পেনশন পাচ্ছেন না অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা
ছর ছয়েক আগে চাঁচলে ট্রেজারি চালু হলেও, ট্রেজারিতে পেনশন বিভাগ চালু হয়নি। তার জেরে মহকুমার ৬টি ব্লকের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী থেকে শিক্ষক চরম বিপাকে। পাশাপাশি ট্রেজারির পাশে তৈরি স্ট্রং রুম চালু না হওয়ায় বিপাকে স্ট্যাম্প ভেন্ডাররাও। প্রশাসনের গাফিলতিতেই পেনশন বিভাগ এবং স্ট্রং রুমও চালু হচ্ছে না বলে অভিযোগ। যদিও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, পরিকাঠামোর কিছু সমস্যা ছাড়াও পর্যাপ্ত কর্মী না থাকায় ট্রেজারিতে পেনশন বিভাগ ও স্ট্রং রুমের কাজ হয়নি। এ ঘটনায় প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রতার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন চাঁচলের কংগ্রেস বিধায়ক আসিফ মেহবুব। আসিফ বলেছেন, “প্রশাসনের গাফিলতিই এর একমাত্র কারণ। আমি অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিধানসভার অধিবেশনে বিষয়টি তুলব।” বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। তিনি বলেন, “চাঁচলে পেনশন বিভাগ চালু করতে কী সমস্য হচ্ছে তা নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। দ্রুত সমস্যা মেটানোর উদ্যোগী হব।”
২০০১ সালের এপ্রিল মাসে চাঁচলে মহকুমা প্রশাসন গঠন হয়। ৬ বছর বাদে ২০০৬ সালের অগস্টে ট্রেজারি চালু হয় চাঁচলে। ট্রেজারি চালু হওয়ায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও সরকারি কর্মীদের পেনশনের জন্য মালদহে ছুটতে হবে না বলে জানানো হয়। এতে আশার আলো দেখেন স্ট্যাম্প ভেন্ডাররা। যদিও চাঁচল ট্রেজারিতে পেনশন সংক্রান্ত কাজকর্ম না হওয়ায় মহকুমার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৮০-১০০ কিমি পথ পেরিয়ে এখনও মালদহে যেতে হচ্ছে । অনেক সময়েই একদিনে কাজ না হওয়ায় বারবার যাতায়াত করতে হয় বলে অভিযোগ বৃদ্ধদের। অনেক সময় মালদহে গিয়েও স্ট্যাম্প না মেলায় হয়রান হন স্ট্যাম্প ভেন্ডারেরাও।
প্রশাসন ও চাঁচল ট্রেজারি অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ বছর আগে চালু হলেও কর্মীর অভাবে এখনও কার্যত খুঁড়িয়েই চলছে ট্রেজারি অফিস। একজন সহকারি ট্রেজারি আধিকারিকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য হয়ে রয়েছে। কর্মী সংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় কম। এমনকী যে কর্মীদের অবসরের সময় আসন্ন সেই কর্মীদের চাঁচলে পাঠিয়ে কোনও রকমে সামাল দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। চাঁচলের ট্রেজারি অফিসার উজ্জ্বল দাস বলেন, “চাঁচলে কর্মী সংখ্যাও কিছুটা কম। পরিকাঠামোগত সমস্যাও রয়েছে। জেলা প্রশাসনকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।” অবসরের পর নতুন পেনশন চালুর পরে কোনও সমস্যা হলে মালদহে ছুটতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। পারিবারিক পেনশনভোগী আশা মিত্রের কথাই ধরা যাক। তিনি হলেন, “বেঁচে থাকার শংসাপত্র বছরে এক বার ব্যাঙ্কে জমা দিতে হয়। সময়ে তা জমা দিতে না পারায় সামান্য কাজে টাকা খরচ করে ছুটতে হয়েছিল মালদহে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.