ওয়াঘা-যুদ্ধ

মহানাটকীয় জয়ে অশৌচের আবহাওয়া
থেকে মুক্তি ধোনিদের

বি শাস্ত্রী সকালে তাঁকে অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন, “হ্যাপি ফর্টিয়েথ বার্থডে” বলে। শুভেচ্ছাপ্রাপকও দ্রুতই একমত: “পুরুষের বয়স চল্লিশের পর আর বাড়ে না। চল্লিশটাই আমার ঠিক আছে।” জন্মদিনে ব্র্যান্ড নিউ কালো স্যুটে এ দিন কমেন্ট্রি করতে এসেছেন। তিনি, কপিল দেব নিখাঞ্জ, বয়স যতই হোক, ৪০ বা ৫৪, দারুণ জন্মদিনের উপহার যে তাঁকে ধোনির দল দিল, কোনও সন্দেহ নেই।
কপিলের নেতৃত্বেই আঠাশ বছর আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শারজায় তার সর্বকালের অন্যতম সেরা ওয়ান ডে ম্যাচ জিতেছিল ভারত। মাত্র ১২৫ রান তুলেও সেই ম্যাচ জেতা এত অবিশ্বাস্য ছিল যে, তাকে কেন্দ্র করে নানান লোকগাথাও প্রচলিত রয়েছে। আজ যেমন সইদ আজমল ৫-২৪ নিয়ে ভারতীয় ইনিংসকে দুমড়ে দেন। সে দিন ঘটেছিল ইমরানের বিধ্বংসী ৬-১৪। কপিল-গাওস্কর-মোহিন্দররা থেকেও সবাই এমন নৈরাশ্যে ডুবে যান যে লাঞ্চে না খেয়েটেয়ে গোটা টিম ঘুমিয়ে পড়েছিল। জাস্ট খেলা শুরুর মিনিট দুয়েক আগে তারা গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে। কপিল টিমকে লক্ষ করে বলেন, “চলো মাঠে। চেষ্টা একটা করা যাক।” তার পরইতিহাস।
ধোনির ড্রেসিংরুমে রোববার ১৬৭ করে সবাই আউট হয়ে যাওয়ার মূর্তিমান হতাশাও কি বিচিত্র রূপ নিয়ে ছিল? এখনও জানা যায়নি। ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই কোনও দিন জানা যাবে। তার পর সেটাও লোকগাথা হবে। যাক গে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কম রান করেও ম্যাচ ছিনিয়ে নেওয়ার তালিকায় আঠাশ বছর আগের শারজার পরেই ঢুকে গেল কোটলা!
দিল্লি দখল
অবশেষে জয়। পাক সিরিজের শেষ ম্যাচ ১০ রানে জিতল ভারত। তৃপ্ত ধোনি-ইশান্ত । ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
সিরিজ রাখা যায়নি ঠিক কথা। পাকিস্তান ইডেনেই জিতে নিয়েছে। কিন্তু যেমন মহানাটকীয় ভাবে এই অশৌচের আবহাওয়ায় থাকা ধোনির ভারত ম্যাচ ঘুরিয়ে দিল, তা অসাধারণ, রোমাঞ্চকর। চাপের মুখে যে ইস্পাতকঠিন স্নায়ু আর দুর্ধর্ষ ফিল্ডিং দেখিয়ে ধোনির ভারত ম্যাচে প্রত্যাবর্তন ঘটাবে তা এদের পূর্বসুরি টিম ইন্ডিয়ার রেট্রোস্পেক্টিভেই একমাত্র দেখা সম্ভব, এমন বিশ্বাস অ্যাদ্দিনে জন্মে গিয়েছে সবার। ০-৩ নির্ঘাত হচ্ছে খেলা শেষের দশ মিনিট আগেও সবাই বিশ্বাস করছিলেন। কোটলা তাই সিরিজ জেতাতে না পেরেও একটা সুখের বাতাবরণ তৈরি করে দিল।
প্লেয়ারদের মধ্যেও তাই হয়তো মৃত সিরিজের নিয়মরক্ষার ম্যাচ জিতেও এত আবেগ। এত উষ্ণতা। যুবরাজ সিংহ এক ওভার বল পাননি। তাতে কী! উইনিং ক্যাচটা ধরে যুবরাজ স্প্রিন্ট শুরু করলেন ড্রেসিংরুমের দিকে। কুড়ি গজ মতো প্রাণপণ দৌড়ে স্লাইড করে পড়লেন ঘাসের ওপর। তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল টিমের তিন-চার জন। টিম ইন্ডিয়ার সেই পুরনো ইতিহাস বইয়ের ছবির মতো। চওড়া হাসি মুখের ধোনি ততক্ষণে ছুটে এসে একটা স্টাম্প তুলে নিয়েছেন। কোহলি উপড়ে নিলেন আর একটা। হেরো সিরিজের স্মারক সচরাচর কেউ রাখে না। ভুল বললাম, কখনও কেউ রাখে না। কিন্তু কোটলার ম্যাচটা যে অদ্ভুত ভাবে নিজেই স্বয়ম্ভ একটা এক ম্যাচ সিরিজ হয়ে উঠেছিল। আর মহাতাৎপর্যপূর্ণ হয়েও দেখা দিতে পারে।
