দল বেঁধে মনোনয়ন তুলতে আসছিল এসএফআই। কলেজে ঢোকার মুখে প্রকাশ্যে তাদের আক্রমণ করার অভিযোগ উঠল টিএমসিপির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ কালনা কলেজে ঘটনাটি ঘটে। এর জেরে টিএমসিপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলল এসএফআই। তাদের দাবি, আক্রমণের জেরে জখম হয়েছেন তাদের ৭ জন। তৃণমূলও সিপিএমের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছে। কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে মিছিলও করে তারা। |
কলেজ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মনোনয়ন তোলার জন্য এ দিন সকাল থেকেই কলেজে মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিশ। কলেজ খুলতেই মনোনয়ন তুলতে লাইন দেয় টিএমসিপি। ক্যাম্পাসের বাইরে একটি মিছিলও করে তারা। সেই সময়ে তারা খবর পায়, সিপিএমের কালনা জোনাল অফিস থেকে বেশ কিছু এসএফআই কর্মী-সমর্থক মনোনয়ন তুলতে আসছেন। কলেজে ঢোকার মুখে লাঠি নিয়ে তারা এসএফআইকে আটকাতে যায় বলে অভিযোগ। এসএফআই পিছু হটতে থাকলে তাদের মারধর করা হয় ও পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ করেন এসএফআইয়ের কালনা লোকাল কমিটির সম্পাদক বিজয়কুমার সাহা। তাঁর কথায়, “এই পরিস্থিতিতে প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবিনি আমরা।” সিপিএমের একাংশের মত, প্রকাশ্যে দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পথ আটকে কলেজে ঢুকতে না দেওয়ায়, আদতে রাজনৈতিক সাফল্য আসবে দলেরই। দলের কালনা জোনাল কমিটির সদস্য স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মনোনয়ন তোলার দিন আমাদের আটকানো হবে বলে আগেই খবর পেয়েছিলাম আমরা। তা সত্ত্বেও ঝুঁকি নিয়ে দলের ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের মনোনয়ন তুলতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কলেজে ঢোকার মুখেই আমাদের আক্রমণ করা হয়। নিশ্চয়ই এর মূল্যায়ণ করবেন সাধারণ মানুষ।” যদিও টিএমসিপির রাজ্য কমিটির এক সম্পাদক পলাশ মণ্ডলের বক্তব্য, “কলেজের তিনশো গজের বাইরে একটি গণ্ডগোল হয়েছে বলে শুনেছি। তবে তা সিপিএমের নিজেদের মধ্যে মারামারি। কালনা কলেজে এসএফআইয়ের কোনও শক্তি নেই। তাই প্রার্থী দেয়নি।” |
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দেড় বছর ধরেই কলেজে এসএফআইয়ের প্রভাব কমেছে। গত বছরও ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি তারা। যদিও সিপিএমের স্থানীয় এক নেতা বলেন, “এই কলেজ ভোটকে কেন্দ্র করে আমরা অন্তত এটুকু প্রমাণ করতে পেরেছি, তৃণমূলের জমানায় গণতন্ত্র নেই।” অন্য দিকে, এ দিনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ তৃণমূলেরই কিছু নেতা-কর্মী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল কর্মীর আক্ষেপ, “কলেজে ভোট হলে আমরা জিততাম। সিপিএমের ফাঁদে পা দিয়েই ক্ষতি হল।”
|