|
|
|
|
দাউদ-আত্মীয় মিয়াঁদাদকে ভিসা, সমালোচিত কেন্দ্র
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
ক্রিকেট কূটনীতি যে এখনও ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ককে পুরোপুরি সহজ করে তুলতে পারেনি ফের তা প্রকাশ্যে এলো। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক জাভেদ মিয়াঁদাদকে ভারতে আসার অনুমতি দেওয়ায় বিরোধীদের ঘোর সমালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্র। শুধু বিরোধীরাই নয়, এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন কংগ্রেস মন্ত্রীদের একাংশও। কারণ, জাভেদ মিয়াঁদাদ এখন আর শুধু পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার নন। তিনি দাউদ ইব্রাহিমের বেয়াই-ও বটে।
আগামী ৬ জানুয়ারি নয়াদিল্লির মাঠে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে আসছেন মিয়াঁদাদ। সপ্তাহখানেক আগেই ভারতে আসার সরকারি অনুমতি পেয়েছেন। আজ তিনি নিজেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ম্যাচের ঠিক আগের
|
জাভেদ মিয়াঁদাদ |
|
দাউদ ইব্রাহিম |
দিন অর্থাৎ ৫ জানুয়ারি ভারতে পৌঁছবেন। খেলা দেখে পরের দিন ঘুরতে যাবেন আজমেঢ় শরিফে।
জাভেদ মিয়াঁদাদ-পুত্র জুনায়েদের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে দাউদ ইব্রাহিমের মেয়ে মাহরুখের। ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণ মামলার প্রধান অভিযুক্ত দাউদ। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, পালিয়ে করাচিতে ঘাঁটি গেড়েছেন তিনি। তার পরেও ভারতের নানা প্রান্ত একাধিক জঙ্গি হানার শিকার হয়েছে। সেগুলির পিছনেও দাউদেরই হাত ছিল বলেও জানিয়েছে গোয়েন্দারা। দাউদ ইব্রাহিমকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য পাক সরকারকে একাধিকবার চাপ দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু দাউদ সে দেশে রয়েছেন, এ কথা বার বারই অস্বীকার করছে পাক সরকার।
দাউদের বেয়াই মিয়াঁদাদকে ভারতে আসার অনুমতি দেওয়ার কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি এবং শিবসেনা। এ দিন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বর্তমান বিজেপি নেতা কীর্তি আজাদ বলেন, “২০০৫ সাল থেকে মিয়াঁদাদকে ভিসা দিতে অস্বীকার করে এসেছে কেন্দ্র। দাউদের আত্মীয়কে ভিসা দিয়ে ভারতে ডেকে এনে খেলা দেখালেই কি পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল হয়ে যাবে?” বিজেপি-র সহ-সভাপতি মুখতার আব্বাস নাকভি বলেন, “ভারতে যে ক’টি জঙ্গি হানা হয়েছে তার অধিকাংশের পিছনেই হাত রয়েছে দাউদের। সেই দাউদের আত্মীয়কে ভারতে আসার অনুমতি দেওয়া কখনওই উচিত হয়নি।”
শুধু বিরোধীরাই নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে অখুশি হয়েছেন কংগ্রেস নেতাদের একাংশও। কংগ্রেসের সাংসদ জগদম্বিকা পাল বলেন, “আমি মনে করি, দাউদ ইব্রাহিমের আত্মীয়কে ভারতে আসার অনুমতি দিয়ে মোটেই ঠিক কাজ করেনি সরকার। এতে দেশবাসীর বিশ্বাসে আঘাত লাগতে পারে।”
ঘরে-বাইরে কড়া সমালোচনা সামাল দিতে কেন্দ্রের জবাব, মিয়াঁদাদ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। আর তাঁর ভিসার আবেদনপত্রে কোনও ধরনের ত্রুটিও ছিল না। তাই তাঁকে ভিসা দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব দেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং সরকারের যৌথ সিদ্ধান্ত এটা। গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গে আলোচনা না করে নিশ্চয়ই এই পদক্ষেপ করা হয়নি। সব ধরনের প্রক্রিয়া মেনেই কাজ হয়েছে।” |
|
|
|
|
|