ঠাকুরপুকুরে পরিত্যক্ত বাসে মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার উপরে অত্যাচারের পরে ঢাকুরিয়ার বাবুবাগানে মূক ও বধির বালিকাকে ধর্ষণ। ওই বালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার তারই প্রতিবেশী, ১৫ বছরের এক কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ দিন দুপুরে ওই বালিকাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য এম আর বাঙুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, পরীক্ষানিরীক্ষার পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেওয়া হয়েছে। তার শরীরে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন মিলেছে বলে চিকিৎসকেরা জানান। মেয়েটি মানসিক ভাবেও খুবই অস্থির অবস্থায় রয়েছে।
পুলিশি সূত্রের খবর, বাবুবাগান এলাকায় ঢাকুরিয়া রেললাইনের লাগোয়া বস্তিতে বাবা-মা ও দিদির সঙ্গে থাকে ১৩ বছরের ওই বালিকা। ওই বস্তিতেই অন্য একটি ঘরে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে থাকে অভিযুক্ত কিশোর। সে গড়িয়ায় একটি ছবি বাঁধাইয়ের দোকানে কাজ করে। মেয়েটি প্রতিদিন বিকেলে ওই কিশোরের ঘরে টিভি দেখতে যেত। পুলিশের কাছে ওই বালিকার পরিবার অভিযোগ করেছে, অন্যান্য দিনের মতো রবিবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরের ঘরে টিভি দেখতে গিয়েছিল মেয়েটি। কিন্তু রাত ৯টার পরে সে ফিরছে না দেখে তার বাবা খুঁজতে যান। অভিযোগ, ওই কিশোরের ঘরে গিয়ে তিনি দেখেন, সে তাঁর মেয়ের সঙ্গে অশালীন আচরণ করছে। ছেলেটির মা ও ভাই তখন বাড়িতে ছিলেন না। বাবা মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। সোমবার সকালে ওই বালিকার মা এলাকার বাসিন্দাদের সব জানান।
বিকেলে বস্তিতে গিয়ে দেখা যায়, রেললাইনের উপরে স্থানীয়দের জটলা। বালিকার ঘরে তালা ঝুলছে। কয়েকটি ঘর পরেই একটি গলিতে অভিযুক্ত কিশোরের ঘর। সেখানেও এক অবস্থা। বাড়িতে কেউ নেই। এলাকার লোকজন জানান, ওই কিশোরের মা সব্জি বিক্রি করেন। সকালে ছেলেকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি বাড়িতে নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা কেউই বিশদ ভাবে বিষয়টি জানাতে চাননি। এক মহিলা বলেন, “সকালেই ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পরে মেয়েটিকে পরীক্ষা করানোর জন্য স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। ডাক্তারবাবু জানিয়ে দেন, পুলিশে রিপোর্ট না-করলে তিনি দেখবেন না।” তার পরে লেক থানায় গিয়ে ওই কিশোরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন বালিকার মা। লালবাজারের এক পুলিশকর্তা জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওই কিশোরকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। |