খাদিম-কর্তা অপহরণ মামলার প্রথম পর্যায়ের বিচারে পাঁচ জনের শাস্তি হয়েছিল সাড়ে চার বছর আগে। ঘটনার প্রায় এক যুগ পরে, সোমবার এই মামলার দ্বিতীয় পর্যায়ের বিচার শুরু হয়েছে। আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে বিশেষ আদালতে এ দিন সাক্ষ্য দেন সাবির আলি নামে বেনিয়াপুকুর এলাকার গোরাচাঁদ লেনের এক বাসিন্দা।
তিলজলার সি এন রায় রোড থেকে খাদিম-কর্তা পার্থ রায়বর্মন অপহৃত হন ২০০১ সালের ২৫ জুলাই। জেলের মধ্যে ওই বিশেষ আদালতেই এই মামলার প্রথম পর্যায়ের বিচারে ২০০৮ সালের ২০ মে আফতাব আনসারি, হ্যাপি সিংহ-সহ পাঁচ অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। ওই পর্যায়ের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন ১৩৯ জন। এ দিন বিচারক কাজি সফিউর রহমানের এজলাসে এই মামলার দ্বিতীয় পর্যায়ে ছয় অভিযুক্ত আরশাদ, শাহবাজ ওরফে নুর মহম্মদ, মুজাম্মেল শেখ, তারিক মেহমুদ, ইশাক ও আখতার হোসেনের বিচার শুরু হয়েছে। এদের মধ্যে আখতারকে রবিবার আমদাবাদের জেল থেকে সেখানকার পুলিশি পাহারায় এখানে আনা হয়। সেখানকার আদালতে সিবিআইয়ের একটি মামলায় আখতার অভিযুক্ত। তার ব্যাপারে আমদাবাদ জেলের সুপারের পাঠানো এক চিঠিতে আদালতকে অনুরোধ হয়েছে, যে-সব রক্ষীর পাহারায় তাকে এখানে পাঠানো হয়েছে, তাঁদেরই সঙ্গে যেন তাকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সরকারি আইনজীবী নবকুমার ঘোষ বলেন, মামলা শেষ না-হওয়া পর্যন্ত এই অভিযুক্তকে ফেরত পাঠানো যাবে না। তড়িঘড়ি তাকে ফেরত পাঠিয়ে দিলে বিচারে দেরি হবে। তা ছাড়া অভিযুক্ত আখতারও নিজের আইনজীবীর মাধ্যমে একটি লিখিত আবেদনে সেখানে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে অসম্মতির কথা জানিয়েছে। |