টুকরো খবর
অষ্টম পর্যন্ত ভর্তি-পরীক্ষা নিলে ব্যবস্থা
প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কোনও স্কুল যাতে ভর্তির পরীক্ষা না-নেয়, রাজ্য সরকারকে সে-দিকে সতর্ক নজর রাখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তারা বলেছে, কোনও স্কুল-কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা বা ফি নিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। কোথাও কোথাও ভর্তির জন্য ফি ও পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়ে জলপাইগুড়ির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জনস্বার্থের মামলা করে। তাদের আইনজীবী প্রদীপ রায় বলেন, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত অনেক স্কুলেও ভর্তি-পরীক্ষা হচ্ছে। ভর্তির জন্য টাকাও নেওয়া হচ্ছে। এটা কেন্দ্রীয় শিক্ষার অধিকার আইনের পরিপন্থী। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ভর্তির বিষয়ে আইনেই সব বলা আছে। নতুন নির্দেশের প্রয়োজন নেই। তবে সরকারকে ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে জানাতে হবে যে, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। কোনও স্কুলে আসন-সংখ্যার থেকে আবেদনকারী বেশি হলে ভর্তি করতে হবে লটারির মাধ্যমে।

রাজ্য সম্মেলন
সিপিআইয়ের মহিলা সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ মহিলা সমিতির পঞ্চায়েত বিষয়ক রাজ্য সম্মেলন হয়ে গেল সাঁইথিয়ার নন্দীকেশ্বরী তলায়। শনি ও রবিবার দু’ দিনের ওই সম্মেলনে ছিলেন রাজ্য সভাপতি শেফালি ভট্টাচার্য, রাজ্য সম্পাদক অপূর্ব মণ্ডল প্রমুখ। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নানা নারী-বিরোধী নীতির সমালোচনা করার পাশাপাশি নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার ডাক দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দাবিতে শনিবার একটি মিছিলও বের করা হয়।

ভর্তুকি ৬০ লক্ষ, সাগরে সস্তায় চাল ও কেরোসিন
সোমবার সূচনা হল গঙ্গাসাগর মেলার। আলোয় সেজেছে কপিল মুনির আশ্রম। ছবি: দিলীপ নস্কর।
ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থাতেও ভর্তুকির বহর বেড়েই চলেছে! সাগরমেলার পুণ্যার্থীদের সস্তায় চাল ও কেরোসিন দিতে ৬০ লক্ষ টাকা ভর্তুকির ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “চালের জন্য ভর্তুকি ৩৬ লক্ষ টাকা এবং কেরোসিনের জন্য ২৪ লক্ষ।” তাঁর দাবি, আগে কখনওই সাগরমেলায় সস্তায় চাল বা কেরোসিন দেওয়া হয়নি। সাগরে দু’টাকা কিলোগ্রাম দরে চাল দেওয়া হবে চারটি অস্থায়ী রেশন দোকানে। মেলায় জেলা প্রশাসনের অফিস থেকে ‘স্লিপ’ নিয়ে পুণ্যার্থীরা প্রতিদিন মাথাপিছু ৫০০ গ্রাম চাল পাবেন। প্রতিদিন মাথাপিছু আধ লিটার কেরোসিন মিলবে ১৫টি অস্থায়ী দোকানে। এত দিন সাগরমেলার জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ হিসেবে রাজ্যকে এক লক্ষ লিটার কেরোসিন দিত কেন্দ্র। মন্ত্রী জানান, অজানা কারণে দিল্লি এ বার বাড়তি কেরোসিন দিচ্ছে না। তাঁর অভিযোগ, “কেন্দ্র কয়েকটি মেলায় সস্তায় কেরোসিন দেয়। এ বারেও দিচ্ছে। বাদ শুধু পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্য বাধ্য হয়েই সাগরযাত্রীদের ভর্তুকির কেরোসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

নিয়োগ নিয়ে আশ্বাস
কৃষি দফতরে বেআইনি নিয়োগের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ বীজ নিগমের দফতরে ঘেরাও চালাল ফব-র যুব সংগঠন যুব লিগ। তাদের দাবি ছিল, চতুর্থ শ্রেণির পদে চুক্তির ভিত্তিতে অস্বচ্ছ ও বেআইনি নিয়োগ বন্ধ করতে হবে এবং অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করতে হবে। যুব লিগের রাজ্য সম্পাদক অনির্বাণ চৌধুরী জানান, ঘণ্টাতিনেক ঘেরাওয়ের পরে তাঁদের দাবিপূরণের কিছুটা আশ্বাস মিলেছে। বীজ নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রদীপ সেন যুব লিগের দাবিপত্রে লিখিত নোট দিয়েছেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। উপর তলার উত্তর এলেই নিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ধান কিনতে ঋণ ৮০০ কোটি
চাষিদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কিনতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম (ডব্লিউবিআইডিসি) ৫০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। জামিনদার রাজ্য সরকার। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সোমবার জানান, ধান কেনার টাকার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ঋণের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।” নাবার্ডের কাছ থেকেও ৩০০ কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে রাজ্য। ঋণগ্রহীতা খাদ্য দফতরের অধীন অত্যাবশ্যক পণ্য নিগম। দুই সংস্থা থেকে অর্থের নিশ্চয়তা মেলায় ধান কিনতে কোনও সমস্যা হবে না বলে খাদ্যমন্ত্রীর আশা। ইতিমধ্যেই খাদ্য দফতর প্রায় সাত লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনেছে। লক্ষ্যমাত্রা, ২২ লক্ষ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ।

মমতা বাড়িতেই
রবিবার প্রবল জ্বর ছিল। সোমবার জ্বর কমলেও বাড়ি থেকে বেরোতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বাড়িতে বসেই জরুরি ফাইল দেখেছেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে আরও দু’-এক দিন বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর আসানসোল যাওয়ার কথা। শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী ওই সফরের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পাঠ্যসূচি বদল
সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যসূচি বদল করা হচ্ছে। রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী গিয়াসুদ্দিন মোল্লা এই ব্যাপারে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকের পরে মন্ত্রী জানান, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভাল ফল করতে হলে মাদ্রাসাগুলিতে ইংরেজি,অঙ্ক, বিজ্ঞান, কম্পিউটার শিক্ষায় জোর দেওয়া দরকার। তাই পাঠ্যসূচি বদলের সিদ্ধান্ত।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.