|
|
|
|
এসএমএস-এ খুনের হুমকি,
পুলিশ বলল ‘মিটিয়ে নাও’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
পুলিশ আছে পুলিশেই!
দিল্লি বহু দূর, এ রাজ্যের পুলিশেরও সে ব্যাপারে যে তেমন মাথা ব্যথা নেই শান্তিপুরের একটি ঘটনায় তা ফের সামনে এসে পড়ল।
কলেজ পড়ুয়া এক তরুণীকে মোবাইলে ক্রমাগত উত্যক্ত করা সত্ত্বেও সে ব্যাপারে গা-ই ঘামাল না নদিয়া জেলা পুলিশ। উল্টে তাদের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়ে ওই তরুণীর মিলল পরামর্শ, ‘নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিন না ব্যাপারটা।’
শান্তিপুরের ওই তরুণীর অভিযোগ, কিছু দিন ধরেই মোবাইলে অশ্লীল এসএমএস করে চলেছে স্থানীয় এক যুবক। দু-এক বার ‘অসম সাহসী’ ছেলেটি সরাসরি কু-প্রস্তাব পাঠাতেও দ্বিধা করেনি। এমনকী ‘রাজি’ না হলে তাঁকে ধর্ষণ করে খুনের হুমকিও দিতেও পিছপা হয়নি সে। এমনই অভিযোগ করে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেম ওই তরুণী। কিন্তু শান্তিপুর থানা তাঁকে পাল্টা ‘পরামর্শ’ দিয়ে পিরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএডের ওই ছাত্রী। তিনি জানান, অভিযোগ করার সময় থানায় কেন বাবা-মাকে নিয়ে আসেননি ওই ছাত্রী তা নিয়েও তা নিয়ে প্রথমে প্রশ্ন তোলেন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী। ছাত্রীটির অভিযোগ, “কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী থানার সামনে ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন। তিনি আমার অভিযোগ নেওয়ার বদলে আমাকে কটূক্তি করতে থাকেন। নিরাপত্তা চাইতে বাধ্য হয়েই পুলিশর কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশের ভূমিকায় আমি হতাশ।”
থানার নিস্পৃহতায় অসহায় তরুণী শেষ পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ করেন জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমন মিশ্রের কাছে। কিন্তু তিনি কী বলছেন? সব্যসাচী বলেন, “তাই নাকি, কই আমি তো এমন কোনও অভিযোগ পাইনি।” পেলে কী করবেন? “তিনি অবশ্য বলছেন, “অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।” কিন্তু শান্তিপুর থানা কেন গা ঝাড়া দিয়ে উঠল না, তার কোনও সদুত্তোর অবশ্য তাঁর কাছে মেলেনি।
ওই তরুণী জানান, বছরখানেক আগে ছবি তুলতে স্থানীয় এক স্টুডিওতে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই তাঁর মোবাইল নম্বর নিয়ে রেখেছিল স্টুডিও-র মালিক। সেখান থেকেই নম্বরটি ছড়িয়ে পড়ে বলে সন্দেহ ওই তরুণীর। তিনি বলেন, “এর দিন কয়েক পর থেকেই সূর্যনাথ চট্টোপাধ্যায় নামে এক যুবক আমার মোবাইলে আশালীন এসএমএস করতে থাকে। নানা রকম হুমকিও দিতে থাকে। এমনকী খুনের হুমকিও দিয়েছে। এখন তো বাড়ি থেকে বের হতেই ভয় লাগছে।” অভিযুক্ত ওই যুবক অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “মিথ্যা কথা বলছে ওই তরুণী। আর আমার ফোন থেকে যদি সত্যি কোনও বাজে এসএমএস গিয়ে থাকে তাহলে সেটা আমি নই অন্য কোনও বন্ধু করে থাকতে পারে।” |
|
|
|
|
|