স্কুলে বিক্ষোভ সম্পাদকেরই |
পঞ্চম শ্রেণিতে আসন সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। সেই বিক্ষোভে যোগ দিলেন স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদকও। বৃহস্পতিবার ঝালদা গালর্স হাইস্কুলের ঘটনা। এর জেরে এ দিন স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক তথা ঝালদার কংগ্রেস পুরপ্রধান প্রদীপ কর্মকারের দাবি, “গত কয়েক বছর ধরে এই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে কমবেশি ৩৮০ জনকে ভর্তি করানো হয়ে। কিন্তু এ বার পরিচালন সমিতিকে অন্ধকারে রেখে প্রধান শিক্ষিকা নিজেই আসন সংখ্যা কমিয়ে ২৪০ করেছে। তা হলে কী এলাকার মেয়েরা পড়াশোনা করতে পারবে না? আসন সংখ্যা বাড়তে পারে, কোথায় কমে বলে শুনিনি।” একই প্রশ্ন তুলেছেন বিক্ষোভে যোগ দেওয়া অভিভাবক ও ঝালদা নাগরিক কমিটির সদস্যেরা। প্রদীপবাবু জানান, পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। তেমন হলে জেলা স্কুল পরিদর্শককে বিষয়টি জানাবেন। প্রধান শিক্ষিকা শুক্লা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “স্কুলে পরিকাঠামোগত সমস্যা থাকায় শিক্ষিকারা এ বার আসন সংখ্যা কমিয়ে ২৪০ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। প্রদীপবাবুকে তা আগে জানিয়েছিলাম। এখন তিনি কেন বিষয়টি জানেন না বলছেন, আমার বোধগম্য নয়।” তাঁর অভিযোগ, “স্মারকলিপি দিতে এসে আমাকে মানসিক ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। অপমানজক কথাও শুনতে হয়।” বিক্ষোভকারীরা অবশ্য হেনস্থা করার অভিযোগ মানতে চাননি।
|
প্রৌঢ়ার মৃত্যু, খুনের নালিশ |
শাশুড়িকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল বৌমা ও তাঁর বাপের বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া সদর থানায় স্ত্রী, শ্বশুর ও পিসি শাশুড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বাঁকুড়া শহরের লোকপুরে প্রৌঢ়া দুলালি মুর্মু (৫৮) রহস্যজনক ভাবে বাড়ির ভিতর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। তাঁর দুই ছেলে বাইরে কাজ করেন। বিধবা প্রৌঢ়া বাড়িতে একাই বসবাস করতেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার সময় বাড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। পরে দমকল কর্মীরা গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। মৃতার বড় ছেলে শৈলেন মুর্মুর অভিযোগ, “আমার স্ত্রী, শ্বশুর ও পিসি শাশুড়ির সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক ভাল ছিল না। ওরা তিন জন চক্রান্ত করে মাকে পুড়িয়ে মেরেছে।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তেরা হলেন শৈলেনবাবুর স্ত্রী অনিতা মুর্মু, পিসি শাশুড়ি ললিতা হাঁসদা ও শ্বশুর কালীরাম সরেন। অনিতাদেবীর দাবি, “ঘটনার দিন আমি কলকাতা থেকে বাঁকুড়া ফিরছিলাম। পথেই পিসির কাছে ঘটনাটি শুনি। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।” ললিতাদেবীর অভিযোগ, “শৈলেন স্ত্রীকে নিজের কাছে রাখতে চায় না। প্রায়ই অত্যাচার করে। এখন আমাদের ফাঁসাতে চাইছে।”
|
জল মেলার আশ্বাস পাওয়ার পরেই বৃহস্পতিবার দুপুরে অনশন প্রত্যাহার করলেন মানবাজারের শালপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা। আট মাস ধরে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জল সরবরাহ বন্ধ থাকার প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে কিছু গ্রামবাসী অনশনে বসেন। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নিত্যানন্দ আচার্য, বিডিও সায়ক দেব-সহ অনেক আধিকারিক বৃহস্পতিবার ওই গ্রামে সেখান যান। স্থানীয় বলুডি গ্রামের জলাধার জরাজীর্ন হয়ে পড়ায় এখন কংসাবতী নদী থেকে সরাসরি জল সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু সেই জলের বেগ বেশি না থাকায় শালাপাড়া-সহ তিনটি গ্রামে জল পৌঁছচ্ছিল না। বিডিও বলেন, “ঠিক হয়েছে জলের মূল পাইপ লাইন থেকে সরাসরি একটি লাইনে ওই গ্রাম পর্যন্ত জল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া আশু সমস্যা মেটানোর জন্য এলাকায় একটি নলকূপ শীঘ্র তৈরি করার চেষ্টা করছি।” গ্রামবাসীরা জানান, প্রশাসনকে অবিলম্বে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে ফের তাঁরা আন্দোলনে নামবেন।
|
এক বধূকে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে বধূর স্বামী-সহ চার জনকে ধরল পুলিশ। মৃত লক্ষ্মীমণি মাহাতোর (১৯) বাবা অম্বুজ মাহাতোর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁদের ধরে। গত ২৮ ডিসেম্বর কেন্দার রেলিবেড়া গ্রামে অগ্নিদগ্ধ হয়ে লক্ষ্মীমণির মৃত্যু হয়। ধৃতদের ১৪ দিন জেল হাজতে রাখতে বলেছে পুরুলিয়া জেলা আদালত।
|
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক্টর উল্টে মৃত্যু হল চালকের। বুধবার সন্ধ্যায় দুর্ঘনাটি ঘটে আদ্রায়। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম বুজু মাল (২৫)। তাঁর বাড়ি কাশীপুর থানা এলাকার গোঁসাইডাঙা গ্রামে। |