কোনও হোটেলে দমকলের ছাড়পত্র নেই। কারও আবার দূষণের শংসাপত্র নেই। আগামী ৬ জানুয়ারির মধ্যে হোটেল মালিকদের সে সব ছাড়পত্র নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট। তাতেই আর্থিক দুরবস্থার কথা জানিয়ে হোটেল শিল্প বাঁচাও সংগ্রাম কমিটি গড়ে আন্দোলনে নেমেছেন হোটেল মালিকরা। বৃহস্পতিবার তাঁরা শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার আনন্দ কুমারকে স্মারকলিপি দিয়ে বিষয়টি মানবিকতার সঙ্গে দেখার আবেদন জানান। মালিকদের দাবি, ছাড়পত্র সংগ্রহ করতে তিন লক্ষ টাকার বেশি খরচ হবে। তাঁরা শিলিগুড়ির ছোট ও মাঝারি মাপের ব্যবসায়ী। তাঁদের হোটেলে শুধু থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। যা উপার্জন হয় সেই টাকায় এই মুহূর্তে সমস্ত ছাড়পত্র সংগ্রহ সম্ভব নয়। |
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার আনন্দ কুমার বলেন, “সরাই আইনে সমস্ত হোটেলকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র রাখতে হবে। কমিশনারেট হওয়ার পর সে কথা নোটিশ দিয়ে হোটেল মালিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু হোটেল মালিকের আর্থিক সঙ্কট রয়েছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। তাঁদের আলাদা ভাবে আবেদন করতে বলেছি। তার পরে আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” হোটেল শিল্প বাঁচাও সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক পিন্টু ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা বিষয়টি কমিশনারকে জানিয়েছি। তিনি সহানুভূতির সঙ্গে বিষয়টি দেখবেন বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।”
কমিশনারেট সূত্রে খবর, শিলিগুড়ির বেশ কিছু হোটেলে দমকল বা দূষণ কোনওটারই ছাড়পত্র নেই। বেশ কয়েকটি হোটেল অপরিচ্ছন্ন। সরাই আইনে হোটেলগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে কমিশনারেট। যেহেতেু ওই হোটেলগুলি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছে তাই তাঁদের নোটিস দিয়ে সমস্ত ছাড়পত্র সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, হোটেলগুলিতে কম্পিউটারের মাধ্যমে আবাসিকদের সমস্ত তথ্য নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাতে কোনও দুষ্কৃতী হোটেলে আশ্রয় নিলে তাঁকে চিহ্নিত করার কাজ সহজ হবে বলে পুলিশ কর্তাদের দাবি। বর্তমানে অধিকাংশ হোটেলে খাতার মাধ্যমে তথ্য নথিভুক্ত করা হয়।
এ দিন হোটেল মালিকরা জানান, তাঁদের বেশিরভাগের একতলা ও দোতলা ভবনে হোটেল ব্যবসা রয়েছে। সেখানে রান্নাঘরের ব্যবস্থা নেই। সেক্ষেত্রে তাঁরা হোটেলগুলিতে কম খরচের অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা রাখার পক্ষপাতী। পাশাপাশি হোটেল পরিচ্ছন্ন যাতে থাকে সে ব্যপারে অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেবেন তাঁরা। মালিকদের কয়েক জন বলেন, “আমরা দশ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবসা করছি। এর আগে ওই সব লাইসেন্সের কথা জানানো হয়নি। হঠাৎ করে চাপ দেওয়ায় আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। কম্পিউটার ব্যবস্থা চালু করতে হলেও অনেক টাকার প্রয়োজন। যা আমাদের হাতে নেই।” |