|
|
|
|
টুকরো খবর |
ত্রিফলা নিয়ে অনিয়ম, ব্যবস্থা নিচ্ছে পুরসভা |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
ত্রিফলা আলো নিয়ে অডিট রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে পুর প্রশাসন। শনিবার ত্রিফলা-কাণ্ড নিয়ে পুর কমিশনারের কাছে অভ্যন্তরীণ অডিট রিপোর্ট জমা পড়ে। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে অনিয়মের অভিযোগ মিলেছে। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অনিয়মের কথা বলা হয়েছে রিপোর্টে। এর সঙ্গে যিনি বা যাঁরা যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবেই।” কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা বলতে চাননি মেয়র। তাঁর কথায়, “অনেক বড় রিপোর্ট। সব কিছু দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বাম কাউন্সিলরেরা এ দিনই ত্রিফলা-কাণ্ডের অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট পুর অধিবেশনে পেশ করার দাবি তুলেছেন। তাঁদের দাবি, ত্রিফলা নিয়ে ওই রিপোর্ট সব কাউন্সিলরের হাতে দেওয়া হোক। সেটা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মেয়র। কলকাতা জুড়ে ত্রিফলা লাগানোয় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় বিরোধীদের চাপের মুখে পড়েন পুর-কর্তৃপক্ষ। পরে ত্রিফলা নিয়ে অভ্যন্তরীণ অডিটের নির্দেশ দেয় প্রশাসন। শনিবার সেই রিপোর্টই জমা পড়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার দাবিতে পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী রূপা বাগচির নেতৃত্বে বামফ্রন্টের কাউন্সিলরেরা এ দিন পুর কমিশনারকে স্মারকলিপি দেন। রূপাদেবী বলেন, “আলো-সহ পুরসভার একাধিক পরিষেবার কাজ বন্ধ। কারণ জানতে গিয়েছিলাম পুর কমিশনারের কাছে। জানতে পারলাম, আর্থিক সঙ্কটের জন্য কিছু কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।” পুরসভার অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান, সিপিএম কাউন্সিলর দীপঙ্কর দে জানান, আগামী অধিবেশনে ত্রিফলার অডিট রিপোর্ট পেশ করার আবেদন জানানো হয়। অ্যাকাউন্টস কমিটির কাছেও তা পেশ করার দাবি তোলা হয়েছে। মেয়র বলেন, “অধিবেশনে অডিট রিপোর্ট দেওয়া রীতি নয়। তবে নিয়ম থাকলে অ্যাকাউন্টস কমিটি তা পাবে।”
|
কাউন্সিলর-পুত্রের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত |
বাগবাজারে শুভেন্দু দত্তের মৃত্যুর ঘটনায় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মঞ্জুশ্রী চৌধুরীর ছেলে বাপ্পা চৌধুরীর ভূমিকা কী ছিল, তা জানতে তদন্ত হচ্ছে। সোমবার এক পুলিশকর্তা বলেন, তদন্তে দেখা হচ্ছে, ওই ঘটনায় আর কেউ জড়িত কি না। মৃতের পরিবার অভিযোগে বলেছে, শনিবার বাপ্পার সামনে দলীয় কার্যালয়ে ডেকে মারধর করা হয় শুভেন্দুবাবুকে। ঘটনায় চার ভাড়াটে-সহ অন্যদের বিরুদ্ধে শ্যামপুকুর থানায় খুনের অভিযোগও দায়ের হয়। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ সঠিক তদন্ত করছে না। যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ-দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সবার বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যবস্থা হবে।” পুলিশের বক্তব্য, মূল অভিযুক্ত ছোটেলাল ধরা পড়লেই সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে শুভেন্দুবাবুর হৃদ্রোগেই মৃত্যু হয় বলে জেনেছে পুলিশ। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, কাউন্সিলরের ছেলে হওয়ায় এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে চাইছেন বাপ্পা। এলাকার বাসিন্দা মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “বাপ্পার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানানোর জন্য সে আমাকে ও কয়েক জনকে খুনের হুমকি দিচ্ছে।” তবে বাপ্পা এ দিন দাবি করেন, “আমি কাউকে খুনের হুমকি দিইনি। ঘটনার সঠিক তদন্তই চাইছি।”
|
আনা হচ্ছে ছোট মাপের দমকল |
বস্তির আগুন নেভাতে এ বার দমকলের নতুন ৬৮টি গাড়ি আসছে রাজ্যে। গলি ও ঘিঞ্জি এলাকার অগ্নিকাণ্ডে যাতে ইঞ্জিন সহজে ঢুকতে পারে, তাই এই সিদ্ধান্ত। দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান সোমবার মহাকরণে জানান, রাজ্যে মোট বস্তির সংখ্যা ৫০৮২টি। দমকলের বিশেষ এই ছোট ইঞ্জিনগুলিতে এক হাজার লিটার জল ধরে। এমন ৩৬টি গাড়ি কেনা হচ্ছে। বাকি গাড়িগুলি তুলনায় বড় ইঞ্জিনের। তিনি আরও জানান, বর্তমানে ১০৮টি দমকল কেন্দ্র আছে রাজ্যে। নতুন ২৫টি কেন্দ্র তৈরির কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে বড়বাজার, রাজাবাজার, টালিগঞ্জ, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড-সহ কলকাতাতেই ছ’টি কেন্দ্র গড়ে উঠছে। যন্ত্রপাতি, লোক নিয়োগ এবং গাড়ি কেনার টাকাও বরাদ্দ করা হয়েছে।
|
হার ছিনতাই, গ্রেফতার |
এক কলেজ শিক্ষকের সোনার হার ছিনতাই হওয়ার ছ’ঘণ্টার মধ্যে হার-সহ দুষ্কৃতী গ্রেফতার হল। সোমবার, ওই ছিনতাই হয় সায়েন্স সিটির কাছে একটি সিটিসি-র বাসে। ধৃত মার্ক জোসেফ (৩৫) সম্প্রতি ডাকাতির মামলায় জেল খেটে বেরিয়েছে। দেবযানী দে নামে ওই শিক্ষক প্রগতি ময়দান থানায় অভিযোগটি দায়ের করেন। দুষ্কৃতীর চেহারার বর্ণনা শুনে ছিনতাই দমন শাখার পুলিশ জোসেফকে ধরে।
|
নিকাশির উন্নয়নে |
ভারী বৃষ্টিতে শহরে জল জমা রুখতে পুরসভাকে নিয়ে খাল পরিষ্কার করবে সেচ দফতর। পুরসভা সূত্রে খবর, ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ মিমি বৃষ্টি হলেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় জল জমে। নড়বড়ে নিকাশিই এর প্রধান কারণ বলে মনে করেন নবনিযুক্ত সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, “নিকাশি ব্যবস্থা উন্নত করতে সব রকম প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে।”
|
আসন বদল |
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পরীক্ষার আসন বদল হল। পরীক্ষা নিয়ামক ওঙ্কারসাধন অধিকারী জানান, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন কলেজের সব পরীক্ষার্থীর আসন পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজরা ক্যাম্পাসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের আসন পড়েছে দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজে। আজ, মঙ্গলবার ওই পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। |
|
|
|
|
|