দ্রুত কাজ চেয়ে ঢেলে সাজা হচ্ছে পূর্ত দফতর |
রাস্তাঘাটের হাল ফেরাতে পূর্ত দফতরের সাবেক পরিকাঠামোর আমূল পুনর্গঠন করছে রাজ্য সরকার। রাস্তা ও বাড়ি তৈরির কাজ এখন একই সঙ্গে করে ওই দফতরের তিনটি শাখা পূর্ত, পূর্ত (সড়ক) এবং নির্মাণ পর্ষদ। নতুন প্রস্তাব অনুসারে ওই তিনটি শাখার পুনর্গঠন করে রাস্তার জন্য একটি এবং সরকারি বাড়ির জন্য একটি দু’টি শাখা তৈরি করা হবে। দু’টি শাখার শীর্ষে এক জন করে চিফ ইঞ্জিনিয়ার থাকবেন। কাজের দায়বদ্ধতা বাড়াতে তিন-চারটি জেলা ভাগ করে এক-একটি অঞ্চলের রাস্তাঘাটের উপরে নজরদারির জন্য একটি করে জোনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার পদ তৈরির প্রস্তাবও রয়েছে। এই পুনর্গঠন কেন? পূর্তসচিব অজিতরঞ্জন বর্ধন বৃহস্পতিবার জানান, এখন দফতরের তিনটি শাখা আলাদা আলাদা ভাবে রাস্তাঘাট, সরকারি ভবন, হাসপাতাল, প্রভৃতি নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করায় নানা ধরনের অসুবিধা হচ্ছে। কোনও রাস্তা খারাপ হলে প্রথমে সেটি কোন শাখার অধীনে পড়ছে, মেরামতির জন্য সেই শাখার হাতে কত বাজেট বরাদ্দ রয়েছে, তার খোঁজ করতেই অনেকটা সময় কেটে যাচ্ছে।
|
পদোন্নতির নির্দেশিকা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে |
অবশেষে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পদোন্নতি (কেরিয়ার অ্যাডভান্সমেন্ট স্কিম বা ক্যাস) সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। বৃহস্পতিবার ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়, গত নভেম্বর থেকে পদোন্নতির এই নিয়ম কার্যকর হচ্ছে। এক শ্রেণির শিক্ষক-শিক্ষিকা অবশ্য এতেও সন্তুষ্ট নন। সিপিএম প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুটা এই নির্দেশিকা পুনবির্বেচনার আবেদন জানিয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শ্রুতিনাথ প্রহরাজ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি-র নির্দেশে ২০১০-এর জুলাই থেকে পদোন্নতির নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়ার কথা। রাজ্য তা ২০১২-র নভেম্বর থেকে বলবৎ করছে। এটা শিক্ষকদের স্বার্থবিরোধী।” শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু পাল্টা বলেন, “আগের সরকারের আমলে ওঁরা ক্যাস চালু করার দাবি জানাননি কেন? আমরা আর্থিক দৈন্যদশার মধ্যেও এই নিয়ম কার্যকর করেছি। রাজনীতি বাদ দিয়ে সরকারকে ওঁদের ধন্যবাদ জানানো উচিত।” তবে বাম শিবিরের দাবি, তাদের আমলে ক্যাস চালু করার কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেলেও বিধানসভার নির্বাচন ঘোষণার ফলে তখন নির্দেশিকা জারি করা যায়নি।
|
একের পর এক নারী নির্যাতন এবং কড়েয়া কাণ্ডের প্রেক্ষিতে মহিলাদের নিরাপত্তার দাবিতে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন এসইউসি-র রাজ্য সম্পাদক সৌমেন বসু। এসইউসি-র বক্তব্য, মহিলাদের মর্যাদা রক্ষায় কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি এবং তৃণমূল সব সরকারই নিষ্ক্রিয়। ধর্ষিতা বা নির্যাতিতাদের সম্পর্কে বিভিন্ন মন্ত্রীর কটাক্ষ, অশ্লীল বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্র বন্ধে সরকারের উদ্যোগের অভাব এবং দুষ্কৃতীদের প্রশ্রয়দাতা পুলিশকর্মীদের শাস্তি না হওয়া ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার কারণ। এই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে ধর্ষণে জড়িত এবং তাদের সাহায্যকারী পুলিশদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন সৌমেনবাবু। |