আমাদের চিঠি

নেই প্রশাসনের নজর, নষ্ট হচ্ছে প্রত্নসামগ্রী
পুরুলিয়া শহর থেকে প্রায় ২৭ কিমি দূরে জয়পুর গ্রাম। এখান থেকে সাত কিমি দূরে কংসাবতীর দক্ষিণ পাড়ে দেউলঘাটা প্রত্নস্থল। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই এখানে সম্পূর্ণ অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে দুর্গার একটি প্রস্তরমূর্তি। চার ফুট উচ্চতার মূর্তিটির বাঁ দিকের চারটি এবং ডান দিকের দু’টি হাত ভাঙা। মুখমণ্ডলও ক্ষয়প্রাপ্ত। দেবী সালঙ্কারা। কানে কুণ্ডল, গলায় হার, কোমরে কোমরবন্ধ। দেবীর দশটি হাতেই হয়তো অস্ত্র ছিল। বর্তমানে চোখে পড়ে ওপরের ডান হাতে বিশাল খড়্গ, বাঁ দিকের একটি হাতে সর্প এবং বাকি দু’হাতের অস্ত্র শনাক্ত করা যায় না। দণ্ডায়মান দেবীর এক পা মহিষের পৃষ্ঠে, অন্য পা সিংহের উপর। মূর্তির বিশেষত্ব, অসুর ডান দিকে। চিরাচরিত মূর্তিতে অসুরের স্থান দেবী বাঁদিকে। মূর্তির দু’পাশে খোদিত চতুর্ভুজ বিষ্ণুমূর্তি, হংসবাহিনী দেবী সরস্বতীর মূর্তি এবং নানা দেবদেবীর মূর্তি। একেবারে নীচে উপাসনারতা নারী মূর্তি। মধ্যে নানা ফুলের নকশা এবং জ্যামিতিক চিত্র, যা এক লহমায় মনকে মুগ্ধ করে। কিন্তু দিন দিন স্থানীয় মানুষের (ভক্তবৃন্দের) সিন্দুর ও তৈল লেপনে মূর্তিটির কারুকার্য ক্রমশ ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। এটির সংরক্ষণের তেমন কোনও ব্যবস্থা নেই। মূর্তিটির যথাযথ সংরক্ষণের জন্য পুরাতত্ত্ব বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
চাই অটোরিকশা, ট্রেকার
আমি বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার অন্তর্গত পানুহাট (পশ্চিমপাড়া) মৌজার একজন স্থায়ী বাসিন্দা। আমার আবেদন, কাটোয়া একটি গ্রামভিত্তিক শহর। এখানে প্রতিদিন গ্রাম থেকে বহু মানুষ নানা কাজে আসেন। কাটোয়া রেলওয়ে স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড ও খেয়াঘাট থেকে বহু মানুষ কাটোয়া অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের ভ্যানরিকশায় যাতায়াত করতে হয়। অথচ বর্তমানে কাটোয়া অঞ্চলে রিকশা ভাড়া এত বেশি যে সাধারণ মানুষের পক্ষে তা দেওয়া অসহনীয় হয়ে উঠেছে। অগত্যা অনেকে হেঁটেই তাদের কাজকর্ম সারতে বাধ্য হচ্ছেন। কাটোয়া অঞ্চলের বিধায়ক ও প্রশাসনের কাছে আমার আবেদন, তাঁরা যেন কাটোয়া অঞ্চলে অটোরিকশা বা ট্রেকার চালুর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেন। এর ফলে সাধারণ গরিব মানুষের অনেকটাই উপকার হবে।
চাই টিকিট কাউন্টার
চুঁচুড়া স্টেশন। ছবি: তাপস ঘোষ।
পূর্ব রেলের গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন চুঁচুড়ায় আপ প্ল্যাটফর্মের সিঁড়ির পাশে একটি টিকিট কাউন্টার তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। এই টিকিট কাউন্টারটি চালু হলে অটো, ট্রেকার, ১৭/১৮ নম্বর বাসের যাত্রীরা এবং আপ প্ল্যাটফর্মের সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা অত্যন্ত উপকৃত হবেন। এখন টিকিট কাটতে হলে অনেকটা পথ ঘুরে ডাউন প্ল্যাটফর্মের মাঝামাঝি গিয়ে টিকিট কাউন্টারে পৌঁছতে হয়। তা ছাড়া অফিস টাইমে দীর্ঘ লাইন পড়ে। সেইসঙ্গে চুঁচুড়া স্টেশনের হাওড়া প্রান্তে একটি ওভারব্রিজ করা হলে যাত্রীরা উপকৃত হবেন।
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
আমাদের চিঠি
সম্পাদকীয় বিভাগ,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট
কলকাতা-৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.