|
|
|
|
তারাবাজি |
পর্ন? না তবে সাহসী ফিল্মে হ্যাঁ |
চিত্রাঙ্গদা সিংহ বললেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্তকে |
আপনার পরবর্তী ছবি ‘ইনকার’। নিজের কেরিয়ারে কীসে আপনি ‘ইনকার’ বা ‘না’ বলবেন?
যদি কোনও ছবিতে আমাকে শুধুমাত্র সুড়সুড়ি দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়, তাতে আমার আপত্তি আছে। সেটা সামগ্রিক ভাবে নারীজাতিকে অপমান করা।
আপনি কেরিয়ারে কামব্যাক করার পরে বলেছিলেন যে স্ক্রিন-এ চুমু আর বিকিনি পরতে আপনার আপত্তি। কী হল সেই সব রেজলিউশনের?
আমি স্ক্রিন-এ চুমু খেয়েছি। তবে আমি আজও বিকিনি পরাতে রাজি নই। তার কারণ আমার বিকিনি পরার মতো অ্যাটিটিউড নেই। অনুষ্কা শর্মাদের মতো অভিনেত্রীদের বিকিনি পরে দেখতে বেশ ভাল লাগে। তবে আমার মনে হয় না আমি সেটা পারব।
এটার কারণ কি শুধুমাত্র অ্যাটিটিউড? না কি আপনার বিবাহিত স্টেটাস?
দেখুন সিনেমাতে যখন অভিনয় করছি, আমি জানি অভিনয় করাটা একটা কাজ। যখন আজকের দিনের একজন প্রগতিশীল নারীর চরিত্রে অভিনয় করছি, সে তো তার যৌনতা স্ক্রিনে-এ প্রকাশ করবেই। আমাকেও তা করতে হবে। তবে সেটা বিকিনি পরে নয়।
আপনার বিবাহিত জীবন সম্পর্কে তো কত কিছু বলা হয়েছিল যখন আপনি ‘হাজারো খোয়াইশে অ্যায়সি’ করার পরে একটা ব্রেক নিয়েছিলেন। আপনার গল্ফার স্বামী জ্যোতি রণধাওয়া কী ভাবে ‘রিঅ্যাক্ট’ করেন এই সব খবরে?
বহু বছরের বিবাহিত জীবনের পরে স্বামী-স্ত্রীর ভেতরে একটা বোঝাপড়া হয়ে যায়। কে কী বলল তাতে কিছু এসে যায় না। তবে জ্যোতির কী অভিমত সেটা ও-ই বলতে পারবে।
সংসার, কেরিয়ার দুটো কী করে সামলান? ছেলেকে দেখাশোনা করার জন্য কি নিজের বাড়ি ফেরার কোনও ডেডলাইন ঠিক করেছেন?
না, না। ম্যানেজ করে নিচ্ছি। আমি কিন্তু আমার ছেলের সব কিছু দেখাশোনা করার চেষ্টা করি।
|
|
‘ইনকার’-এর পোস্টার দেখে মনে হয় যে শ্যুটিংয়ের সময় আপনি ন্যুড ছিলেন...
মনে হলেও সেটা কিন্তু ঠিক নয়। একটা অফ-শোল্ডার পোশাক পরেছিলাম। তার ওপর একটা জ্যাকেট। শ্যুটিং-এর সময় জ্যাকেট-টা খুলে দিতে বলা হয়েছিল। ছবি তোলার সময় অ্যাঙ্গেলটা এমন ছিল যে দেখে মনে হচ্ছে ওটা একটা ন্যুড শ্যুট।
শোনা যায় একটা বহুজাতিক সংস্থার কর্ণধারের বিরুদ্ধে সুস্মিতা সেন না কি মামলা করতে চেয়েছিলেন, যখন তাঁকে এনডর্সমেন্টের কনট্র্যাক্ট রিনিউ করার জন্য ‘সেক্সুয়াল ফেভারস’ চাওয়া হয়েছিল। ‘ইনকার’ ছবিতে কি ও সব আছে?
‘ইনকার’ ছবিটার বিষয়বস্তু হল কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের যৌন হয়রানি। আমি একজন উঠতি লেখকের ভূমিকায় অভিনয় করেছি। যে কিনা পরে একটা অ্যাড এজেন্সির ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হন। তাকে যৌন নিগ্রহ করার পরে সে প্রতিবাদ করে। সেটাই ছবির গল্প।
নিজের জীবনে কখনও হ্যারাসড হয়েছেন?