কে বলতে পারে মরণের পার থেকে প্রায় ছিনিয়ে আনা এই জয়টাই ভবিষ্যতের ভারতের জন্য নতুন সৌভাগ্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়াবে না! ব্যাটিংয়ে এখনও বিস্তর সমস্যা। প্রচুর ফুটোফাটা এ দিনও চোখে এল। ধোনি সেই জেদ করে আজও ছ’নম্বরে গেলেন। মনে হচ্ছে সৌরভ যত তাঁকে এগোতে বলবেন তত তিনি একগুঁয়েমি করে নীচেই খেলবেন।
এত কিছুর পরেও ররিবাসরীয় জয়ের ধরনটা এমন লড়াকু যে আগামী শুক্রবার থেকে রাজকোটে শুরু হওয়া সিরিজে ইংল্যান্ডকে অবশ্যই সামান্য চাপে ফেলবে। যে চাপটা ঠিক ততটাই অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল যতটা অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে দিল্লির সুস্থ আবহাওয়া।
ভারত মরিয়া চেষ্টা, ফিল্ডিং নৈপুণ্য আর পাকিস্তানের আত্মঘাতী ব্যাটিং। এমন ত্র্যহস্পর্শে মরা ম্যাচ জ্যান্ত করে ফেলল নিজেদের জন্য। তার চেয়েও ঢের আশ্চর্য, কোটলার হাজার পনেরো দর্শক খোলা স্ট্যান্ডে বসে এতক্ষণ ম্যাচ দেখলেন কী করে! দিল্লিতে যে তুষারপাত হচ্ছে না সেটা অবশ্য সমপরিমাণ আশ্চর্যের। সকাল আটটা অবধি আজ ল্যাম্পপোস্টের আলো জ্বলছিল। তাপমাত্রা নেমে যায় ১.৯ ডিগ্রিতে। প্লেয়াররা এক-একজন তিন-চারটে করে জার্সি পরে খেললেন। দুপুর বারোটায় ম্যাচ শুরু। অথচ কিছুক্ষণ পরেই কোটলার বাতিস্তম্ভগুলোকে অন করে দিতে হল। এত ঠান্ডায় দক্ষিণ আফ্রিকায় আইপিএল হয়েছে। কিন্তু ভারত বিদেশেও কখনও ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছে বলে মনে হয় না। পুরো ঢাকা মিডিয়া বক্সে বসে দেখা গেল ওয়াসিম আক্রম আর রমিজ রাজা শীতে কাঁপছেন। আর অভিযোগ করে যাচ্ছেন ঠান্ডা নিয়ে। অথচ দু’জনেই লাহৌরওয়ালা। আর লাহৌরের ঠান্ডাও দিল্লির মতোই জবরদস্ত। সঞ্জয় মঞ্জরেকর ডিক্লেয়ার করে দিলেন, এ রকম ঠান্ডা হলে তিনি কাজই করতে পারবেন না। এর পর সংযোজক যতীন সাপ্রুর একটা এস্কিমোদের দেশের মতো ঢাউস মোটা লাল জ্যাকেট পরে সঞ্জয় কাজ চালালেন। রাতে মাঠ থেকে বেরনোর সময় দেখলাম, পুলিশ পর্যন্ত উধাও। এই বাতাবরণে বারবার মনে হচ্ছে, বছরের সেরা ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকের পুরস্কার এ বার পাওয়া উচিত এত কালের কুখ্যাত কোটলা দর্শকের! সাড়ে সাত ঘণ্টা এই শীতে বসে ম্যাচ দেখা, নিজেরা ১৬৭ অলআউট হয়ে দশ রানে ম্যাচ জেতার চেয়ে অনেক কঠিন।
বিদেশি সমর্থকদের কনকনে ঠান্ডা সহ্য করাটা সার্থক করে দিলেন মিসবা উল হক। যে ভাবে ম্যাচটা মিসবা হাত থেকে ফস্কে যেতে দিলেন তাতে চূড়ান্ত বিশ্লেষণে মনে হবে কপিল নয়, আজ বুঝি ধোনির জন্মদিন ছিল। আর মিসবা তাঁকে সম্প্রীতির উপহার দিয়ে গেলেন। পাকিস্তান তিন উইকেটে ১১৩। মাত্র ৫৫ রান করতে হবে। হাতে সাত উইকেট আর একশোর ওপর বল। কেউ হারে নাকি এই ম্যাচ? তা-ও মনোবল সম্পূর্ণ উপড়ে যাওয়া আতঙ্কগ্রস্ত একটা দলের বিরুদ্ধে!
