টুকরো খবর
দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ পর্ষদ, নালিশ প্রতীকী চার্জশিটে
দূষণের রাশ টানাই তাদের কাজ। অথচ সেই রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের বিরুদ্ধেই উঠেছে নিষ্ক্রিয়তা ও অপদার্থতার অভিযোগ। শুধু অভিযোগ নয়, পর্ষদের বিরুদ্ধে প্রতীকী চার্জশিটও দিল ‘সবুজ মঞ্চ’। পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের বক্তব্য, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এখন কেবল ঠুঁটো জগন্নাথই নয়, অনেক ক্ষেত্রে দূষণ নিয়ন্ত্রণের বদলে তা অবাধ করে দেওয়ার কাজই করছে তারা! চার্জশিটে বলা হয়েছে, রাজ্যে দূষণ নিয়ন্ত্রণে যে-সব আইন আছে, পর্ষদ সেগুলো কার্যকর করছে না। বস্তুত রাজ্যে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কোনও অস্তিত্ব আছে কি না, সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, জলাশয় বোজানো নিয়ন্ত্রণ করার কোনও চেষ্টাই নেই পর্ষদের। নিয়ম লঙ্ঘন করে স্পঞ্জ আয়রন কারখানা দূষণ ছড়াচ্ছে। পর্ষদ তাদেরও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ওই চার্জশিট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পেশ করা হবে বলে সবুজ মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। চার্জশিটের তোলা বিভিন্ন অভিযোগের ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি পর্ষদের চেয়ারম্যান বিনয়কান্তি দত্ত। রাজ্য সরকার এবং সরকারি সংস্থাগুলো দূষণ নিয়ন্ত্রণের আইন মানছে কি না, সেই ব্যাপারে নজরদারি চালায় পরিবেশ সচেতন নাগরিক এবং পরিবেশ সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে তৈরি ‘সবুজ মঞ্চ’। ওই মঞ্চের আহ্বায়ক নব দত্ত বলেন, “আমরা চাই, সরকার এবং পর্ষদ পরিবেশ আইন মেনে চলুক। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই আমরা পরিবেশমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষদস্তিদারকে অনুরোধ করেছিলাম, তাঁরা যেন পরিবেশ সংক্রান্ত আইন কঠোর ভাবে রূপায়ণে ব্যবস্থা করেন। মন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পালন করেননি।” সবুজ মঞ্চের অন্যতম সদস্য, বিজ্ঞানী সুজয় বসু বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম, দূষণ নিয়ন্ত্রণে এবং পরিবেশ রক্ষায় নতুন সরকার কিছু করবে। কিন্তু আমাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।”

সঙ্গীর মৃত্যুতে ‘অবরোধ’ পবননন্দনদের

স্বজনশোক: সঙ্গীর মৃত্যুর পর রাস্তা অবরোধে হনুমানের দল।
শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ায়। —নিজস্ব চিত্র

রাস্তার মাঝখানে পড়ে একটি মৃত হনুমান। মৃতদেহ ঘিরে শোকে সঙ্গীদের চোখ অশ্রুসজল। কেউ দু’হাতে মুখে ঢেকেছে। কেউ আবার নিথর দেহের মুখের কাছে ঝুঁকে পড়েছে এই আশায় এখনও কি বেঁচে আছে? মৃত সঙ্গীকে ঘিরে অন্যদের এমন শোকপালনে শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার জোড়া অশ্বত্থতলায় ভিড় জমে যায় বাসিন্দাদের। ভিড়ের মধ্যে অনেকের চোখও ছলছল করে উঠেছিল এমন দৃশ্য দেখে। আর তার ফলে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে আটকে থাকল রাস্তা। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল গাড়ি চলাচল। খাবারের প্রলোভন দেখিয়েও টলানো যায়নি পবননন্দনদের। ফলে অবরোধে ভোগান্তি হয় যাত্রীদের। যদিও শেষ পর্যন্ত খাবারের প্রলোভন দেখিয়েই অবরোধ তুলতে সক্ষম হন স্থানীয় মানুষ।

গাছ কাটায় শাস্তির দাবি
অবৈধ ভাবে শালগাছ কাটার ঘটনায় অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি দাবি করলেন জলপাইগুড়ির বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা। শুক্রবার তিনি জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া সর্দার পাড়া এলাকায় গিয়ে বাসিন্দা এবং সবুজায়ন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। গত সপ্তাহেই এলাকার প্রায় ৫০টি শালগাছ অবৈধ ভাবে কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। গাছগুলি যে জমিতে ছিল সেই জমির মালিকানা সংক্রান্ত ভুল রিপোর্ট হাতিয়ার করে গাছ কাটা হয় বলে অভিযোগ। ভুল রিপোর্ট দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই সদর মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সহ দফতরের তিন কর্মীকে শো কজ করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার বিকেলে কাঁসাই নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন মেদিনীপুর
শহরের নঞ্জরগঞ্জ এলাকার কয়েকজন যুবক। সেই সময় স্থানীয় আমতলা
ঘাটের কাছে কাছিমটি মেলে। ওজন প্রায় ২৩ কেজি। সেটিকে আপাতত
মেদিনীপুরের অরবিন্দ শিশু উদ্যানে রাখা হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।

বেআইনি গাছ কেটে ধৃত চার
বেআইনি ভাবে গাছ কাটা ও পাচারের অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করল চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে চন্দ্রকোনা থানার মল্লেশ্বরপুর সংলগ্ন রাধাবল্লভপুরের ঘটনা। ধৃতদের শুক্রবার ঘাটাল আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিনে মুক্তি দেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে চন্দ্রকোনা-মেদিনীপুর সড়কের ধারে পূর্ত দফতরের জমির উপর একটি পুরানো শিশু গাছ কেটে পাচার করছিলেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। এলাকার মানুষ পুরসভায় এবং থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় চার যুবক। উদ্ধার করা হয় ওই গাছটির একাধিক গুঁড়ি। ঘটনায় যুক্ত বাকিরা পুলিশের গাড়ি দেখে চম্পট দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের জেরা করে বাকি অভিযুক্তদের নাম পাওয়া গিয়েছে। তাদের ধরতে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

খাঁচা ভর্তি পাখি উদ্ধার আসানসোলে
প্রায় সাড়ে চারশো খাঁচাবন্দি টিয়া পাখি উদ্ধার করল রেল পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে আসানসোল স্টেশন থেকে এদের উদ্ধার করা হয়। এগুলি ইলাহাবাদ থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে রেল পুলিশ জানতে পেরেছে। অবৈধ ভাবে পাখিগুলি পাচারের অভিযোগে বর্ধমানের বাসিন্দা মহম্মদ জাহিদ নামে জনৈক পাচারকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পাখি উদ্ধারের পর বন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। বন দফতরের কর্মীরা সেগুলি আসানসোলের গুঞ্জন পার্কে ছেড়ে দেন।

ভালবাসার জন্য...

পরিবেশের সঙ্গে শহর। গৃহপালিত জীবজন্তুদের মেলায় ‘বল পাইথন’
হাতে জড়ালেন অভিনেত্রী পারিজাত। ছবি: সুমন বল্লভ


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.