ভারতে প্রায় প্রত্যেকটি মেয়ে কোনও না কোনও ভাবে যৌন হয়রানির শিকার হন। যদি আপনি দিল্লিতে বাসে চলাফেরা করেন, তাহলে তো এটা খুবই সাধারণ ঘটনা। একজন পুরুষমানুষ আপনার গা ঘেঁষে দাঁড়াবেন। আপনি যদি কটমট করে তাকান, তখন সে বলবে, “ক্যয়া হুয়া ম্যাডাম? সরি, সরি।” তার পর ভিড়ের মধ্যে মিলিয়ে যাবে। একবার দিল্লিতে একটা অটো করে যাচ্ছি। তখনও সিনেমা করিনি। যেই কোনও জ্যাম-এ গাড়িটা থামছে, অমনি অটোওলা দেখি পেছনে ঘাড় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছে। শেষে এটা এত বেড়ে যায় যে আমি একটা সিগন্যালে গিয়ে ট্র্যাফিক কনস্টেবলকে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হই। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে আমি অবশ্য একটা জিনিস খুব জোর দিয়ে বলতে চাই। পুরুষদের মানতে হবে যখন একজন মহিলা তাকে ‘না’ বলছেন, তার মানে ‘না’। ‘না’ শব্দের অর্থ ‘হয়তো হ্যাঁ’ নয়।
শিক্ষিত মহিলাদের এ ভাবে লাঞ্ছিত হতে দেখাটা কেমন একটা অদ্ভুত ‘প্যারাডক্স’ মনে হয় না?
হয়তো ঠিকই। তবে শিক্ষিত মহিলারা তাও একটা প্রতিবাদ করার মতো জায়গায় থাকেন। ছোট ছোট শহরে যে মেয়েরা চাকরি করে, তারা অনেক সময়েই নীরবে সব সহ্য করে। প্রতিবাদ করলে যদি চাকরিটা চলে যায়! বহুজাতিক সংস্থারা আজকাল এই বিষয়ে অনেক সতর্ক। অফিসগুলোতে মেয়েদের সুরক্ষার জন্য সেল আছে।
এমন শোনা যায় যে প্রগতিশীল মহিলারাও অনেক সময় প্রতিবাদ করতে পারেন না। কারণ, যত ক্ষণে সাহস জুুগিয়ে ওঠেন তত ক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে...
এটাও সত্যি। অনেক মহিলা ভাবেন এটা নিয়ে কথা বললে লোকে ভাববে যে ‘ওভার-রিঅ্যাক্ট’ করছে। ভয় কাজ করে। এটারই ফায়দা তোলে অনেক পুরুষ। প্রথমে হাল্কা ভাবে ফ্লার্ট করে। আর মেয়েরা ভাবে একটু আধটু সহ্য করলে হয়তো কর্মক্ষেত্রে শান্তি থাকবে। তবে প্রথম রাতে বিড়াল না মারলে তখন অবস্থাটা হাতের বাইরে চলে যায়। পরে প্রতিবাদ করলে লোকজন স্বাভাবিক ভাবেই বলে, “এত দিন বেশ তো হেসে হেসে কথা বলছিলেন। তখন প্রতিবাদ করেননি কেন?”
এই সেল থাকা সত্ত্বেও, শিক্ষিত মহিলারা নীরবে সহ্য করেন...
এটা অত সহজ ব্যাপার নয়। হঠাৎ একজন মহিলা হাত তুলে বলতে পারেন না যে উনি ‘হ্যারাসড’ হয়েছেন। একজন পুরুষ এসে যদি একজন নারীকে বলে ‘হাই সেক্সি!’, কী ভাবে প্রমাণ করা যাবে যে বলার পিছনে তার খারাপ উদ্দেশ্য ছিল? তবে আমাদের দেশে অনেক পুরুষমানুষও অনেক ক্ষেত্রে অনেক ভুল অভিযোগের শিকার হয়েছেন।
‘ইনকার’-এ নাকি ২৫২ বার সেক্স কথাটি ব্যবহার হয়েছে শুনেই অনেকের মনে একটা চাপা উত্তেজনা রয়েছে ছবিটা দেখার জন্য। এ সব কি একটা অবদমিত সমাজের লক্ষণ?
