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিদিন জীবনের দিকে ফেলতে হবে ছোট ছোট পা। একদিনে কিছু হবে না। ধৈর্য দেখানোটা ভীষণ জরুরি। আর জরুরি, সবার আশীর্বাদটা প্রতিনিয়ত মাথায় রাখা। এটাই মনের জোর দেবে। মূল স্রোতে ফিরতে সাহায্য করবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.