|
|
|
|
উৎসবে বাস, সমস্যা জেলায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জঙ্গলমহল বিবেক ছাত্র ও যুব উৎসব ঘিরে মেতে উঠেছে মেদিনীপুর। উৎসবের শেষ দিন, শনিবার শহরে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ওই দিনের জন্য বেশ কিছু বাস নিচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন। মাঠে দলীয় সমর্থক আনতে বাস নিচ্ছে তৃণমূলও। ফলে পশ্চিম মেদিনীপুরে শুক্রবার সন্ধে থেকেই পরিবহণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
জঙ্গলমহল বিবেক ছাত্র ও যুব উৎসব পুরোপুরিই সরকারি অনুষ্ঠান। এতে সরকারি ভাবেই কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ যোগ দেবেন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। তার মধ্যে ২৭ হাজার ৬০০ খেলোয়াড় রয়েছেন, যাঁরা জঙ্গলমহল কাপে খেলেছিলেন। তাঁদের নিয়ে আসা ও দেখভালের দায়িত্বও প্রশাসনের। এর সঙ্গেই তিনটি জেলার বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকেরাও থাকবেন অনুষ্ঠানে। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুলিশ কর্মীদেরও নিয়ে আসা হচ্ছে। এ ছাড়া বাইরে মাঠের যে অংশটি ফাঁকা থাকবে তা ভরাতে তৃণমূলের পক্ষ থেকেও জমায়েত করা হবে। এত লোকজনকে আলতে লাগবে প্রচুর বাস। সব মিলিয়ে জেলায় পরিবহণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুরে ঢোকার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। শনিবার সকাল থেকে মেদিনীপুর কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুল মাঠে অনুষ্ঠান শুরু হবে। ফলে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিযোগীদের নিয়ে আসতে বেশ সকালে বেরোতে হবে। তাই শুক্রবার বিকেল-সন্ধ্যার মধ্যেই বাস নিয়ে নেওয়া হবে। ফলে শুক্রবার বিকেল থেকে শনিবার দিনভর যাতায়াতের সমস্যা হবে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর। জেলা বাস ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক শিবু সরখেল বলেন, “সব অনুষ্ঠানেই তো আমাদের বাস দিতে হয়। মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি অনুষ্ঠানেও দিচ্ছি। তবে প্রতিটি রুটের প্রথম ও শেষ বাস অবশ্যই রাখা হবে। তারই সঙ্গে আরও কয়েকটি বাস চালিয়ে যাতে পরিবহণ ব্যবস্থা সচল রাখা যায় সেই চেষ্টাও চলছে।”
প্রশাসন সূত্রে খবর, পুরুলিয়া থেকে ৯ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী আসবেন। বাঁকুড়া থেকে প্রায় ৬ হাজার। এছাড়া পশ্চিম মেদিনীপুর তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে এই খাতেই পুলিশের প্রায় ৮০০ বাস প্রয়োজন। এ জন্য বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের বাইরে অন্যান্য জেলা থেকেও বাস নিয়ে আসছে পুলিশ। এর বাইরে তৃণমূলের পক্ষ থেকেও দলীয় কর্মী সমর্থকদের আনতে বাস নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। বাস না পেলে অন্যান্য যানবাহনেও তাঁদের নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে। ফলে লরি-সহ অন্য যানবাহনও কমে যাওয়ার আশঙ্কা এ দিন। সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুরই নয়, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর-সহ আরও কয়েকটি জেলার পরিবহণ ব্যবস্থা ধাক্কা খাবে বলেই প্রশাসন সূত্রের অনুমান।
|
|
|
|
|
|