ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র তোলাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার হাওড়ার আন্দুলে প্রভূ জগদ্বন্ধু কলেজে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কলেজ চত্বরে শুরু হয় ইট-বৃষ্টি। ইটের ঘায়ে এক জন পুলিশকর্মী জখম হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র্যাফ নামানো হয়। পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ঢিল ছোড়ার অভিযোগে পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন।
পুলিশ ও কলেজ সূত্রের খবর, বুধবার থেকে কলেজে মনোনয়নপত্র দেওয়া হচ্ছে। এসএফআইয়ের অভিযোগ, তাদের সমর্থকদের মনোনয়নপত্র তুলতে বাধা দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। কলেজে ঢুকতে গেলে তাদের মারধর করা হয়। টিএমসিপি-র পাল্টা অভিযোগ, যথেষ্ট সংখ্যক প্রার্থী জোগাড় করতে না-পেরে এসএফআই সব আসনের জন্য মনোনয়নপত্র তুলতে পারেনি। মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া ভণ্ডুল করতে তারা বহিরাগত সমাজবিরোধীদের এনে মারপিট শুরু করে। টিএমসিপির অভিযোগ, তাদের সংগঠনের বেশ কয়েক জন কর্মী-সমর্থক এসএফআইয়ের হাতে মার খেয়েছেন। মারধর কাণ্ডে এসএফআইয়ের সঙ্গে হাত মেলায় ছাত্র পরিষদ। অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে পাল্টা অভিযোগে জানানো হয়েছে টিএমসিপির কর্মী-সমর্থকেরাই তাদের উপরে চড়াও হয়।
অন্য দিকে, কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অব্যাহত হুগলিতে। তারকেশ্বর ডিগ্রি কলেজে বুধবার ছিল মনোনয়নপত্র তোলার দিন। অন্য কোনও দল মনোনয়নপত্র তোলেনি। কিন্তু তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর ছেলেদের মধ্যে হিড়িক পড়ে যায়। তৃণমূল সূত্রের খবর, ২৯টি আসনের জন্য দু’টি গোষ্ঠী মিলিয়ে ১৮৩ জন ফর্ম তোলেন। এক নেতার দলবল অন্য পক্ষের ছেলেদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত দু’পক্ষই ১৪টি করে আসন দেবে বলে সমঝোতা হয়। বাকি মনোয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। তারকেশ্বরের তৃণমূল পুরপ্রধান স্বপন সামন্ত বলেন, “ওই কলেজে টিএমসিপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চলেছে। অন্য কোনও দলীয় ব্যাপারে প্রচারমাধ্যমে কিছু বলব না।” বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে হরিপালের বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ ধরে রেখেছে টিএমসিপি। ভোট হওয়ার কথা ছিল আগামী ১২ জানুয়ারি। বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। টিএমসিপি ছাড়া কোনও দল মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি। |