|
|
|
|
সমস্যা জমি অধিগ্রহণ |
সড়ক উন্নয়নে শীঘ্রই উপদেষ্টা নিয়োগ চূড়ান্ত করছে রাজ্য |
গার্গী গুহঠাকুরতা • কলকাতা |
জমি জট কী ভাবে কাটবে, তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু আগামী সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের সড়ক পথ উন্নয়নের জন্য উপদেষ্টা সংস্থা নিয়োগ চূড়ান্ত করে ফেলছে রাজ্য।
জমি সমস্যার সমাধানসূত্র পরবর্তী পর্যায়ের জন্য রেখে কাজ শুরু করে দিতে চায় ওয়েস্ট বেঙ্গল হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড বা রাজ্য সড়ক উন্নয়ন নিগম। গত বুধবার ৩০০০ কিলোমিটার সড়ক সংক্রান্ত সমীক্ষার জন্য দরপত্র খোলা হয়েছে। দেশি-বিদেশি মিলিয়ে মোট ৫টি সংস্থা দরপত্র জমা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইউ আ এস স্কট উইলসন, এভিস, কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস-এর মতো প্রথম সারির সংস্থা। দৌড়ে রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনমিক সার্ভিসেস বা রাইটস। চারটি সংস্থাকে বেছে নেওয়া হবে।
উপদেষ্টা সংস্থা বেছে নিয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু হলেও কাজের কাজ কতটা করা যাবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই অবশ্য প্রশ্ন উঠেছে। কারণ জমির সমস্যা। যে-সমস্যার জেরে এ রাজ্যে জাতীয় সড়ক উন্নয়নের কাজ থমকে গিয়েছে। জমি অধিগ্রহণ করা যাবে না। অন্য দিকে ‘রাইট অফ ওয়ে’ বা রাস্তা তৈরির সময়ে যে বাড়তি জমি নেওয়া হয়, তার অধিকাংশই দখল হয়ে গিয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ১১০০ কিলোমিটার রাজ্য সড়ক নিয়ে রিপোর্ট তৈরির কাজ হাতে নিয়েই এই সমস্যা নজরে পড়েছে বলে কেন্দ্রীয় সংস্থা রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনমিক সার্ভিসেস বা রাইটস-এর এক আধিকারিকের দাবি।
এবং জমির সমস্যা যে অন্যতম বাধা তা এক রকম ঘুরিয়ে মেনে নিয়েছে নিগমও। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সম্ভাব্যতা রিপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও জমি জটের বিষয়টি বিবেচনা করেই এগোতে হবে বলে জানিয়েছে নিগম। অর্থাৎ সম্প্রসারণের তুলনায় রাস্তা মজবুত করার দিকেই ঝুঁকতে হবে। সম্ভাব্যতা রিপোর্টে কোথায় কতটা যানবাহন চলে, কতটা যান চলাচল বাড়ালে লাভ হবে, কোথায় টোল প্লাজা তৈরি হবে, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তথ্য থাকবে।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এই তথ্যের উপরেই নির্ভর করবে বেসরকারি লগ্নির সম্ভাবনা। যান চলাচলের পরিমাণ দেখেই পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পি পি পি মডেলে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে আগ্রহী হবে বেসরকারি সংস্থা। আর সে ক্ষেত্রে রাস্তা সম্প্রসারণও জরুরি। রাস্তা চওড়া না-হলে যান চলাচল বৃদ্ধির আশা দূর অস্ৎ। গাড়ির সংখ্যা ও টোল থেকে আদায় করা অর্থের সঙ্গে লগ্নির অঙ্কের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। কারণ লগ্নির টাকা ওঠে টোল থেকেই। শিল্পের পরিভাষায় একে বলা হয় ‘ইনটারনাল রেট অফ রিটার্ন’ (আই আর আর)। শিল্পমহলের দাবি, ‘আই আর আর’ ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ না-হলে লগ্নির ঝুঁকি নিতে চায় না কোনও সংস্থা। দুই লেনের রাজ্য সড়ক নিদেনপক্ষে চার লেন না-করতে পারলে এই হিসেব বিনিয়োগের পক্ষে সায় দেবে না।
প্রথম পর্যায়ে ১১০০ কিলোমিটার রাস্তা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করার দায়িত্ব রাইটসকে আগেই দেওয়া হয়েছে। পাঁচটি রাজ্য সড়কের ‘টেকনিক্যাল ও ট্রাফিক সার্ভে’ করবে তারা। তালিকায় রয়েছে রাজ্য সড়ক দুই, তিন, চার, পাঁচ ও বারো-এ। ন’টি জেলা জুড়ে রয়েছে এই পাঁচ সড়ক। |
|
|
|
|
|