পালাবদল
কে জানত, অন্তত কয়েক ঘণ্টার জন্য দুই অধিনায়কের
পৃথিবীটা বদলে যাবে? এক জন ৩-০ করব বলে আগাম
হুঙ্কার দিয়েছিলেন। তিনি কি না সিরিজ জিতে উঠেও
স্তিমিত। আর এক জন সিরিজ হেরেও
শেষ বেলার সিকন্দর।
সিরিজ শেষে। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
পাক অধিনায়ক সেই ম্যাচটাকে কঠিনতম চেহারায় নিয়ে গেলেন। নিজে ৮২ বলে করলেন মাত্র ৩৯। স্ট্রাইক রোটেট দূরে থাক, জাডেজাকে পরের পর ডট বল উপহার দিয়ে গেলেন। অশ্বিনকে তিনি উইকেট দেওয়া মাত্র ম্যাচটা দমকা হাওয়ার মতো পাক শিবির থেকে ভেসে গেল। অধিনায়ক হিসেবে ভারতে ৩-০ সিরিজ জেতার ঐতিহাসিক সুযোগ ছাড়লেন মিসবা! নেহাত পাকিস্তান ক্রিকেটে তাঁর ভাবমূর্তি সব রকম সন্দেহ আর অবিশ্বাসের ঊর্ধ্বে। নইলে একই ইনিংস কামরান আকমল বা নাসির জামশেদ খেললে (নাসিরের নাম আইসিসি-র সন্দেহভাজন তালিকায় রয়েছে) ঢি-ঢি পড়ে যেত।
সার্কলের মধ্যে এ দিন ঝকমক করল ভারতীয় ফিল্ডিং। কোহলি, জাডেজা, যুবরাজ এবং অবশ্যই রায়না! ওয়ার্ল্ড ফিড টিভি ভাষ্যকার এবং প্রোডিউসারদের বিচারে ধোনির ৫৫ বলে করা ৩৬ ম্যান অব দ্য ম্যাচ হিসেবে পুরস্কৃত হল। সুনীল গাওস্করের মুখে যদিও শোনা গেল, তাঁর ভোট কেউ চায়নি। অরুণলালও ভোট দেননি। তামিলনাড়ুর শিবরামকৃষ্ণণ দিয়েছেন। আর কারা কারা দিল সেই গলিঘুঁজিতে যাচ্ছি না। তবে সাধারণত ভাগ্যের বাদশা যিনি থাকেন, সেই সুরেশ রায়না যেন উপেক্ষিত হলেন। চাপের মুখে করা ৩১, মোক্ষম সময়ের রানআউট আর সার্কলের মধ্যে কুড়ি-তিরিশ রান বাঁচানো মিলে রায়নার অবদান অনেক বেশি দেখাচ্ছে!
ভুবনেশ্বর কুমারকেও বাছা যেত। দারুণ সুইং করাচ্ছিলেন ভুবনেশ। দুপুরে জুনায়েদ খানের সিম আর সুইং যখন ভারতীয় ক্রিকেটকে কার্যত ডিপ্রেশন-বন্দি করে দিয়েছে। যখন মনে হচ্ছে পাকিস্তান আজ ৩-০-র সঙ্গে আরও কিছু চুনকালি নিশ্চিত মাখাবে। তখন ভুবনেশ প্রথম ওভার থেকেই পাকিস্তানকে ঠেলে দিলেন অশান্তির করিডরে।
জাডেজার বাঁ-হাতি স্পিন। ইশান্তের অভিজ্ঞতা এগুলো সঙ্গে ছিল। কিন্তু আবির্ভাবেই চমকে দিলেন বাংলার সামি আহমেদ। মোরাদাবাদের এই পেসার বছর দুই হল বাংলার হয়ে খেলছেন। বাংলা বলতে না পারলেও বোঝেন। এ বার রঞ্জিতে সর্বগ্রাসী হাহাকারের মধ্যেও ৫ ম্যাচে তুলেছেন ২৮ উইকেট। তার চেয়েও তাৎপর্যপূর্ণডেথ ওভারে বল করার টেম্পারামেন্ট রাখেন সামি। এ দিন সামির বোলিং দেখে তৃপ্তিতে ঘাড় নাড়ছিলেন তাঁর গত মরসুমের রঞ্জি ও বিজয় হাজারে ট্রফির অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। মাত্র ১৬৭ রান হাতে নিয়ে আবির্ভাবে চার ওভার মেডেন, ভাবাই যায় না। তা-ও আবার পাকিস্তানের সঙ্গে স্নায়ু সেদ্ধ হওয়া ম্যাচে।
