‘মূলস্রোতে’ ফিরতে পেরে আবেগে ভাসলেন দুই বন্দি |
খুনের মামলার আসামি হয়েও মরচে পড়তে দেননি নিজেদের সুকুমার বৃত্তিতে। বুধ ও বৃহস্পতিবার হুগলি জেলা বিবেক ছাত্র-যুব উৎসব অনুষ্ঠিত হল উত্তরপাড়া প্যারীমোহন কলেজে। সেখানে ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় বিশেষ উপস্থিতি ছিল দুই যুবকের। বললেন, “আমরা সমাজের মূলস্রোতের ছেলে। ভাগ্যের ফেরে জেল খাটছি। সুযোগ পেলে মাথা উঁচু করে বেঁচে দেখাব।” এক জন অমিতাভ সরকার। অন্য জন পঙ্কজ দে। বাড়ি কাপাসডাঙা, হুগলি। বর্তমান ঠিকানা হুগলি জেলা সংশোধনাগার। ২০০১-এর ৬ অক্টোবর কাপাসডাঙার এক জন গণপিটুনিতে নিহত হন। তৎকালীন শাসকদল সিপিএমের একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল অমিতাভর। দলেরই অন্য গোষ্ঠীর লোক ওই ঘটনায় জড়িত বলে স্থানীয় স্তরে অভিযোগ ওঠে। পুলিশ সে দিনই অমিতাভ ও পঙ্কজকে গ্রেফতার করে। যদিও দু’জনই বাম-বিরোধী শিবিরের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি দু’জনের। ওই ঘটনার আগে থানায় তাঁদের নামে কোনও নালিশ ছিল না বলে দাবি। যদিও ২০০৮-এর জুন মাসে তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। রায়ের বিরুদ্ধে দু’জনই হাইকোর্টে আপিল করেছেন। সেই মামলা বিচারাধীন। সাধারণ প্রতিযোগিদের সঙ্গে ক্যুইজে যোগদানের ব্যাপারে জেলা পুলিশের সহযোগিতায় কারা দফতর মূল ভূমিকা নেয়। আইজি (কারা) দফতর থেকে অনুমতি পৌছয় হুগলি জেলে। তারপরে ক্যুইজের বই হাতে চলেছে প্রস্তুতি। এ দিন পুলিশি প্রহরায় আনা হয়েছিল দু’জনকে।
|
উত্তরপাড়ার হোম থেকে ১১ জন কিশোরীর পালানোর ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানায় ধৃতের নাম তাহের মণ্ডল। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায়। অভিযোগ, গত ২৪ এবং ২৬ ডিসেম্বর দুই যুবতীর দাদা সেজে তাঁদের নিয়ে যেতে হোমে এসেছিলেন তাহের। সন্দেহ হওয়ায় হোম কর্তৃপক্ষ তাঁর ছবি তুলে রেখেছিলেন। মুম্বইয়ের নিষিদ্ধপল্লি থেকে উদ্ধার হওয়া পলাতক যুবতীদের মধ্যে ওই দু’জনও আছেন।
|
হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ধৃত |
হুমকি দেওয়ার অভিযোগে একটি বেসরকারি বিমা সংস্থার আবাসন বিভাগের এক অফিসারকে গ্রেফতার করল উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। ধৃত কৌশিক বসুর বাড়ি বেহালার পর্ণশ্রীতে। অভিযোগ, মাস খানেক আগে জয়ন্ত বসাক নামে সংস্থারই এক এজেন্টের ফ্ল্যাটে ধৃতের দলবল হানা দেয়। স্ত্রী-কে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে এসে জয়ন্তবাবুকে খুনের হুমকি দিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই ওই ঘটনা।
|
মহকুমাশাসকের নির্দেশে ফের খুলল সিপিএমের আরামবাগ জোনাল কমিটির অফিস। গত শনিবার ওই কার্যালয়ে অস্ত্র আছে বলে দাবি করে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের কিছু কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে। পুলিশ পরে গিয়ে কিছু অস্ত্র উদ্ধারও করে। গ্রেফতার করা হয় ১০ জনকে। এরপরে কার্যালয়টি ‘সিল’ করে দিয়েছিল পুলিশ। সিপিএমের দাবি, গোটা ঘটনাটিই সাজানো। বৃহস্পতিবার অরিন্দম রায় ওই কার্যালয় ফের খোলার নির্দেশ দেন। |