দু’বেলা ভাতের ব্যবস্থা করে দিতে কোচবিহারে শহিদ বন্দনা স্মৃতি হোমে আবাসিকদের পাশে দাঁড়ালেন স্থানীয় বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বাবুরহাট এলাকায় ১৮ বছরের কমবয়সীদের জন্য ওই সরকারি হোমে গিয়ে বৃহস্পতিবার বিধায়ক কর্তৃপক্ষের হাতে ২ কুইন্টাল চাল, ৫০টি কম্বল, ৫০টি চাদর, নতুন জামা দেন। আরও ৩ কুইন্টাল চাল দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। বিধায়ক বলেন, “নতুন বছরে আবাসিকদের উপহার হিসাবে এ সব দেওয়া হল।” ২৯ ডিসেম্বর কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্নার সঙ্গে বিধায়ক শহিদ বন্দনা হোম ঘুরে দেখেন। আবাসিকেরা তাঁকে জানায়, গত এক সপ্তাহ ধরে দু’বেলা ভাতের বদলে এক বেলা ভাত দেওয়া হচ্ছে। হোম কর্তৃপক্ষও আবাসিকদের অভিযোগ অস্বীকার করেননি। তাঁরা মন্ত্রী এবং বিধায়ককে জানান, প্রায় এক বছর ধরে খাবারের সামগ্রী সরবরাহকারী ঠিকাদার সংস্থার জন্য ফি মাসে টাকার অর্ধেকের কম বরাদ্দ মিলছে। ওই অঙ্ক বেড়ে ১২ লক্ষ টাকা হয়েছে। ঠিকদার সংস্থা পণ্যসরবরাহে সমস্যার কথা জানালে দু’বেলা ভাতের বদলে এক বেলা ভাত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। ৩১ ডিসেম্বর আনন্দবাজার পত্রিকায় খবর প্রকাশের পরের দিন হোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলাশাসক। প্রশাসনের তরফে রাজ্য সমাজকল্যাণ দফতরের কাছ থেকে বকেয়া বরাদ্দ আনার জন্য তোড়জোড় শুরু হয়। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার হোমে গিয়ে এক মাসের জন্য প্রয়োজনীয় ৫ কুইন্টাল চালের প্রথম পর্যায়ের ২ কুইন্টাল তুলে দেন বিধায়ক। তিনি বলেন, “সমস্যার কথা মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও সাবিত্রী মিত্রকে জানিয়েছি। আশা করছি দ্রুত টাকা চলে আসবে। এর পরে আবাসিকদের কিছু দরকার হলে ব্যবস্থা করা হবে।” এ দিন বিধায়ক চাল ও কম্বল পৌঁছে দেওয়ার সময় হোমে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক সুদীপ মিত্র। তিনি বলেন, “বিধায়কের জন্য এ দিন থেকে আবাসিকদের দু’বেলা ভাতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” কর্তৃপক্ষ জানান, নতুন জামাকাপড়, কম্বল, চাদরে আবাসিকরা খুশি। |