সামির পক্ষে ভাল খবর, তাঁর জায়গাটা এখনও ভর্তি নয়। ধোনিরা ২০১৫ বিশ্বকাপের আগে প্রায় ৬০খানা ওয়ান ডে ম্যাচ খেলবেন। এর থেকে তাঁরা বেছে নিতে চান খালি থাকা চারটে স্লটের চার জন প্লেয়ার। একজন ওপেনার। ছ’নম্বরে অলরাউন্ডার। দু’জন পেসার। এই দুই পেসারের মধ্যে সম্ভাব্য একজন হয়ে কিন্তু রোববার ভারতীয় ক্রিকেটের মহাকাশে সামি উদয় হলেন। তাঁর অ্যাকশন এতই স্মুথ যে মনে হয় না চট করে চোট লাগবে বলে। তাঁর মতো তরুণের সফল আবির্ভাব সন্দেহাতীত ভাবে চলতি ক্রিকেট সপ্তাহে অন্যতম সেরা ঘটনা।
আর ভারতের সেরা ছবি? মোটেও যুবরাজের ক্যাচ ধরা নয়। বিজয়ী দল গ্রুপ ছবি তোলার সময় মিসবা উল হকের থমথমে মুখটা। আনন্দ হচ্ছে অথচ করতে পারছেন না।
মিশন ভারত সম্পন্ন। কিন্তু চোনাটা যে শেষ বেলায় পড়ে যাবে কে জানত! কে জানত, অন্তত কয়েক ঘণ্টার জন্য দুই অধিনায়কের পৃথিবীটা বদলে যাবে? এক জন ৩-০ করব বলে আগাম হুঙ্কার দিয়েছিলেন। তিনি কি না সিরিজ জিতে উঠেও স্তিমিত। আর এক জন সিরিজ হেরেও শেষ বেলার সিকন্দর। ক্রিকেট সত্যিই মজার খেলা!

ভারত
গম্ভীর ক উমর আকমল বো ইরফান ১৫,
রাহানে ক কামরান বো ইরফান ৪,
কোহলি ক ইউনিস বো জুনায়েদ ৭,
যুবরাজ বো হাফিজ ২৩,
রায়না এলবিডব্লিউ আজমল ৩১,
ধোনি ক উমর আকমল বো গুল ৩৬,
অশ্বিন এলবিডব্লিউ আজমল ০,
জাডেজা ক উমর আকমল বো আজমল ২৭,
ভুবনেশ্বর এলবিডব্লিউ আজমল ২,
ইশান্ত ক ও বো আজমল ৫, সামি ন.আ. ০
অতিরিক্ত: ১৭
মোট: ৪৩.৪ ওভারে ১৬৭।
পতন: ১৯, ২৯, ৩৭, ৬৩, ১১১, ১১১, ১৩১, ১৪১, ১৬০।
বোলিং: ইরফান ৭-১-২৮-২, জুনায়েদ ৯-১-১৭-১, গুল ৮-১-৪৫-১,
হাফিজ ১০-০-৪৪-১, আজমল ৯.৪-১-২৪-৫।

পাকিস্তান
জামশেদ এলবিডব্লিউ অশ্বিন ৩৪,
কামরান এলবিডব্লিউ ভুবনেশ্বর ০,
ইউনিস বো ভুবনেশ্বর ৬,
মিসবা ক রাহানে বো অশ্বিন ৩৯,
উমর আকমল স্টাম্পড ধোনি বো জাডেজা ২৫,
শোয়েব এলবিডব্লিউ ইশান্ত ৫,
হাফিজ ক যুবরাজ বো ইশান্ত ২১,
গুল ক জাডেজা বো ইশান্ত ১১,
আজমল ক ধোনি বো সামি ১,
জুনায়েদ রান আউট ০,
ইরফান ন.আ. ০
অতিরিক্ত: ১৫
মোট ৪৮.৫ ওভারে ১৫৭।
পতন: ৩, ১৪, ৬১, ১১৩, ১১৯, ১২৫, ১৪৪, ১৪৫, ১৪৫।
বোলিং: ভুবনেশ্বর ১০-২-৩১-২, সামি ৯-৪-২৩-১, ইশান্ত ৯.৫-০-৩৬-৩,
অশ্বিন ১০-১-৪৭-২, জাডেজা ১০-২-১৯-১।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.