বর্জ্য থেকে জৈব সারে উদ্যানপালন |
সৌমিত্র কুণ্ডু • শিলিগুড়ি |
মিড ডে মিলের সব্জির খোসা, খাবারের ফেলে দেওয়া অংশ থেকে জৈব সার তৈরিররতে এ বার উদ্যোগী স্কুলের কচিকাঁচারা-ই। শিলিগুড়ির হায়দরপাড়ার বুদ্ধভারতী স্কুলের ওই কচিকাঁচার দল জাতীয় সবুজ বাহিনী বা তাদের ইকো ক্লাবের তরফে ওই কাজ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। উৎপন্ন সার তাঁরা স্কুলেরই বাগান পরিচর্যার কাজে ব্যবহার করবে। এক দিকে তরকারির খোসা জমে স্কুলের পরিবেশ নোংরা হবে না। অন্য দিকে ওই বর্জ্যকে কাজে লাগানো সম্ভব হবে। কাল শনিবার প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে। পড়ুয়াদের ওই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব রুরাল বায়ো রিসোর্স কমপ্লেক্স’ চালু করে জৈব সার তৈরির প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সেখান থেকে প্রয়োজনে স্কুল পড়ুয়াদের ওই কাজে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বুদ্ধভারতীর প্রধান শিক্ষক ইকো ক্লাবের সভাপতি স্বপ্নেন্দু নন্দী বলেন, “স্কুলের মিড ডে মিলের জন্য যে রান্না করা হয় তাতে প্রতিদিনই তরকারির খোসা জমে। ৯০০ জন পড়ুয়ার মিড ডে মিলের রান্না থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪-৫ কিলো খোসা উৎপন্ন হয়। ওই বর্জ্যকে কাজে লাগাতে জৈব সার তৈরির পরিকল্পনা নেয় পড়ুয়ারা।” সোমা সাহা, অনিল বিশ্বাস, সঞ্চিতা মোহন্ত, স্বপন বর্মনদের মতো ছাত্রছাত্রীরা গর্ত খুঁড়ে সব্জির খোসা ফেলার জায়গা তৈরি করেছে। এস্টাবলিশমেন্ট অব রুরাল বায়ো রিসোর্স কমপ্লেক্স-এর দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী জানান, তাঁরা ওই ছাত্রছাত্রীদের সমস্ত রকম সাহায্য করবেন।
ক্যাম্পাসে পড়ুয়ারা ইকো ক্লাবের উদ্যোগে বাগান তৈরি করেছে। রয়েছে ফুল এবং ওষধি গাছ। স্কুলে ইকো ক্লাবের সদস্য অন্তত ১০০ জন। জাতীয় সবুজ বাহিনী বা স্কুলের ইকো ক্লাবকে প্রতি বছর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আড়াই হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয় পরিবেশ সচেতনতা মূলক কাজের জন্য। ইকো ক্লাবের দায়িত্বে থাকা শিক্ষিকা অনামিকা ঘোষ জানান, পড়ুয়াদের পরিবেশ সচেতন করে তোলাই ইকো ক্লাবের কর্মসূচির লক্ষ্য। গত বছর জাতীয় পুষ্টি দিবসে লিচু, পেয়ারা, সবেদা লাগানো হয়েছিল। হরতকি, বয়রা, পাথরকুচি, কালমেঘের মতো গাছও লাগানো হয়। তা ছাড়া মরসুমি ফুলের গাছ লাগিয়ে পরিচর্যা করে ছাত্রছাত্রীরাই। জৈব সার প্রকল্পটি বাগান পরিচর্যার কাজে লাগবে। স্কুলে ভর্তি হওয়া নতুন ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশমনষ্ক করে তোলার লক্ষ্যে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রকে দিয়েই ওই প্রকল্পের সূচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্কুল সূত্রেই জানা গিয়েছে, এত দিন মিড ডে মিলের সব্জির খোসা, খাবারের উচ্ছিষ্ট স্কুলের পিছনের এক জায়গায় ফেলা হত। তাতে স্কুলের ওই অংশে পরিবেশ নোংরা হয়ে পড়ছিল। জৈব সার তৈরির প্রকল্পে ওই সমস্যা মিটবে। ছাত্রছাত্রীরা তাই স্কুলের দেওয়ালে একটা স্লোগানও লিখে ফেলেছে, ‘ফেলব না, ফেলব না, যেখানে সেখানে আবর্জনা’।
|
ফের ওড়িশার জঙ্গলে মারা গেল হাতি। গঞ্জাম জেলার ঘটনা। বিষয়টি লুকিয়ে ফেলতে তড়িঘড়ি বাচ্চা হাতিটির দেহ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে বনরক্ষী নীতা পোলাই ও তাঁর দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে। ওই বনরক্ষী সাসপেন্ড হয়েছেন। সম্প্রতি ওড়িশায় ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কায় মারা যায় ছ’টি হাতি। |