জানি না। তবে আমরা এখনও একটা অবদমিত সমাজে বাস করি। যেখানে সেক্স কথাটা সহজে উচ্চারণ করা হয় না। একটু একটু করে বদলাচ্ছে মানুষের ধারণা। তবে এই সবের মধ্যে এই সে দিন একজন আমাকে বললেন যে, আইটেম নাম্বারই নাকি ধর্ষণের জন্য দায়ী। এ বার বুঝুন কোন মানসিকতার ভিত্তিতে এই সব কথা বলা হয়! |
মন্দ মেয়েদের কহানি
‘চাঁদনি বার’-এ টাবু, ‘লাগা চুনরি মে দাগ’-এ রানি, ‘তালাশ’-এ করিনা। এবার এক যৌনকর্মীর ভূমিকায় চিত্রাঙ্গদা। সুধীর মিশ্র পরিচালিত একটা শর্ট ফিল্ম। নাম ‘কিরচিয়া’। দিল্লির এক ফার্ম হাউস রেড হওয়ার পরে এক পুলিশ অফিসার ও এই যৌনকর্মীর দেখা হয়ে যায়। তাঁদের দু’জনকে নিয়েই এই পনেরো মিনিটের ছবি ‘কিরচিয়া’। প্রসঙ্গত, সুধীর মিশ্রর ‘চামেলি’ ছবিতে করিনা এক যৌনকর্মীর ভূমিকায় ছিলেন। দুই অভিনেত্রী অন-স্ক্রিন মন্দ মেয়ে হিসেবে কী ভাবে আলাদা? “করিনার চরিত্রটি নরম মনের। রূপকথার মতো। সেটা ও খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছিল। চিত্রাঙ্গদার চরিত্র অনেক টাফ। ভীষণ উচ্চাকাঙ্ক্ষী বলে মনে হতে পারে তাকে, যত ক্ষণ না সে তার নিজের নরম দিকটা প্রকাশ করে ফেলে। চিত্রাঙ্গদা এই চরিত্রে অনবদ্য,” সুধীর বলেন। |
|
শুনলাম আপনি নাকি বলেছেন অ্যাডাল্ট ছবি করতে চান...
ওটা ‘মিসকোট’। আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ‘ইনকার’-এর মতো বোল্ড ছবি করতে রাজি কি না? আমি হ্যাঁ বলেছিলাম। সেটাই ঘুরিয়ে বলা হল যে আমি অ্যাডাল্ট ফিল্ম (যেটাকে ভারতে বলা হয় পর্ন) করতে রাজি!
চিত্রাঙ্গদার ‘অন-স্ক্রিন’ সহ-অভিনেতা হিসেবে অর্জুন কেমন?
অর্জুন খুব পেশাদার। ও খুব ভাল অভিনেতা। ওঁর ‘ইনস্টিংক্ট’গুলো ভাল কাজ করে। তাছাড়া কেউ পরামর্শ দিলে ও সেটা শোনে।
আর জন? আপনার ‘আই, মি অউর ম্যায়’ ছবির সহ-অভিনেতা?
জন ভীষণ ভদ্র। সহ-অভিনেতাদের অনেক স্পেস দেন কাজ করার সময়।
এক সময় বলতেন যে আপনার স্বপ্ন হল আমির খানের সঙ্গে কাজ করা...
সেই স্বপ্নটা আজও রয়েছে। তবে তালিকায় যোগ হয়েছে ফারহান আখতার, হৃতিক রোশন এবং স্যেফ আলি খান-এর নাম।
আপনার চোখে সব থেকে ‘সেনসুয়াল’ পুরুষ কে?
জর্জ ক্লুনি। সুদর্শন ও বুদ্ধিমান।
নতুন বছরে হঠাৎ যদি জর্জ ক্লুনির সঙ্গে দেখা হয়ে যায়?
কোনও পারিশ্রমিক ছাড়াই ওঁর সহকারী হিসাবে এক বছর কাজ করতে চাইব।
ভারতীয় পুরুষদের নাম উল্লেখ করলেন না তো?
গুরু দত্ত। কত কিছু বলা হয় ওই মানুষটার সঙ্গে মহিলাদের সম্পর্ক নিয়ে। যদি একবার দেখা হত, তাহলে চেষ্টা করতাম ‘মিথ’-এর আড়ালে মানুষটাকে জানতে। |
|
|
|
|
|