|
|
|
|
প্রধানমন্ত্রীকে দীনেশের চিঠি, কটাক্ষ দলতন্ত্রকে
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
‘দেশসেবা’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে লেখা চিঠিতে কার্যত দলীয় নেতৃত্বকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী।
পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডকে ‘সাজানো ঘটনা’ বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়। সম্প্রতি সেই মন্তব্যকে সমর্থন করতে গিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছেন সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার। ঠিক তখনই দলের আর এক সাংসদ দীনেশ চিঠিতে আক্রমণ করেছেন দলতন্ত্রকে। দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডের পরে বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। দীনেশের বক্তব্য, দেশের স্বার্থরক্ষাই রাজনীতিকদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কথা। কিন্তু ভারতে এখন দলীয় স্বার্থই সবচেয়ে বড়। আমলাতন্ত্রও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে খুশি রাখতে ব্যস্ত। তাই মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন নেতারা।
রেলের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরাগভাজন হয়েছিলেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ। সেই কারণেই রেলমন্ত্রীর পদও ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। পরে দীনেশ বলেছেন, রেলের স্বার্থেই তিনি ভাড়া বাড়িয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে কোনও দলের নাম উল্লেখ করেননি দীনেশ। তবে রাজনীতির কারবারিদের বক্তব্য, তৃণমূলের মতো দলে কেউই নেত্রীর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চান না। তাই চিঠিতে দলীয় নেতৃত্বকেই পরোক্ষে বার্তা দিতে চেয়েছেন দীনেশ।
কেবল দলের প্রতি অনুগত থাকার এই প্রবণতার ফল সুদুরপ্রসারী হতে পারে বলে চিঠিতে মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী। তাঁর মতে, এই প্রবণতার ফলে মানুষ ধীরে ধীরে সংসদ, সিবিআই, সিএজি ও বিচারব্যবস্থার উপরে আস্থা হারিয়ে ফেলছেন। দীনেশের দাবি, এই অবিশ্বাস কাটাতে রাজনৈতিক নেতাদেরই আগে এগিয়ে আসতে হবে। সাংসদ ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা থাকলে সেগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে তাঁর দাঁড়ানো নিষিদ্ধ করতে হবে। দীনেশের কথায়, “এখনই যদি আমরা পদক্ষেপ না করি তাহলে ভবিষ্যত প্রজন্ম আমাদের কখনও ক্ষমা করবে না।” |
|
|
|
|
|