|
|
|
|
জেল হেফাজত ১৪ দিনের |
ষড়যন্ত্রের পাল্টা অভিযোগ ব্রহ্মের
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
গণ-ধোলাইয়ের ঠেলায় ‘মুখ ফস্কে’ কুকীর্তি স্বীকার করে ফেলেছিলেন। হুঁস ফিরেছে আজ। ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বিক্রমসিংহ ব্রহ্ম আজ অভিযোগকারিণী ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করলেন। তবে আদালতে জামিন পাননি তিনি। তাঁর প্রতি জনরোষও কমেনি। ব্রহ্মকে আজ ১৪ দিনের জন্য জেল হাজতে পাঠাল আদালত।
আজ বিকেলে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত এই কংগ্রেস বিধায়ককে কোকরাঝাড়ের সিজেএম আদালতে নিয়ে আসা হয়। অভিযোগকারিণীকেও আনা হয় আদালতে। সেখানে তাঁর জবানবন্দি নথিবদ্ধ করা হয়। দু’জনের ডাক্তারি পরীক্ষাও আজ করানো হয়েছে। বুধবার দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণ করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ার পরে রাতভর বাঁধা ছিলেন ষাটোর্ধ বিক্রমসিংহ। সকাল থেকে দফায়-দফায় জোটে মার। ক্লান্ত শরীর ও ‘অপ্রকৃতিস্থ’ মগজ তেমন প্রতিবাদ করতে পারেনি। তাঁর সাধের গাড়িও ভেঙে তছনছ করে জনতা। কিন্তু আজ বাসুগাঁও থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগ, লখেন বসুমাতারি ও তাঁর স্ত্রী ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসিয়েছেন। অভিযোগকারী দম্পতির বিরুদ্ধে ১২০ বি, ৩৮২ ও ৪২৭ ধারায় ষড়যন্ত্র, চুরি, হত্যার চেষ্টা, সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগ দায়ের করেন ব্রহ্ম। আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমায় ফাঁসানো হচ্ছে। খুবই দুভার্গ্যজনক ঘটনা।”
অবশ্য ষড়যন্ত্রের তত্ত্বে ব্রহ্ম নিজের দলকেও পাশে পাচ্ছেন না। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ বলেন, “ব্রহ্মকে ইতিমধ্যে দলীয় সদস্যপদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জঘন্য অপরাধ করেছেন তিনি। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। কৃতকার্যের জন্য ব্রহ্ম নিশ্চয়ই শাস্তি পাবেন।” ব্রহ্ম ধরার পড়ার পরে স্থানীয় নেতাদের ভুয়ো ক্ষমতা প্রদর্শন করে বেড়ানোর ঘটনায় রাশ টানার কথাও ভাবছে কংগ্রেস।
ব্রহ্ম গাড়িতে ‘কো-অর্ডিনেশন কমিটির মুখ্য-আহ্বায়ক’ বোর্ড লাগিয়ে ঘুরতেন। প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ওয়াই এল কর্ণ বলেন, “বিটিএডি এলাকায় কংগ্রেস কো-অর্ডিনেশন কমিটি দুই বছর আগেই ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। তাই ওই পদের অস্তিত্বই নেই।”
অল বড়ো উওমেন ওয়েলফেয়ার ফেডারেশনের সভাপতি মিথিঙ্গা বসুমাতারি বলেন, “এমন একজন প্রবীণ জননেতা এত নীচে নামতে পারেন ভাবা যায় না। ব্রহ্মকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।” |
|
|
|
|
|