উত্তর দিনাজপুর জেলায় কৃষি দফতরে চর্তুথ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামল যুব কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলাশাসককে প্রায় ২ ঘণ্টা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় যুব কংগ্রেস। সরকারি বিজ্ঞপ্তি বা পরীক্ষা ছাড়াই কী ভাবে কর্মী নিয়োগ হল অতিরিক্ত জেলাশাসক সোনম ওয়াংডি ভুটিয়ার কাছে জবাবদিহি দাবি করে বিক্ষোভ শুরু হয়। নিয়োগ নিয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক কিছুই জানেন না দাবি করায় বিক্ষোভকারীরা জেলার উপ কৃষি আধিকারিককে ডেকে আনার দাবি জানায়। এক রকম বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত জেলাশাসক দফতরে ডেকে পাঠান উপ কৃষি আধিকারিককে। এর পরে উপ কৃষি আধিকারিক শিবপ্রসাদ রায়ও নিয়োগ নিয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করতেই, ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। অতিরিক্ত জেলাশাসকের টেবিল চাপড়ে স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। এর পরে রাজ্য সরকারের চাপেই নিয়োগপত্র দিতে বাধ্য হন বলে উপ কৃষি আধিকারিক স্বীকার করে নেওয়ায় বিক্ষোভকারীরা শান্ত হন। যদিও পরে সংবাদমাধ্যমকে উপ কৃষি অধিকর্তা শিবপ্রসাদ রায় সরকারি চাপের কথা অস্বীকার করে বলেন, “কৃষি দফতরের অধিকর্তার নির্দেশেই নিয়োগপত্র দিয়েছি। যুব কংগ্রেসের নালিশ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়।” কৃষি দফতর সূত্রে জানা যায়, ১৯ অক্টোবর রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী ও কৃষি সচিবের অনুমোদন পেয়ে কৃষি দফতর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে। ১ জানুয়ারি থেকে চুক্তির ভিত্তিতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পদে নিয়োগপত্র দেওয়ার লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়। রায়গঞ্জন লোকসভা যুব কংগ্রেস কমিটি সভাপতি তুষারকান্তি গুহ বলেন, “লক্ষাধিক বেকার যুবক-যুবতীকে অন্ধকারে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ ১৪ জনকে রাজ্য সরকার সম্প্রতি নিয়োগপত্র দিয়েছে। অবিলম্বে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে নিয়ম মেনে কর্মী নিয়োগ করা না হলে জেলা কৃষি দফতর অনির্দিষ্ট কালের জন্য অচল করে আন্দোলনে নামা হবে” জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য এ দিনও এই প্রসঙ্গে বলেন, “নিয়োগ প্রক্রিয়া পুরোপুরি সরকারি ব্যাপার। দল এ সব ব্যাপারে কোনও রকম হস্তক্ষেপ করে না।” |