সল্টলেকে সিডি ব্লকের একটি বাড়ি থেকে চার দিন আগে এক পরিবারকে ‘উৎখাত’ করার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করল রাজ্য মহিলা কমিশন। এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বিধাননগর কমিশনারেটের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে বলে জানায় কমিশন।
৪ জানুয়ারি রাতে সিডি ব্লকের বাড়ি থেকে তাঁর পরিবারকে ‘উৎখাত’ করে দেয় পুলিশ এমনই অভিযোগ করেন চিকিৎসক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর পরিবার। ঘটনার পরদিন মহিলা কমিশনে অভিযোগ জানান অর্পণবাবুর স্ত্রী সুমিতাদেবী। দ্রুত কমিশনারেটের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিতে আর্জি জানায় কমিশন। সে দিনই পুলিশ সেই বাড়ি ‘সিল’ করা তালা খুলে ওই পরিবারকে বাড়িতে ঢোকায়। এমনই দাবি ওই চিকিৎসকের।
সোমবার অর্পণবাবু ও সুমিতাদেবী বিধাননগরে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায়কে ঘটনাটি লিখিত ভাবে জানান। পরে সুনন্দাদেবী বলেন, “চার ও ছয় বছরের দু’টি বাচ্চার সামনে তাঁর মা-বাবাকে ভয় দেখাচ্ছেন এক পুলিশ আধিকারিক। এতে কী প্রবল মানসিক চাপ তৈরি হল বাচ্চা দু’টির! পরিবারটি ভয় পাচ্ছে।”
সুনন্দাদেবী আরও বলেন, “অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে। অতি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে পুলিশ। আমরা বিধাননগর কমিশনারেটকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছি।” সুমিতাদেবীর একটাই দাবি, “আইনের রক্ষক হয়ে ওই রাতে যে গুন্ডামির পরিচয় দিয়েছেন পুলিশের সেই আধিকারিক, তাঁর সাসপেনশন চাই। প্রয়োজনে মামলার পথে যাব।”
এ দিকে, ‘আদালতের অর্ডার’-এর বলেই তাঁদের ‘উৎখাত’ করা হচ্ছে, ঘটনার দিন পুলিশ আধিকারিকেরা এমনটাই জানান চিকিৎসক অর্পণবাবুকে। কিন্তু বিধাননগর মহকুমা প্রশাসন সূত্রের খবর, ৪ জানুয়ারি বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশকে ওই পারিবারিক বিবাদ সংক্রান্ত তদন্ত করে দ্রুত রিপোর্ট পেশ এবং ওই বাড়িতে যাতে আইনশৃঙ্খলা বজায় থাকে, তা দেখতে নির্দেশ দেন মহকুমাশাসক মলয় মুখোপাধ্যায়। যদিও মলয়বাবু এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। সল্টলেকের পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, “অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণকলি লাহিড়ীকে এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।” পুলিশ সূত্রের খবর, কৃষ্ণকলিদেবী এ দিন ওই পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। |