নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মারগাওতে পুরোনো দলের বিরুদ্ধে গোল করেও জেতাতে পারেননি দলকে। নিজেই জানিয়েছিলেন, “জিততে পারিনি বলে আনন্দটা করতে পারিনি।” শুক্রবার কল্যাণীতে ‘আনন্দ’ করার সুযোগ নাইজিরিয়ান গোল মেশিনের সামনে। কারণ আবার র্যান্টি বনাম ডেম্পো।
প্রকাশ্যে বলে থাকেন, “যে দলকে পাঁচ বার আই লিগ জিতিয়েছি, দীর্ঘ দিন খেলেছি, সেই ডেম্পোর সঙ্গে এখনও কেমন যেন একটা আত্মিক সম্পর্ক আছে। ছিঁড়তে পারেনি মনের বাঁধন।” কিন্তু মনের কোণে পুষে রেখেছেন, আর্মান্দো কোলাসোর দলকে হারানোর স্বপ্ন। র্যান্টি বলছিলেন, “এই মুহূর্তে জয় পাওয়াটা খুবই দরকার। জয় ছাড়া দ্বিতীয় কিছু ভাবছি না। ডেম্পো বলে নয়, যে কোনও দলের বিরুদ্ধে গোল করার জন্যই আমি মুখিয়ে থাকি।”
এলকো কোচ হওয়ার পর ইউনাইটেডের হাল সত্যিই খারাপ। লিগ টেবিলে শুধুই নামছে। নতুন কোচের কোচিংয়ে আই লিগে মোট ন’টি ম্যাচ খেলেছেন র্যান্টি, কার্লোসরা। তার মধ্যে জয় এসেছে মাত্র দু’টিতে। এলকোকে নিয়ে দলের অন্দরেই নানা প্রশ্ন। আই লিগে প্রথম সাক্ষাতে ডেম্পোর বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল র্যান্টিদের। ফিরতি লিগেও যদি হারতে হয় তবে বেকায়দায় পড়ে যাবেন ইউনাইটেডের ডাচ কোচ। এলকোর জন্য অবশ্য সুখবর, চোট সারিয়ে বহু দিন বাদে দলে ফিরছেন কেন ভিনসেন্ট। কার্লোসও সুস্থ। আর নির্বাসন কাটিয়ে বেলো রাজ্জাকও প্রথম দলে।
ডেম্পো অবশ্য চোট-আঘাত সমস্যায় জর্জরিত। অ্যান্টোনি পেরেরা, সুয়েকা আর অ্যান্টাওকে চোটের জন্য পাবেন না কোলাসো। দলের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক হয়ে যাওয়ার কারণে রোহন রিকেটসকে ছেড়ে দিয়ে শিলং লাজংয়ের জনি মেনিওনগারকে লিয়েনে নিয়েছে ডেম্পো। র্যান্টিদের বিরুদ্ধে জনি আর কোকো এই দুই বিদেশি ভরসা আর্মান্দো কোলাসোর। বললেন, “চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে থাকতে গেলে আমাদের পয়েন্ট নষ্ট করলে চলবে না। চোট-আঘাত সমস্যা তো থাকবেই, তবে এর মধ্যেই লড়াই করতে হবে।”
|