|
|
|
|
|
তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে শঙ্কিত মহিলা কর্মীরা |
দিল্লি কাণ্ডের জেরে মার
খাচ্ছে উৎপাদনশীলতা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
|
শুধু শ্রমিক অসন্তোষই নয়, শিল্পের উৎপাদনশীলতা মার খায় সামাজিক সুরক্ষার অভাবেও। অন্তত দিল্লির সাম্প্রতিক গণধর্ষণের ঘটনার রেশ সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
এ ধরনের ঘটনায় রীতিমতো শঙ্কিত বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে কর্মরত মহিলারা। এতটাই, যে তাঁদের অনেকেই সন্ধ্যায় বেশিক্ষণ অফিসে থাকতে চাইছেন না অথবা অন্য শিফট-এ কাজ করার আর্জি জানাচ্ছেন। কিংবা কাজ ছেড়ে দিতে চাইছেন। যার প্রভাব পড়ছে উৎপাদনশীলতায়।
তথ্যপ্রযুক্তি, বিশেষ করে বিপিও সংস্থায় কাজের সময় যেমন দীর্ঘ, তেমনই সন্ধ্যা বা রাতেও অনেকক্ষণ কর্মীদের থাকতে হয়। দিল্লির ঘটনার পরে এ সব সংস্থার প্রায় ২,৫০০ মহিলা কর্মীকে নিয়ে সমীক্ষা চালায় বণিকসভা অ্যাসোচ্যাম। তাদের দাবি, সমীক্ষায় প্রকাশ, গত সপ্তাহ দুয়েকে প্রতি তিন জন মহিলা কর্মীর এক জন হয় সূর্যাস্তের পরে কাজের সময় কমিয়ে দিচ্ছেন, না হলে কাজ ছাড়ছেন। এর ফলে শুধু দিল্লি ও রাষ্ট্রীয় রাজধানী অঞ্চলেই (এনসিআর) উৎপাদনশীলতা কমেছে প্রায় ৪০%। সেখানে প্রায় ২,২০০টি তথ্যপ্রযুক্তি এবং বিপিও সংস্থায় কর্মরত প্রায় ২.৫ লক্ষ মহিলা।
দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় আইন-শৃঙ্খলার অভাব ও গণ পরবিহণ ব্যবস্থায় মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বহু দিনেরই। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ৮২% মহিলা জানাচ্ছেন, তাঁরা সূর্যাস্তের পরেই ঘরে ফেরার তোড়জোড় শুরু করছেন। বস্তুত, প্রায় ৬৭ শতাংশের বক্তব্য, দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় তথ্যপ্রযুক্তি এবং বিপিও সংস্থায় চাকরি করার উপযুক্ত পরিবেশই নেই! বণিকসভার সেক্রেটারি জেনারেল ডি এস রাওয়াতের দাবি, “এ সব সংস্থায় মহিলা কর্মীর নিরাপত্তার বিষয়টি উদ্বেগজনক।”
তবে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের সংগঠন ন্যাসকমের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সঙ্গীতা গুপ্তের দাবি, ভীতি সত্ত্বেও কাজের ক্ষেত্রে ততটা প্রভাব চোখে পড়ছে না। উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়াটা সাময়িক। তবে তাঁর বক্তব্য, অনেক আগেই ন্যাসকম এ নিয়ে উদ্যোগী হয়েছে। যেমন দিল্লি-পুলিশের নির্দেশিকা মেনে সদস্য সংস্থাগুলিকে বলা হয়েছে, কর্মীদের যাতায়াতের জন্য বরাদ্দ অফিস গাড়িতে জিপিএস পরিষেবা রাখতে, যাতে গাড়ির অবস্থান সহজে জানা যায়।
হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু ও চেন্নাইয়ের কর্মীরা জানিয়েছেন, তাঁরা দিল্লির অঞ্চলের চেয়ে ভাল আছেন। দিল্লির মহিলাদের শঙ্কা থাকা স্বাভাবিক বলে মনে করেন হায়দরাবাদে মাইক্রোসফট-এর জনসংযোগ আধিকারিক দেবযানী মুখোপাধ্যায়ও। তবে তিনি জানান, হায়দরাবাদে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ভাল। যে গবেষণা কেন্দ্রে তিনি যুক্ত, সেখানে মহিলা কর্মী শুধু নন, অনেক ছাত্রীও কাজ করতে আসেন। কর্তৃপক্ষ সকলের যাতায়াতের বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন। |
|
|
|
|
|